ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩০
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩০
শঙ্কিত পদযাত্রা
ধারাবাহিক আত্মকথা
। খ ম হারূন ।
খ্যাতিমান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব খ ম হারূন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন দেশের টেলিভিশন এবং মঞ্চের সাথে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্বর্ণময় সময়ে যে কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজকের নাম ছোট পর্দার কল্যাণে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে খ ম হারূন তাদের একজন। দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। এখনো রয়েছেন সমান সক্রিয়। দেশের গণমাধ্যম জগতের বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের আত্মকথা ‘শংকিত পদযাত্রা’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে অপরাজেয় বাংলা’য়।
[পর্ব-৩০]
আগষ্ট ১৯৮৮, ভোরবেলায় ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে যাই। প্রতি বছর এই সময়ে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে যাই কিছু সময়ের জন্য, শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে আসি। লোকজন খুব বেশি থাকেনা। তখন জাতীয় পার্টি আর বিএনপি’র অবস্থা জমজমাট। আজ যাদের সরকারি দলের ছায়াতলে ঘুরতে দেখি তাদের অনেকেই তখন ঐ দুটি দলের সমর্থক। আরো দুটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়েও সে সময় ভীর থাকতো- জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ফ্রিডম পার্টি। অন্যদিকে কিছু ত্যাগী নেতা ও কর্মীরা আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নেবার কাজে ব্যস্ত থাকতো। ন্যাপ (মোজাফফর) ও ন্যাপ (ভাসানী)- এই দুটি দল তখন অন্য দুটি বৃহৎ দলের ছায়ায় রাজনীতি করছে। মোজাফফর পন্থীরা আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সাথে আর ভাসানীপন্থীরা বিএনপি’র সাথে। অন্যদিকে স্বাধীনতার পর হঠাৎ তুমুল জনপ্রিয়তার দাবী নিয়ে যে দল মাঠে ময়দানে ছড়িয়ে পরেছিলো- জাসদ, মনে হয় পঁচাত্তরের পনেরোই আগষ্টের পর সে দলের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। তাই জাসদ একটি ভঙ্গুর দলে রূপান্তরিত হয়। যারা এই দল প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে ছিলেন তারা হাত গুঁটিয়ে নেন। আরো দুটি দলের কথা বলতেই হয়। একটি বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি, সে সময় আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করতো, মূল উদ্দেশ্য দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। আরেকটি দল সর্বহারার রাজনীতি করে গণশত্রু খতমে ব্যস্ত ছিলো। গণশত্রু খতমের নামে একসময় সর্বহারা দলও হারিয়ে যায়। সমাজতন্ত্রের আদর্শকে সঙ্গী করে টিকে থাকে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি। এর মাঝে একটি ধনিক শ্রেণী মাথা উঁচু করে দাড়াতে থাকে। এই শ্রেণীর উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আমরা যদি এতো বছর পরে সে সময়ের দিকে তাকাই, দেখতে পাবো কালের প্রবাহে সে সময়ের অনেক সারা জাগানো দল বিলুপ্ত হয় গেছে আর কিছু দল বিলুপ্তির পথে। দেশ স্বাধীন হবার পর দুটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন ছিলো গণতন্ত্রের স্বার্থে, কিন্তু তা বিভিন্ন কারনে সঠিক রূপ লাভ করতে পারেনি।
সেই ১৯৮৮ সালের আগষ্টে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে লোকজন তেমন নেই। ধানমন্ডি লেকের দিকে চোখ পরে। মনে হল পানি থই থই করছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে দু একদিনের মধ্যে রাস্তায় পানি উঠে যাবে। তাই হতে থাকে। মৌচাক থেকে রামপুরা যাবার একমাত্র সড়কে পানি উঠে যায়। মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে নৌকা চলে। আমার বাসা তখন টিকাটুলি ইলিসিয়াম রেষ্ট হাউজে। টিকাটুলির রাস্তায়ও পানি। আমার বড় বোনের বাসা মিরপুর কাজীপাড়ায়। তাদের দোতলা বাসার নীচতলার পুরোটাই পানিতে ডুবে যায়। নৌকা করে তারা কোনোরকমে ঐ বাসা ছেড়ে অন্য এলাকায় আশ্রয় নেয়। মিরপুরের রোকেয়া স্মরণীতে তখন গয়না নৌকা চলে।
এই অবস্থায় প্রতিদিন টিকাচুলি থেকে নৌকা করে মৌচাক পর্যন্ত আসি। কিছু কিছু জায়গায় হাঁটতেও হয়। রাবারের তৈরী জুতা ছাড়া পথে বের হওয়া যেতো না। মৌচাকে বিটিভির গাড়ি দাড়িয়ে থাকে। বড় চাকার ওবি ভ্যান। পানি কাটতে কাটতে ঐ ভ্যান যাতায়াত করে। বিটিভি ভবন অবশ্য পানি মুক্ত থাকে। ভবনের নীচতলায় অনেকেই এসে আশ্রয় নেয়। রামপুরা থেকে গুলশান যাবার যে রাস্তা, টিভি ভবনের উত্তর দিকে, সেখানে একটি সেতু ছিলো, রিকশা চলতো কোনোভাবে। সেটিও ভেঙে যায়। বনশ্রী তখনো তৈরি হয়নি। এখনকার যে বনশ্রী, আফতাবনগর সেখানে ছিলো বিল আর খাল। বসুন্ধরায় কিছু বাড়ি তৈরি হয়েছে। সব তখন পানির তলে। মনে হয় যেনো এক সাগর যা বঙ্গোপসাগরের সাথে একাকার হয়ে গেছে।
ঢাকার এই বন্যা তখন সারা বিশ্বের পত্র-পত্রিকা, বেতার-টিভিতে মুখ্য আলোচনার বিষয়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে সাংবাদিকেরা ক্যামেরা সাথে নিয়ে আসছে ঢাকায়। ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে বেশি এসেছে। জাপান ও কোরিয়া থেকেও এসেছে। বিকালের পর থেকে বিটিভিতে বিদেশী সাংবাদিকেরা আসা শুরু করতো। কেউ কেউ রাতে বিটিভিতেই থেকে যেতে। তিন তলায় ঐ সব সাংবাদিকদের বিশ্রামের জন্য আলাদা কক্ষ ছিলো। স্যাটেলাইট বুকিং দেয়া থাকতো। এক এক করে সকলে তার নিজ নিজ টিভি স্টেশনে বাংলাদেশের বন্যার রিপোর্ট পাঠাতো বিটিভি কন্ট্রোল রুম থেকে। ঐ সব রিপোর্টারদের মধ্যে দু-চার জনের সাথে বন্ধুত্বও তৈরী হয়ে যায়।
এই যখন অবস্থা তখন বিটিভিতে বন্যার উপর কিছু রিপোর্টিং হয়, বিশেষ করে প্রেসিডন্ট এরশাদের সাথে থাকা ইএনজি (ইলেকট্রনিক নিউজ গ্যাদারিং) ইউনিটের মাধ্যমে। সে সময় বিটিভিতে টিভি রিপোর্টারের কোনো পদ ছিলো না। সকল রিপোর্টিং বার্তা বিভাগের প্রযোজকরাই করতেন। এরশাদ প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্যাকবলিত অঞ্চলে চলে যেতেন। নিজ হাতে ত্রাণ বিতরন করতেন। কখনো কখনো হাঁটু সমান পানিতে নেমে যেতেন বানভাসী মানুষের কথা শোনার জন্য। সেসব ক্যামেরায় ধারণ করা হতো যা রাত আটটা ও দশটার সংবাদে প্রচার করা হতো। এরশাদ আবেগপ্রবণ মানুষ ছিলেন এবং তিনি সেটা টিভি পর্দায় দেখাতে পছন্দ করতেন। অতএব তিনি বন্যার উপর একটি গান লিখে ফেললেন। গানের কথা -
তোমাদের পাশে এসে বিপদের সাথী হতে
আজকের চেষ্টা অপার,
তোমাদের সাথে মিশে সব ব্যাথা বুকে নিয়ে
আমিও যে হবো একাকার...।
শিল্পী এন্ড্রু কিশোর এর কন্ঠে এই গানটি (মিউজিক ভিডিও) তখন প্রতিদিন চার-পাঁচবার বিটিভিতে প্রচারিত হতো বিশেষ বিশেষ সময়ে। গানটির সুরকার আজমল হুদা মিঠু। প্রেসিডন্ট এরশাদই ছিলেন মিউজিক ভিডিওটির প্রধান চরিত্র। দক্ষতার সাথে বার্তা বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং অনুষ্ঠান বিভাগ থেকে আলাদা ভাবে ক্যামেরা পাঠিয়ে মিউজিক ভিডিওর শুটিং সম্পন্ন করা হয়। অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ভিডিওটি নির্মাণ করা হয়। গানের কথা, সুর ও দৃশ্যায়ন মর্মস্পর্শী ছিলো, তাই হয়তো অনেকেরই মনে গেঁথে আছে এখনো। ১৯৮৮ সালের বন্যা আমাদের ইতিহাসের এক করুণ অধ্যায়।
যখন সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের বন্যার খবর, তখন বিটিভিতে ঐ একটি গান আর সংবাদে রাষ্ট্রপতিকে দেখার মাঝে মাঝে বন্যার কিছু দৃশ্য, এটা হতে পারে না। একদিন অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান জরুরি সভা ডাকলেন। তিনি বললেন বন্যার উপর অনুষ্ঠান করতে হবে। বিদেশ থেকে এসে, একটি ব্যকপ্যাকে শুকনো খাবার আর ক্যামেরা নিয়ে যদি একজন টিভি জার্নালিস্ট হাতিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা, লালমোহনসহ বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পরতে পারে, সেখানে আমরা কি করছি! আমি ও সালেক খান বললাম আমরা অনুষ্ঠান করবো। দুটি টিম তৈরি করা হলো। সালেক তার ক্যামেরা ইউনিট নিয়ে চলে গেলো কক্সবাজারের উপকূল অঞ্চলে। ও যখন ফিরবে তখন আমি যাবো ঐ সব অঞ্চলে। তার আগে আমি ঢাকার বন্যা নিয়ে কিছু কাজ করবো। অনুষ্ঠানের নাম ঠিক করা হলো ‘প্রবাহ’- একটি টেলিভিশন প্রতিবেদন। প্রতিটি অনুষ্ঠান হবে ২৫ মিনিটের। অনুষ্ঠানটি আমি ও সালেক খান নিজেরাই উপস্থাপনা করতাম। আমাদের টিমে ছিলো একজন ক্যামেরাম্যান, একজন প্রযোজনা সহকারী, আর গাড়িসহ একজন ড্রাইভার। টিম যতোটা ছোট করা যায়।
আমার প্রথম কাজটি ছিলো ‘বিদেশী সাংবাদিকদের চোখে বাংলাদেশের বন্যা’। উপকুল অঞ্চল থেকে বিদেশী সাংবাদিকেরা ঢাকায় এসে থাকতেন সোনারগাঁও হোটেলে। হোটেলের সামনেও তখন পানি। একদিন সকালে হোটেলে চলে গেলাম। কিছু সাংবাদিককে আগেই বলে রেখেছিলাম। সবাই যার যার মতো তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন। ঐ সব রিপোর্টারদের কাজ দেখে মুগ্ধ হতে হয়। তিন-চারদিন উপকূল অঞ্চলে কাটিয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় ঢাকা ফিরেছেন এক একজন। রাতে কেউ কেউ স্কুল ঘরে কাটিয়েছেন, কেউ কেউ কারো বিধ্বস্ত বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। এয়ার ফোর্সের হেলিকপ্টারে করে তারা চলে যেতেন জলবন্দী এলাকায়। অধিকাংশ সময় হেলিকপ্টার ল্যান্ড করতে পারতো না। দড়ি বেয়ে নীচে নামতে হতো। একইভাবে অথবা অন্য কোনো উপায়ে তারা ঢাকা ফিরে আসতেন।
সাংবাদিকদের নাম এখন আর মনে নেই। তবে তাদের চেহারা এখনো কিছু কিছু মনে আছে। ঐ দলে একজন পরিচিত সাংবাদিক ছিলেন, বিবিসির মার্ক টালি। তিনি শুধু তার কথাই বলেননি বিটিভির ক্যামেরায়, সোনারগাঁ হোটেলে আমাদের আপ্যায়নও করিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানটি বেশ সাড়া ফেলে তখন। প্রেসিডেন্ট এরশাদও পছন্দ করেন। সাংবাদিকদের অনেকেই তখন অনুষ্ঠানটি ক্যাসেটবন্দী করে নিজ নিজ দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন।
এরপর নানা অনুরোধ আসতে থাকে বিভিন্ন ত্রাণ কার্যক্রমের উপর অনুষ্ঠান করার জন্য। সব অনুরোধ রাখা সম্ভব হয় না। তবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের উপর একটি অনুষ্ঠান করতে হয়। মেয়র কর্নেল আব্দুল মালেক অত্যন্ত অমায়িক ভদ্রলোক। তিনি আমাদের সাথে করে অনেক এলাকায় নিয়ে যান। বন্যায় সিটি কর্পোরেশনের ত্রাণ কার্যক্রম দেখালেন। বন্যায় রাস্তা ঘাট কিভাবে নষ্ট হয়ে গেছে তার বর্ণনা করলেন। পানীয় জলের অভাব। রান্নার চুলা পানিতে ডুবে গেছে। ঢাকা শহরেই অনেকেই ঘরের মাঝে মাঁচা করে থাকেন। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে নিকটবর্তী স্কুলে বা আশ্রয়কেন্দ্রে। ত্রাণ কার্যক্রমে মূলত শুকনো খাবার, বোতলজাত খাবার পানি এগুলো দেয়া হয়। বিভিন্ন এলাকায় লঙরখানা খোলা হয়েছে। অভুক্ত মানুষের ভীর। কর্নেল মালেকই সে সময় বলেন ঢাকার চারপাশে বেরী বাঁধ দিয়ে রিং রোড তৈরীর প্রকল্পের কথা। ঢাকার ড্রেনেজ সিস্টেম সময় উপযোগী করে পুনঃনির্মান করার কথা। বন্যা শেষে এ সকল রাস্তাঘাট আর যে চলাচলের উপযোগী থাকবেনা, সে কথা।
কাজ শেষ করতে করতে বিকাল হয়ে যায়। মেয়র অফিস তখন পুরানো ঢাকায়। সকলেই তখন ক্লান্ত। মেয়র সাহেব আমাদের সাথে দুপুরের খাবার খেলেন সেদিন সন্ধ্যায় তার অফিসের সভাকক্ষে। তারপর আমাকে তার রুমে নিয়ে গিয়ে একটি মোটা খাম নিজ হাতে আমার পকেটে ঢুকিয়ে দিলেন। ঐ খামে কি আছে জিজ্ঞেস করার পর বললেন, আপনাদের জন্য কিছু টাকা বরাদ্দ করা আছে। গ্রহন করলে খুশী হবো। বললাম সেটাতো সম্ভব না, আমরাতো আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি, বলেই আমি প্যাকেটটা তার টেবিলে রেখে দিলাম। তিনি একটু বিস্মিত হলেন বলে মনে হলো। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বললেন, এই টাকাটাতো একাউন্টস বিভাগে এখন ফেরত দেয়া যাবেনা। বললাম, তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে এই টাকাটা আপনাদের ত্রাণ প্রকল্পে দিয়ে দেন। তিনি সাথে সাথে তার প্রধান ত্রাণ কর্মকর্তাকে ডেকে পাঠালেন এবং টাকাটা ত্রাণের জন্য বুঝে নিতে বললেন।
পরদিন সকালে অফিসে আসার পর অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান খবর পাঠালেন তার রুমে দেখা করার জন্য। বললেন, ‘গতকাল রাতে ঢাকার মেয়র কর্ণেল মালেক ফোন করেছিলেন। তিনি খুবই আবেগপ্রবণ কন্ঠে আমাকে সব খুলে বলেছেন। এভাবে তোমরা বিটিভির সম্মান সবসময় ধরে রাখবে।’ কয়েকদিন পর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে আমার নাম উল্লেখ করে প্রবাহ টিমের জন্য একটি ক্রেষ্ট পাঠানো হলো।
১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ এর নেতৃত্বে যে সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছিলো কর্নেল মালেক ছিলেন সেই গ্রুপের একজন সেনা অফিসার। ৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছিলেন মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা ও মেজর হায়দার। কর্নেল মালেক অবশ্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে তাকে ঐ বছরেই চাকুরী থেকে অবসরে পাঠানো হয়। পরবর্তিতে তিনি এরশাদ সরকারের সময় ঢাকার মেয়র হন।
চলবে...
আগের পর্ব পড়ুন
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৯
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৮
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৭
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৬
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৫
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৪
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৩
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২২
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২১
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২০
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৯
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৮
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৭
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৬
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৫
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৪
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৩
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১২
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১১
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১০
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৯
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৮
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৭
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৬
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৫
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৪
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা
- ধারাবাহিক অনুবাদ উপন্যাস
১৯৮৪ ।। মূল: জর্জ অরওয়েল ।। অনুবাদ: মাহমুদ মেনন - ধারাবাহিক অনুবাদ উপন্যাস
১৯৮৪ ।। মূল: জর্জ অরওয়েল ।। অনুবাদ: মাহমুদ মেনন [পর্ব-৩] - শোকস্রোতের নীলমণি: নাট্যদিশারী আফসার আহমদ
- ধারাবাহিক অনুবাদ উপন্যাস
১৯৮৪ ।। মূল: জর্জ অরওয়েল ।। অনুবাদ: মাহমুদ মেনন, [পর্ব-২] - ভ্রমণকাহিনী: ইরানি গোলেস্তান আর ঝর্ণার গল্প
- ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৩
- রশীদ হায়দার আর নেই
- ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৪
- সিলভিয়া প্লাথের শেষ বই