বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ || ১০ পৌষ ১৪৩১ || ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১৪ উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৫:২১, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

৩২১১

তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১৪ উপায়

অতিরিক্ত গরমে মানুষের অস্বস্তির শেষ নেই। দেখা দেয় নানা রোগ ব্যধি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে হিটস্ট্রোক দেখা দেয় অতিরিক্ত গরমের কারণে। কারো কারো বদ হজম দেখা দেয়।

অতিরিক্ত গরমে যারা বেশী পরিশ্রম করেন তাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে থাকে বেশী। যেমন: পানি শূণ্যতা, চামড়া পুড়ে যাওয়া বা খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে হতে পারে বমি বা ডায়রিয়া।

তাছাড়াও হতে পারে সর্দি-কাসি, অ্যালার্জি, অবসাদ, ঘামাচি ইত্যাদি। এসব অসুস্থতাকে পিছনে ফেলেই গরমের সময় মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। অতিরিক্ত গরমের ফলে উপরোক্ত অসুস্থতা থেকে খুব সহজেই একজন মানুষ ভালো থাকতে পারে।

চলুন জেনে নেই, অতিরিক্ত গরমে কিভাবে সুস্থ থাকা যায়। নিচে কয়েকটি টিপস দেওয়া হলো। যা আপনাকে অতিরিক্ত গরমে থেকে প্রশান্তি দেবে।

১. বিশুদ্ধ পানি পান:

গরমের সময় শরীর থেকে স্বাভাবিক ভাবে অনেক বেশী ঘাম বের হয়ে থাকে। যার ফলে দেখা দিতে পারে পানি শূণ্যতা। শরীরের মধ্যে যদি পানির পরিমাণ কমে যায় তাহলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।পানি শূণ্যতা দূর করতে হলে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে।

বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার পাশাপাশি ফলের জুস কিংবা কচি ডাবের পানি খেতে পারেন। দেহের ত্বককে ভালো রাখতে পানি, শরবত বা জুস পানের বিকল্প নেই।

গরমে সময় প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার বিশুদ্ধ পানি খেলে ডিহাইড্রেশন এবং পানি শূণ্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

২. খাবার স্যালাইন:

গরমের সময় ঘামের সাথে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবন বের হতে থাকে যার ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে খাবার স্যালাইন খেতে পারেন। বিকেল বেলা খাবার স্যালাইন খেলে অতিরিক্ত গরমেও শরীরে সতেজতা ফিরে আসে। আবার অনেকেই স্বাদযুক্ত স্যালাইন খান যেমন, টেস্টি স্যালাইন। ভুল করেও এসব খাবেন না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো ওরস্যালাইন । তবে আপনাদের মধ্যে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা খাবার স্যালাইন খাওয়ার আগে ভালো কোনো ডাক্তারের মতামত নেওয়া উচিৎ।

৩. রেড মিট পরিহার করুন:

অতিরিক্ত গরমের সময় গরু-ছাগলের গুস্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ গরমের সময় বা অতিরিক্ত গরমের সময় গরুর গুস্ত খেলে শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে বেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।গরু-ছাগলের গুস্ত ছেড়ে মাছ খেতে পারেন। আর অতিরিক্ত গরমে অবশ্যই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।

৪. সবুজ শাক সবজি

গরমের সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশি বেশি করে সবুজ শাক সবজি খেতে পারেন। সবুজ শাক সবজিতে অধিক পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল এবং খনিজ উপাদান থাকে। এতে করে অতিরিক্ত গরমেও শরীর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।তাছাড়াও খেতে পারেন তরমুজ যা শরীরে এনার্জি দিতে পারে।

৫. টক জাতীয় ফল:

প্রচুর গরমে সুস্থ থাকার উপায় হিসেবে টক জাতীয় ফল খেতে পারেন। যেমন: কামরাঙ্গা, লেবু, তেতুল, আমরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে অতিরিক্ত টক ফল খাওয়া ঠিক নয়। যদি কারো এসিডিটির সমস্যা থেকে থাকে তবে টক জাতীয় ফল খাওয়া হতে বিরত থাকুন। টক জাতীয় ফল খালি পেটে খাওয়া যাবে না। এতে করে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পারতে পাবেন।

৬. টক দই:

অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকতে হলে টক দই খেতে পারেন। যারা করা রোদে কাজ করেন বিশেষ করে তাদের জন্য অনেক উপকারী হলো টক দই।

রোদের প্রচুর তাপ থেকে শরীরকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে টক দই। টক দই শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে।

৭. প্রতিদিন গোসল করুন:

গরমের সময় প্রতিদিন এক বার করে হলেও গোসল করতে হবে। যদি পারেন তবে দিনে ২ বার গোসল করতে পারেন। গোসল করার ক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকতে হবে। বাহির থেকে এসে সাথে সাথে গোসল করতে যাবেন না। একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর গোসল করতে ডাবেন। কারণ হঠাৎ করে গরম থেকে এসে গোসল করলে ঠাণ্ডা লাগতে পারে।

৮. ঘরেই অবস্থান করুন:

অতিরিক্ত গরমে বিষেশ কোনো প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বাহিরে যাবেন না । যদিও বিভিন্ন কারণে বাহিরে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে রোদ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। যতটুকু সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করুন।

৯. শারীরিক পরিশ্রম কম করুন:

গরমের সময় অনেকেই আছে অতিরিক্ত ব্যায়াম করে থাকেন এমনটি করা যাবে না কারণ অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা একটু বেশী হয়ে থাকে।

১০. পাতলা সুতি কাপড় পরিধান করা:

গরমের সময় পাতলা সুতি কাপড় পরা দরকার। কারণ সাদা কাপড় তাপ শোষণ করতে পারে না বরং তাপের প্রতিফলন ঘটায় ও গরম কম লাগে।

১১. পারফিউম ব্যবহারে সতর্ক থাকুন:

অতিরিক্ত গরমে ঘামের গন্ধ থেকে বেচে থাকার জন্য অনেকেই সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে পারফিউম ব্যবহার না করাটাই উত্তম কাজ। কারণ, পারফিউম গরম লাগা বৃদ্ধি করে দেয়।

যদিও ব্যবহার করতে হয় তাহলে হালকা গন্ধের সুগন্ধি ব্যবহার করতে পাবেন। বাজারে কিছু সুগন্ধি পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে ঠাণ্ডা লাগে। সেগুলো ব্যবহার করলে আরো ভালো হয়।

১২. ধূমপান পরিত্যাগ করা:

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কিনা ধূমপান করে থাকি। ধূমপান করলে শরীরের তাপমাত্রা তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়। তাই প্রচন্ত গরমে সুস্থ থাকতে হলে ধূমপান পরিত্যাগ করতে হবে। যদিও এই অভ্যাসটি সহজে পরিত্যাগ করা যায় না। তাই যতটুকু পারেন ধূমপান কম করার চেষ্টা করুন।

১৩. চা কফি পরিত্যাগ করুন:

চা, কফি বা অ্যালকোহল খেলে শরীরের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। আর যদি অতিরিক্ত গরমে চা, কফি বা অ্যালকোহল খেয়ে থাকেন তাহলে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পারে যার ফলে হতে পারে হিটস্ট্রোক। তাই গরমের সময় চা কফি বা অ্যালকোহল খাওয়া করা থেকে দূরে থাকতে হবে।

১৪. শান্ত থাকুন:

মন মেজাজ গরম থাকলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়।রাগের কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং অতিরিক্ত গরমের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় আর দুই তাপমাত্রা বৃদ্ধি এক সাথে হলে কি অবস্থা হতে পারে এক বার হলেও সেটা ভেবে দেখবেন।

তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন অতিরিক্ত গরমে শান্ত থাকার জন্য মতামত দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য শান্ত থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank