বড় ব্যথার ঘরোয়া সমাধান
বড় ব্যথার ঘরোয়া সমাধান
মাহফুজা আফরোজ সাথী |
যেকোনো ব্যথা বলতে শারীরিক, মানসিক সংবেদনশীলতাকে বুঝায়। যা প্রকৃত ও সম্ভাব্য টিস্যুর ক্ষতির সাথে জড়িত। ব্যথা মানুষের মনোভাব, বিশ্বাস, ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়।
আজ আমরা জানবো বিভিন্ন শারীরিক ব্যথা উপশমে কি কি খাবার উপকারী ভূমিকা পালন করতে পারে।
দাঁতে ব্যথা: যাদের দাঁতে বা মাড়িতে ইনফেকশন আছে এবং ব্যথা হয় তারা আমাদের রান্নাঘরের অতিপরিচিত মশলা লবঙ্গ খেতে পারেন। লবঙ্গের আছে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী বৈশিষ্ট্য যার কারণে ওরাল হাইজিন ঠিক রাখতে ও ব্যথা উপশম করতে লবঙ্গের তুলনা হয় না। লবঙ্গ সেদ্ধ পানি খেতে পারেন তবে বেশি উপকার পাবেন যদি মাউথওয়াশ হিসেবে টানা ১৫-২০ দিন ব্যবহার করেন।
গ্যাসজনিত বুকের ব্যথা: যারা একটুতেই গ্যাস্ট্রিকজনিত বুকের ব্যথায় ভোগেন তারা খেতে পারেন আপেল সিডার ভিনেগার এবং দেশজ ত্রিফলার শরবত। ত্রিফলা বলতে বোঝায়- আমলকি, হরিতকী আর বহেরার মিশ্রণকে। সকালে খালি পেটে আধা কাপ পানিতে ১ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে পরিপাকতন্ত্রের পরিবেশ ভালো থাকে ফলে এসিডিটি হয় না এবং বুকের ব্যথা কমে। আর ত্রিফলার গুঁড়া ১ চা চামচ রাতে ১/২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে হবে অন্তত ১ মাস। কাজ করবে জাদুর মতন।
হাঁটু বা জয়েন্ট পেইন: আদা আমাদের অত্যন্ত পরিচিতি মশলা জাতীয় উপাদান। আমরা একে স্বাদবর্ধক হিসেবেই চিনি। কিন্তু না আদার রয়েছে এন্টিইফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য যা বাত, আর্থাইটিস ও বিভিন্ন জয়েন্ট পেইন কমাতে পারে। আদা কুচি করে রং চা বা গ্রিনটির সাথে খাওয়া যেতে পারে। অথবা চিকেন বা ভেজিটেবল সুপে দিয়ে খেতে পারেন আবার আদা সেদ্ধ জলও কুসুম গরম অবস্থায় খেলে ভাল উপকারে আসে। আরো একটি ফল এ ধরণের ব্যথা উপশম করে তা হলো চেরি। চেরিতে থাকা প্রাকৃতিক লাল রঙই ব্যথা নিরাময়ের জন্য কাজ করে। চেরি ফল হিসেবে খাওয়া যায়, জেলি করে খাওয়া যায়। আজকাল বাংলাদেশেই চেরি চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
এক সময় মানুষ খাবারের উপরই সকল রোগের চিকিৎসার জন্য নির্ভরশীল ছিল,আগামীতেও এমন দিন আসছে যখন মানুষ আবার সকল রোগের চিকিৎসায় খাবারের উপরই আস্থাশীল হবেন।
মাহফুজা আফরোজ সাথী: চীফ ডায়েটিশিয়ান, ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড, চট্টগ্রাম।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়