ওজন বাড়াতে যে ৪ ফল খাবেন
ওজন বাড়াতে যে ৪ ফল খাবেন
বর্তমান সময়ে অনেকেই ওজন কমানোর চেষ্টা করে। আবার শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন অনেকে। বিশেষ করে যারা রোগা-ছিপছিপে এবং কম ওজন থাকায় সমস্যায় পড়েন। অনেক চেষ্টার পরেও তাদের শরীরের গঠন ঠিক হয় না।
ওজন কমাতে যেমন বাদ দিতে হয় কিছু খাবার, তেমনি ওজন বাড়াতে দারুণ কার্যকর কিছু খাবার। আজ আমরা এমন কিছু ফলের কথা বলব যা দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
কলা
ওজন বাড়াতে চাইলে কলার চেয়ে ভাল বিকল্প আর হতে পারে না। এগুলি কেবল পুষ্টিকর নয়, এতে ভাল পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরিও রয়েছে। একটি মাঝারি আকারের কলায় ১০৫ ক্যালোরি, প্রোটিন ১ গ্রাম, চর্বি ০.৪ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ২৭ গ্রাম, ফাইবার ৩ গ্রাম এবং ২৬ শতাংশ ভিটামিন বি৬ থাকে। এটি ওটমিল, স্মুদি বা দইয়ের সঙ্গে খেলে ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
নারকেল
নারকেলে অনেক ধরনের গুণ পাওয়া যায় এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। এছাড়াও এতে ভাল পরিমাণে ক্যালোরি, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা ওজন বাড়াতে সহায়ক। ২৮ গ্রাম নারকেলে ৯৯ ক্যালোরি, ১ গ্রাম প্রোটিন, ৯.৪ গ্রাম ফ্যাট, ৪.৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.৫ গ্রাম ফাইবার, ১৭% ম্যাঙ্গানিজ এবং ৫% সেলেনিয়াম রয়েছে। এটি ফ্রুট স্যালাড বা স্মুদি হিসেবেও খাওয়া যায়।
আম
আম একটি সুস্বাদু ফল এবং প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর। কলার মতো আমও ক্যালোরির ভাল উৎস। এক কাপ আমে (১৬৫ গ্রাম) ৯৯ ক্যালোরি, ১.৪ গ্রাম প্রোটিন, ০.৬ গ্রাম চর্বি, ২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩ গ্রাম ফাইবার, ৬৭% ভিটামিন সি এবং ১৮% ফোলেট থাকে। এছাড়াও আমে ভিটামিন বি, এ এবং ই পাওয়া যায়।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এগুলিতে আরও ক্যালোরি এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। একটি মাঝারি আকারের অ্যাভোকাডোতে রয়েছে ১৬১ ক্যালোরি, ২ গ্রাম প্রোটিন, ১৫ গ্রাম চর্বি, ৮.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম ফাইবার, ১৭.৫ শতাংশ ভিটামিন কে এবং ২১ শতাংশ ফোলেট। অ্যাভোকাডোতে পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি, বি৫ এবং বি৬ পাওয়া যায়।
ড্রাই ফ্রুটস
ড্রাই ফ্রুটসে একেবারেই পানি থাকে না। এই ছোট আকারের ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। শক্তির পাশাপাশি ড্রাই ফ্রুটস ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। ড্রাই ফ্রুটসে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই এগুলি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বা প্রোটিনের সঙ্গে গ্রহণ করা ভাল।
ড্রাই এপ্রিকট
এপ্রিকট এমন একটি ফল যা তাজা এবং শুকনো উভয়ভাবেই খুব উৎসাহের সঙ্গে খাওয়া হয়। এতে রয়েছে ৬৭ ক্যালোরি, ০.৮ গ্রাম প্রোটিন, ০.১ গ্রাম ফ্যাট, ১৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ গ্রাম ফাইবার, ৬% ভিটামিন এ এবং ৮% ভিটামিন ই। ক্যালোরি ছাড়াও এতে বিটা ক্যারোটিনও ভাল পরিমাণে পাওয়া যায়। ওজন বাড়াতে পনির ও বাদাম দিয়ে খান।
ড্রাই ডুমুর
তাজা এবং শুকনো ডুমুর উভয়ই সুস্বাদু। ২৮ গ্রাম শুকনো ডুমুরে ৭০ ক্যালোরি, ১ গ্রাম প্রোটিন, ০.৩ গ্রাম ফ্যাট, ১৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩ গ্রাম ফাইবার, ৪% পটাসিয়াম এবং ৩.৫% ক্যালসিয়াম রয়েছে। আপনি এটি ওটস, দই বা স্যালাডে যোগ করেও খেতে পারেন। আবার কেউ কেউ তা পানিতে সিদ্ধ করেও খান।
খেজুর
খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর। ২৪ গ্রাম খেজুরে ৬৬.৫ ক্যালোরি, ০.৪ গ্রাম প্রোটিন, ০.১ গ্রাম চর্বি, ১৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১.৬ গ্রাম ফাইবার, ৪% পটাসিয়াম এবং ৩% ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এটি তামা, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং ভিটামিন বি৬- এর একটি ভাল উৎস। ক্যালোরির পরিমাণ বাড়াতে বাদাম মাখন বা নারকেল দিয়ে খেতে পারেন।
কিশমিশ
কিশমিশ অনেক আকার এবং রঙে পাওয়া যায়। ২৮ গ্রাম কিশমিশে ৮৫ ক্যালোরি, ১ গ্রাম প্রোটিন, ০.১ গ্রাম চর্বি, ২২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম ফাইবার, ৪.৫% পটাসিয়াম এবং ৩% আয়রন রয়েছে। আপনার খাদ্যতালিকায় কিশমিশ অন্তর্ভুক্ত করলে আপনার ক্যালরির পরিমাণ বাড়বে এবং আপনার ওজনও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- যেসব কারণে ত্বক কালো হয়ে যায়
- মেরুদণ্ডের যত্ন নিন
- কাঁচা পেঁপে কাজে পাকা
- সর্দি-কাশিতে কফ সিরাপ নয়, বিকল্প নাগালেই
- বয়সের ছাপ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেলে কী হয়?
- মুখের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়
- গুণে ভরা লাল কলা
- দক্ষ কর্মীরা কেন প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যায়?
- যে ১০ কারণে মানুষ ব্যর্থ হয়!