শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৫

খ ম হারূন

১৫:৫০, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১৭:০৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

২০৫৮

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৫

শঙ্কিত পদযাত্রা

ধারাবাহিক আত্মকথা

। খ ম হারূন ।

খ্যাতিমান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব খ ম হারূন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন দেশের টেলিভিশন এবং মঞ্চের সাথে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্বর্ণময় সময়ে যে কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজকের নাম ছোট পর্দার কল্যাণে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে খ ম হারূন তাদের একজন। দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। এখনো রয়েছেন সমান সক্রিয়। দেশের গণমাধ্যম জগতের বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের আত্মকথা ‘শংকিত পদযাত্রা’ ধারাবাহিকভাবে
প্রকাশিত হচ্ছে অপরাজেয় বাংলা’য়।

[পর্ব-১৫]

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০১। নির্বাচনের পূর্বে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয় তার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিচারপতি লতিফুর রহমান। পূর্ববর্তি আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন যশোরের এই ভদ্রলোক। শপথ নেবার পর প্রথম রাতেই ১৩ জন সচিবসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে বিচারপতি লতিফুর রহমান কি চান তার একটা সিগনাল দিয়ে দেন। সে সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন প্রাক্তন সিএসপি অফিসার গোপালগঞ্জের এম এ সাঈদ। আমার বিটিভিতে যোগদানের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের কথা সবসময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও বেশ কিছু নির্বাচনী অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলাম। তার মধ্যে ‘সবিনয়ে জানতে চাই’ এর মতো অনুষ্ঠানও ছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালের নির্বাচনেও বেশ কিছু অনুষ্ঠান নির্মাণের দায়িত্ব আমার উপর দেয়া হয়। প্রথম অনুষ্ঠানটি ছিলো বিচারপতি লতিফুর রহমান এর একটি সাক্ষাৎকার। অনুষ্ঠানটি ধারন করলাম তার সরকারী বাসভবন যমুনায়। অনুষ্ঠানটি প্রচার হবার পর তিনি নিজে টেলিফোন করে আমার সাথে কথা বলেন। তাঁর সরকারি বাসা থেকে আমার পরিবাগের বাসায় একটি কেক পাঠিয়ে আমাকে ধন্যবাদ জানান। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ সাঈদ জাতির উদ্দেশ্যে তাঁর নির্বাচনী ভাষণ দেবেন। আমার উপর সে অনুষ্ঠানটি ধারণ করার দায়িত্ব। যথাসময়ে আমি তাঁর নির্বাচন কমিশন অফিসে যাই। আমার এক বন্ধু বিসিএস কর্মকর্তা এস এম হারুন তখন সিইসি’র পিএস (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)। আর নির্বাচন কমিশনে ভারপ্রাপ্ত সচিব ছিলেন প্রাক্তন সিএসপি অফিসার এবং বর্তমানে আওয়ামি লীগ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। 

ভাষণটি ধারনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমি সিইসি’র অফিস কক্ষই ব্যবহার করার জন্য অনুমতি গ্রহণ করি। সেটে বাংলাদেশের ফ্লাগ, নির্বাচন কমিশনের লোগো খচিত ফ্লাগ সব সংগ্রহ করা হলো। কিন্তু জাতির জনকের ছবি পাওয়া গেলো না। তখন রাষ্ট্রিয় নিয়মানুসারে সব জাতীয় অনুষ্ঠানে জাতির জনকের ছবি থাকা ছিলো বাধ্যতামূলেক। প্রধান উপদেষ্টাও তার বাসভবনে সেটা রেখেছিলেন। বিষয়টা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানানো হলো। তিনি তার স্টাফদের বললেন খ ম হারূন যেভাবে চায় সেভাবেই কাজ করতে (যদিও সেখানে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক তাতে আপত্তি জানায়)। এরপর আমি আমার দুজন সহকর্মীকে নিয়ে বের হলাম কোন দপ্তরে জাতির জনকের ছবি পাওয়া যায় খুঁজতে। প্রথমেই গেলাম সচিব এম এ মান্নানের কক্ষে। তাঁর রুমের দেয়ালেই পাওয়া গেলো ছবিটি। তিনি অনেক সহযোগিতা করলেন। নিজ হাতে সেটি খুলে আমার হাতে তুলে দিলেন। অবশেষে জাতির জনকের ছবিসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণের সেট ও লাইটের কাজ সম্পন্ন করে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া তাঁর ভাষণ সম্প্রচার করা হলো। 

পরদিন প্রধান উপদেষ্টার অফিসে গিয়েছিলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশগ্রহণ করতে। সেখানে দেখি বিএনপি মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ও সে সময়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যারি আ্যন পিটার্স প্রধান উপদেষ্টার রুম থেকে বের হচ্ছেন। আমার সাথে বিটিভির উপ-মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল সৈয়দও ছিলেন। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন। কামাল ভাই কথা কম বলতেন। ইঙ্গিতেই অনেক কিছু বলে দিতেন। 

কাজ শেষে প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে বের হবার আগে প্রেস সেক্রেটারি মোহাদ্দেস ভাই তাঁর রুমে নিয়ে গেলেন চা খাওয়াতে। কথার মাঝে হাসতে হাসতে তিনি দুটি পত্রিকা আমার হাতে দিলেন বললেন ‘হারূন দেখেন কি লিখেছে’। দেখলাম দুটি পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছে। কিভাবে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড করার সময় জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করেছি সে সম্পর্কে। বুঝলাম কপালে দুঃখ আছে। এরপর বিটিভির সকল নির্বাচনী কার্যক্রম এবং অনুষ্ঠান প্রযোজনা থেকে আমাকে বিরত রাখা হয় এবং সচিব এম এ মান্নানকে নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। 

এর আগে কমনওয়েলথ ব্রডকাস্টিং এসোসিয়েশন (সিবিএ, লন্ডন) থেকে আমাকে একটি টেলিফিল্ম নির্মাণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়। সিবিএ ছবিটির স্ক্রিপ্ট লেখার দায়িত্ব দেয় একজন বৃটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা জয়াম্যাককে। যৌথ প্রযোজনায় সিবিএ ও বিটিভি।  লেখার প্লট নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ঢাকা আসেন জয়াম্যাক। বিটিভির গাড়ি নিয়ে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল দেখে এসে একটা ছোটো ওয়ার্কশপ করে জয়া। সিদ্ধান্ত হয় জয়া লন্ডন ফিরে এক মাসের মধ্যে ডাক যোগে এবং ইমেইলের মাধ্যমে স্ক্রিপ্টটি পাঠিয়ে দেবে। অনুবাদ করবেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। 

সময়মতো স্ক্রিপ্ট চলে আসে। চলে আসে নাটক নির্মাণ ব্যয়ের অর্থ বিটিভির একাউন্টে। মূল ইংরেজি পান্ডুলিপি ‘দ্য গার্ল ফ্রম সিলেট’ আর বাংলায় নাম দেই ‘রূপালী নদীর ঢেউ’। 

নির্বাাচনী কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার ফলে এই টেলিফিল্মটি নির্মাণকাজে বিশেষ মনযোগ দিতে পারি। পুরো টিম নিয়ে আমি সিলেট চলে যাই। ৩৫ জনের বিশাল টিম। পুরো একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের সব উপকরণ সাথে। ক্যামারেম্যান জালালউদ্দিন। প্রধান চরিত্রে- কেরামত মাওলা, তানভীন সুইটি, গাজী রাকায়েত, ফারজানা চুমকি, আহমেদ রুবেল সহ আরও অনেকে। 

২০০১, সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখ আমরা সিলেট শহরের কাছাকাছি একটা রেষ্ট হাউজে এসে উঠি। ১১ সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ার সন্ত্রাসী হামলায় ধ্বংস হয়। আমরা রেষ্ট হাউজে বসে সে সব দৃশ্য দেখি। যাই হোক দশদিন ধরে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে শুটিং করি। মনে আছে একটা ঘরের দৃশ্যের কথা। সুইটি আর রুবেলের সিকোয়েন্স। জালালউদ্দিন ক্যামেরা চালাচ্ছেন। লাইট অ্যান্ড শ্যাডোর মাধ্যমে দৃশ্যটি বেশ আকর্ষণীয় লাগছে, মনিটরে দেখছি। হঠাৎ একজনের ইশারায় দেখি দেয়াল বেয়ে একটি সবুজ রংয়ের সাপ এগিয় আসছে। জালালউদ্দিনও খেয়াল করেছিলো। কিন্তু কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে সে পুরো দৃশ্যটির ধারণ কাজ শেষ করে। ততক্ষনে সাপটি সুইটির অনেক কাছে চলে এসেছে। ক্যামেরাম্যান সাপ সহ দৃশ্যটির কিছু অংশ নিয়ে নেয়। চিত্রগ্রহণ শেষে সবাই রুম থেকে নিরাপদে বের হয়ে যায়। সুইটি পরে জানায় সেও সাপটি দেখেছিলো কিন্তু তা কাউকে বুঝতে দেয়নি। 

ঐ সময়ে একদিন প্রফেসর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আমাকে ফোন করে জানালেন, তিনি বিটিভিতে গিয়েছিলেন, সবাই বলাবলি করছিলো খ ম হারূনকে নিমকোতে বদলি করা হয়েছে। আমি কিছু জানি কিনা। আমি তখনো কিছু জানিনা। রাতে শুটিং শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি মোহাদ্দেস ভাইকে ফোন করলাম। তিনি বললেন আপনি নির্বিঘ্নে কাজ করতে থাকুন, লতিফুর রহমান সাহেব যতদিন প্রধান উপদেষ্টা আছেন, আপনাকে কেউ বিটিভি থেকে সরাতে পারবে না। 

যথাসময়ে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। বিএনপি ক্ষমতায় আসলো অক্টোবরের ১০ তারিখে। এতদিন যারা বিটিভিতে  নিজেদের বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিতেন তাদের অধিকাংশই একরাতের মধ্যে জিয়ার সৈনিকে রূপান্তরিত হলেন। ডক্টর আব্দুল মঈন খান সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। 

ততোদিনে ‘রূপালী নদীর ঢেউ’ এর এডিটিং শেষ হয়ে গেছে। এতবড় একটা প্রকল্প, বিটিভির সবার মত, নতুন তথ্যমন্ত্রী ‘রূপালী নদীর ঢেউ’ প্রিমিয়ার শোর উদ্বোধন করলে ভালো হয়। তথ্যমন্ত্রী’র সাথে কথা বললাম। তিনি রাজি হলেন তবে তার আগে টেলিফিল্মটির ভিডিও দেখতে চান। রাতে তাঁর বাসায় একটা ভিএইচএস কপি পাঠিয়ে দিলাম।

প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হলো বিটিভি অডিটরিয়ামে। প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী আব্দুল মঈন খান, বিশেষ অতিথি তথ্য সচিব মার্গুব মোরশেদ। সেদিন বিজ্ঞানী মঈন খান এর চলচ্চিত্র বিষয়েও যে যথেষ্ট পান্ডিত্য রয়েছে তা বেশ বুঝতে পারি। সংবাদপত্রের প্রতিনিধিরা অনেকেই সেদিন উপস্থিত ছিলেন। ২৭ অক্টোবর ২০০১, ‘রূপালী নদীর ঢেউ’ বিটিভিতে প্রথম সম্প্রচারিত হয়। এরপর কমনওয়েলথ ব্রডকাস্টিং এসোসিয়েশন এর সেক্রেটারি জেনারেল এলিজাবেথ স্মিথ আমাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন ম্যানচেষ্টার ফিল্ম ফ্যস্টিভেলে টেলিফিল্মটি পুরস্কৃত হয়েছে এবং পরবর্তি কমনওয়েলথ দিবসে ৩৭ টি দেশের রাস্ট্রিয় টেলিভিশনে ‘রূপালী নদীর ঢেউ’ (দ্য গার্ল ফ্রম সিলেট) দেখানো হবে।

ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখ, বুধবার। বিটিভি কন্ট্রোল রূমে কাজ করছিলাম। এমন সময় জিএম সাহেবের পিএ তাড়াহুড়া করে আমার কাছে এসে বললো, ‘স্যার, সেক্রেটারি সাহেব মিনিস্ট্রি থেকে ফোন করেছেন, আপনার সাথে কথা বলতে চান।’ নিশ্চয়ই জরুরি বিষয়। ফোন ধরলাম, তিনি বললেন, ‘হারূন, আপনি ও ম হামিদ আমার অফিসে আজ বিকেল ৪ টার সময় আসেন, কথা আছে’। 

হামিদ ভাই এর মোবাইলে ফোন দিলাম। উনি তখন চট্টগ্রামে। অতএব, আমি একাই তথ্য সচিব মার্গুব মোরশেদ এর অফিসে গেলাম। তিনি আমার জন্য কফি দিতে বললেন। তারপর ধীরে ধীরে সুন্দর করে আমাকে বললেন, ‘হারূন, তথ্যমন্ত্রী মহোদয় আপনার সাথে কথা বলতে বলেছেন। তিনি আপনাকে একজন যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে জানেন। তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন। বিটিভিতে আপনার মতো ব্যক্তির প্রয়োজন কিন্তু কিছুদিনের জন্য আপনাকে নিমকোতে যেতে হবে। কথা দিচ্ছি আগামী তিন মাসের মধ্যে আপনাকে আবার ফেরত নিয়ে আসবো’।

আমি আগেই ধারণা করেছিলাম। বদলিতো বদলিই। একটা নির্দেশ পাঠিয়ে দিলেই হতো। কিন্তু এতো ভদ্রতা আমাকে মুগ্ধ না করে পারলো না। অবশেষে ৩১ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় হতে লিখিত নির্দেশ হাতে পেলাম। আমি, ম হামিদ ও শেখ সালেক জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট-নিমকোতে নির্বাসিত হলাম। কিন্তু ঐ তিন মাস আর এলো না। কারণ তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ঐ ভদ্রলেকেরা (মন্ত্রী ও সচিব) তখন অন্য মন্ত্রণালয়ে চলে গেছেন। 

চলবে...

আরও পড়ুন

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৪

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১১

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১০

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৯

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৮

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৭

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৬

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৫

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৪

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank