আমার এই বই পড়াতেই আনন্দ...
আমার এই বই পড়াতেই আনন্দ...
‘ট্রপিক অফ ক্যান্সার’ খ্যাত-কুখ্যাত অ্যামেরিকান ঔপন্যাসিক হেনরি মিলারের লেখালেখি-বিষয়ক এগারটি নির্দেশনা/বিধি-নিষেধ পড়ে/জেনে বরাবরের মতো উজ্জীবিত/উৎসাহিত/হতাশ বোধ করলাম। কম-বেশি বিখ্যাত যেকোন লেখকের এরকম উপদেশ/পরামর্শ-মূলক লেখা যখন যা পাই, পড়বার চেষ্টা করি। লিখতে পারি আর না পারি, অথবা যতটুকু লিখতে চাই তার জন্য জীবন বাঁচিয়ে সময় করতে পারি বা না পারি, এ ধরনের লেখা পড়তে আমার সবসময় ভালো লাগে। কথা এখানেই শেষ।
দু’দিন আগে অবশ্য একটা বই-পড়ুয়াদের গ্রুপে আমার চিন্তা-ভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত এক ধারণার মুখোমুখি হয়ে বেশ খানিকটা ভড়কেই গেলাম। এর ঠিক আগেআগেই ওই একই গ্রুপে ঘটেছে আরেকটি একই ধরনের ঘটনা। প্রখ্যাত আইরিশ সাহিত্য সমালোচক, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্যের অধ্যাপক ডেনিস ডোনোঘের রচিত অ্যামেরিকান সাহিত্যের ওপর একটি নিবন্ধের বইয়ের নাম ‘দ্য অ্যামেরিকান ক্লাসিকস’।
২০০৫ সালে প্রকাশিত বইটিতে জনাব ডোনোঘের তীক্ষ্ণ সাহিত্য-সমালোচকের দৃষ্টিতে ধ্রুপদী সাহিত্যের সংজ্ঞা নির্ধারণ করবার চেষ্টা করেছেন এবং তা করতে গিয়ে তিনি সমৃদ্ধ অ্যামেরিকান সাহিত্য-সম্ভারের ভেতর থেকে বিশেষ করে কোন সাহিত্য-কর্মগুলিকে ধ্রুপদী বিবেচনা করা যেতে পারে সে বিষয়ে বিবিধ নিক্তির নিরিখে তাঁর একান্ত নিজস্ব যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করবার প্রয়াস পেয়েছেন। তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত খুঁজে পেতে মাত্র পাঁচটি অ্যামেরিকান বই এর সুলুক-সন্ধান করতে পেরেছে যাদেরকে তিনি এই তথাকথিত ধ্রুপদী অভিধায় আখ্যা দিতে রাজী আছেন। বই পাঁচটি হলো হারম্যান মেলভিল এর ‘মবিডিক’, নাথানিয়েল হথরন এর ‘দ্য স্কারলেট লেটার’, হেনরি ডেভিড থরো-র ‘ওয়াল্ডেন’, ওয়াল্ট হুইটম্যান এর ‘লিভস অফ গ্রাস’ আর মার্ক টোয়েন এর ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার্স অফ হাকলবেরি ফিন’।
বলাবাহুল্য, যে কোন ভাষার সাহিত্যে এ ধরনের নির্বাচন বা পক্ষপাতিত্ব বা অন্য আর যা কিছুই বলা হোক তা এক প্রকার বিতর্ক উসকে দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে সাহিত্যের ভালো-মন্দ-উৎকর্ষ-গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদি নিয়ে যারা কারণে-অকারণে কথা বলতে বা তর্ক করতে পছন্দ করেন। জনাব ডোনোঘের-র বইটির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। যেহেতু সাহিত্য-সমালোচনাভিত্তিক বই পড়তে ভালোবাসি, কাজেই এই বইটি সম্পর্কে অবহিত ছিলাম না বলে নামটি জানা মাত্রই এর বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠি। এটি করতে গিয়ে ইন্টারনেট সার্চ করে বেশ কিছু রিভিউ খুঁজে পাই যার একটিতে এক বোদ্ধা পাঠক জনাব ডোনোঘেরকে রীতিমতো তুলাধুনা করে ছেড়েছেন। আর প্রথমেই এরকম এক রিভিউ পড়ে আমি বলতে গেলে দমেই গিয়েছিলাম।
তারপর যা হোক, কিছুক্ষণ বাদে গুড সেন্স ফিরে এলে পর সাহিত্য নিয়ে আমার নিজের যে বিশ্বাস বা বোধ সেটিকেই আরও শক্ত করে জাপটে ধরলাম। আমার কাছে, সাহিত্য হচ্ছে একাধারে নির্মল আনন্দ আর অনিঃশেষ বিস্ময় ও জিজ্ঞাসার বিষয়। সোজা বাংলায়, কোন বই পড়তে শুরু করে ভালো না লাগলে বা তেমন করে টেনে না ধরলে তা আর না পড়ার অধিকার যেমন আমার আছে, তেমনি ওই ভালো না লাগা বইয়ের লেখক সম্পর্কে অহেতুক বাজে মন্তব্য করার আগে আমি দ্বিতীয়বার চিন্তা করবো।
প্রতিটি বইয়ে একেকজন লেখক মূলত তাঁর ভেতরের স্বত্বা বা একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ ঘটান যা সব পাঠকের মেজাজ-মর্জি-মত এর সাথে সবটুকু মিলে যাবে স্বাভাবিকভাবেই এমনটি আশা করা ঠিক নয়। একজন লেখককে তাঁর লেখার পেছনে যেমন অনেক চিন্তা-সময়-শ্রম ব্যয় করতে হয়, একইভাবে একজন পাঠককেও কোন লেখকের লেখা বিষয়ে মতামত দিতে হলে যথেষ্ট পরিপক্বতার প্রয়োজন পড়ে। যা হোক, এ বিষয়ে কথা বলতে থাকলে শেষ হবেনা।
তবে যে কারণে বিষয়টি শুরু করেছিলাম, ডোনোঘের-র ‘দ্য অ্যামেরিকান ক্লাসিকস’ বইটির বিষয়ে একজন পাঠকের নেতিবাচক মন্তব্য পড়ে আমার আগ্রহে প্রথমে ভাটা পড়লেও পর মুহূর্তেই অনুধাবন করেছিলাম এটি সেই বিশেষ পাঠকের সমস্যা বা ব্যক্তিগত মতামত। মজার কথা হলো, সেই পাঠক তাঁর মন্তব্যটি শেষ করেছেন এই বলে যে, ডোনোঘের-র বইটিকে আউটরাইট না করে দিলেও তিনি উল্লিখিত পাঁচটি বই পুনরায় পড়বার আগ্রহ বোধ করছেন, বিশেষ করে থরো-র ‘ওয়াল্ডেন’ আর হুইটম্যান এর ‘লিভস অফ গ্রাস’ তিনি প্রথমবারের মতো পুরোটা পড়ে দেখতে চান। আমার কাছে মনে হয়েছে, এখানেই ডোনোঘের-র ‘দ্য অ্যামেরিকান ক্লাসিকস’ বইটির স্বার্থকতা। তিনি বা তাঁর বই একজন ভীষণ জটিল-ছিদ্রান্বেষী পাঠককেও শেষ পর্যন্ত তাঁর নির্বাচন করা বই পড়তে আগ্রহী করে তুলতে পেরেছে।
আর আমার চিন্তা-ভাবনার বিপরীত ধারার ধারণার কথা শুরুতে বলেছিলাম, সেটিও আরেকটি বইয়ের নাম উল্লেখের পর কিছু পাঠকের ঝটপট মন্তব্য পড়ে। বিখ্যাত ইতালিয়ান সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক ইতালো কালভিনোর সাহিত্য-ভিত্তিক নিবন্ধের বই ‘হোয়াই রিড দ্য ক্লাসিকস’ এর নাম দেখে একজন নাক সিঁটকে উঠলো এই বলে যে, ব্যাপারটি তাকে বেশ দ্বিধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সে কেন এমন একটি বই পড়বে যেটি তাকে অন্যান্য বই পড়ার কথা বলে দিবে-এই হলো তার আহাম্মকি প্রশ্ন। তার মতোই আরেকজন তাকে সমর্থন দিয়ে বললো, শুধু শুধু কিছুটা সময় নষ্ট। কোন বই সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনেই বই পড়া তার ব্যক্তিগত অভ্যাস। আমি পছন্দ করিনা কেউ আমাকে বলে দিক কোন বইটা ভালো। বিশেষ করে আরেকটা বইয়ের মাধ্যমে তো নয়ই। ইত্যাদি।
এধরনের কথা বলার মতো পাঠকও আছে। থাকতেই পারে। তবে একজন সত্যিকারের পাঠক যে কোন ভালো বইয়ের পাঠকেই উৎসাহিত করবে, নিজে না পছন্দ করলেও বা পড়লেও। দেখলাম, এদের মন্তব্যের জবাবে আমার কথাই আরও বেশ কয়েক জন পড়ুয়া পাঠক বলে দিলো। যখন একজন বললো, আমি বইয়ের ওপর লেখা বই পড়তে ভালোবাসি, আরেকজন আরেকটু প্রজ্ঞা মিশিয়ে মন্তব্য করলো, একটি বইয়ের অর্থ/তাৎপর্য ভালোভাবে অনুধাবন বা হৃদয়ঙ্গম করার জন্যই এ ধরনের বই পড়া উচিৎ। দুটা মন্তব্যই আমার মনের কথা। সময় পেলে হয়তো এ নিয়ে ভবিষ্যতে বিস্তারিত লিখবো।
এখন হেনরি মিলারের কথায় ফিরে আসি। লেখালেখি বিষয়ে মিলারের যে এগারটি নিয়ম-কানুনের কথা জানা যায় তার তর্জমা করলে দাঁড়ায় অনেকটা এরকম ১। শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে কোন একটা সময় একটা নির্দিষ্ট লেখার ওপর কাজ করো; ২। পুরনো লেখায় কোন নতুন উপাদান যোগ করোনা; ৩। অস্থির বা উদ্বিগ্ন হয়োনা। যা-ই লিখছো না কেন, ঠাণ্ডা মাথায়-দিলখুশ হয়ে-একটানা লিখে যাও; ৪। মনের মর্জিমাফিক না লিখে রুটিন ধরে লিখো আর সময়মতো লেখা বন্ধ করে ফেলো; ৫। যখন তুমি আর সৃষ্টি করতে পারছোনা, তখন কাজ করো; ৬। প্রতিদিন নতুন কিছু যোগ করার চেয়ে লেখাটিকে বরং একটু একটু করে ঘষা-মাজা করতে থাকো; ৭। মানুষের সঙ্গ বজায় রেখো! লোকজন দেখো, ঘুরে বেড়াও, চাইলে কিছু পানীয়ও পান করতে পারো; ৮। ঘানি টানা বলদের মতো খেটে মরোনা! কেবল আনন্দ নিয়েই কাজ করো; ৯। মন চাইলে ওই দিনের মতো রুটিন ছেঁটে ফেলতে পারো-তবে পরের দিন অবশ্যই আবার একইভাবে শুরু করতে হবে। মনোনিবেশ করো। ওই সময়টুকুর জন্য আশেপাশের সবকিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন করে ফেলো; ১০। যে বইগুলো লিখতে চাও সেগুলোর কথা ভুলে যাও। যে বইটি লিখছো কেবল সেটি নিয়েই চিন্তা করো; ১১। সবকিছুর আগে এবং সবসময় কিছু লিখো। শিল্পকলা, সঙ্গীত, বন্ধুসঙ্গ, সিনেমা-এসব কিছুর কথা আসবে পরে।
মিলারের রাইটিং কমান্ডমেন্টের মধ্যে সর্বশেষটিই আমার মনে ধরলো সবচেয়ে বেশি। কোন ধরনের শর্তাবলীর আশেপাশে না গিয়ে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি যা বলেছেন তার অর্থ হচ্ছে, সবকিছুর আগে এবং সবসময়ই কিছু না কিছু লিখে যেতে হবে। অবসর যাপনের ভালো লাগার অন্যান্য যা কিছু অনুষঙ্গ, যেমন-শিল্পকলা, সঙ্গীত, বন্ধুদের সাহচর্য অথবা সিনেমা-এসব কিছুর কথাই পরে আসবে/ভাবা যাবে। কী দারুন সত্যি কথা! এসবের সাথে এখন তো অনায়াসে অহেতুক কেনাকাটা, মোবাইল ফোন/ইন্টারনেটে অযথা সময় নষ্ট করার মতো বিরক্তিকর, একই সাথে অপ্রতিরোধ্য, আসক্তির ব্যাপারগুলো যোগ করা যেতেই পারে।
কয়েকদিন আগে বৃটিশ লেখক জেডি স্মিথের একটি পুরনো সাক্ষাৎকার আবার পড়ে জানতে পারলাম, একটানা বেশকিছু দিন ধরে কেবল লেখালেখির কাজেই ডুবে থাকার কারণে দৈনন্দিন নিয়মিত পাঠাভ্যাস থেকেও তিনি বিরত ছিলেন। যখন আবার পড়তে শুরু করেছেন, একেবারে তালিকা ধরে পড়ছেন; পড়ছেন যাকে বলে গোগ্রাসে। বইয়ের দুনিয়ার খবর যতটুকু পারি রাখবার চেষ্টা করি। তারপরও জেডির তালিকা থেকেই বেশকিছু বইয়ের নাম প্রথমবারের মতো জানতে পারি এবং আবারো মনে মনে মানতে বাধ্য হই, ‘জানার কোন শেষ নাই’। তবে এ কারণে জানার চেষ্টাটাকে কখনোই বৃথা বলে মনে করিনা। কারণ, প্রতিনিয়ত নতুন কিছু জানার মধ্যে, পুরাতন জানাকে নব অভিজ্ঞানে আবিষ্কার করার মধ্যেই পাই বেঁচে থাকার সুবিমল আনন্দ!
আর কিছু জানা কেবল অভিজ্ঞতার ঝুলিটাকে ভারি করে, মানব-চরিত্রের বিচিত্রতাকে নানা মাত্রায় তুলে ধরে। এই যেমন, সম্প্রতি জনৈক আত্ম-পরিচয়ের সঙ্কটে ভুগতে থাকা একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক (?) একটি বিশেষ দেশের ভিসা তদবির করার জন্য যখন ফোন করলেন এবং পরে সবিস্তারিত ইমেইল পাঠালেন, তিনি প্রতিবার তার বক্তব্য শেষ করলেন এই বলে যে, তিনি যে একজন অ্যামেরিকান গ্রীন কার্ড-হোল্ডার এই কথাটা যেন আমি সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের সাথে কথা বলার সময় আলাদা করে উল্লেখ করি। তাতে হয়তো তার দ্রুত ভিসা প্রাপ্তি সহজ হবে!
হায়রে মিথ্যা অ্যামেরিকান মিথ! এতকিছুর পরও লোকজন এই মরীচিকার মায়া ছাড়তে পারেনা দেখে অবাক হই, কষ্টও পাই। যাকগে, আমার ভাবনায় কারো কিছু যায় আসেনা। ভদ্রলোক(?)যখন এ কথা প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন, তাকে অথবা তার মিথ্যে গরিমার চরিত্রটাকে তৎক্ষণাৎ মেপে নিতে আমার বিন্দুমাত্র সময়ও ব্যয় করতে হয়নি। এরপর যোগ হয়েছে আরো কিছু হাস্যকর ঘটনা; একটা ছোটখাট গল্প লেখার জন্য যথেষ্ট। সমস্যা হচ্ছে সবকিছু ভেবে এবং গুছিয়ে নিয়ে আমি কখন লিখতে বসবো। হেনরি মিলারের উপদেশমতো সবটুকু মনঃসংযোগ করে লেখালেখির জন্য আলাদা নির্দিষ্ট সময়টুকু আমি কিভাবে ব্যবস্থা করবো।
একটা গোটা দিন আক্ষরিক অর্থে দৌড়ের ওপর কাটিয়ে দেবার পর যে যৎসামান্য জীবিত সময় আমার হাতে থাকে, আমি কেবল পড়েই কাটাই-ডেইলি পত্রিকার কলাম (প্রিন্ট এবং অনলাইন দুটাই), হাতের কাছে থরে থরে জমে থাকা বই, মোবাইলে ডাউনলোড করা পিডিএফ বই, সর্বশেষ সংস্করণ কিন্ডল রিডার ইত্যাদি। সিরিয়াসলি, হেনরি মিলার অথবা জেডি স্মিথ অথবা ইনাদের মতো অন্যদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করলে ইহজীবনে আমার লেখক হবার স্বপ্ন সুদুরপরাহতই থেকে যাবে। কিন্ত্ত তা কি হতে দেওয়া যায়? নিজের জন্য হলেও তো আমাকে কিছু লিখতেই হবে…।
মালেকা পারভীন: কথাসাহিত্যিক ও গল্পকার।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা
- ধারাবাহিক অনুবাদ উপন্যাস
১৯৮৪ ।। মূল: জর্জ অরওয়েল ।। অনুবাদ: মাহমুদ মেনন - ধারাবাহিক অনুবাদ উপন্যাস
১৯৮৪ ।। মূল: জর্জ অরওয়েল ।। অনুবাদ: মাহমুদ মেনন [পর্ব-৩] - শোকস্রোতের নীলমণি: নাট্যদিশারী আফসার আহমদ
- ধারাবাহিক অনুবাদ উপন্যাস
১৯৮৪ ।। মূল: জর্জ অরওয়েল ।। অনুবাদ: মাহমুদ মেনন, [পর্ব-২] - ভ্রমণকাহিনী: ইরানি গোলেস্তান আর ঝর্ণার গল্প
- ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৩
- রশীদ হায়দার আর নেই
- ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৪
- সিলভিয়া প্লাথের শেষ বই