টক দইয়ের মিষ্টি কথা
টক দইয়ের মিষ্টি কথা
টক দইয়ের মিষ্টি কথা |
প্রায় ৪৫০০ বছর আগে থেকে পৃথিবীতে মানুষ দুধের তৈরি ভিন্ন এক খাবার খেয়ে আসছে। তা হলো টক দই। দুধের গাজনের ফলে টক দই তৈরি হয়। ল্যাকটোব্যসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে দুধের গাজনের ফলে ঘন থকথকে দই জমে। এতে আলাদা করে চিনি যোগ না করলে দইয়ের স্বাদ টক হয়। গাজনের ফলে ল্যাকটিক এসিড তৈরি হয় বলে দইয়ের স্বাদ সামান্য টক হয়। টক দইয়ের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
পুষ্টিগত দিক থেকে টক দই হলো প্রোটিনের ভালো উৎস। এটি হলো ক্যালসিয়ামের খাজানা। প্রতি ১০০ গ্রাম টক দই থেকে ৬৯ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। তবে এতে ১১ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় আর চর্বি মাত্র ৪.৩ গ্রাম। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য টক দই উৎকৃষ্ট খাবার।
তাছাড়া টক দই-এ আছে ক্যালসিয়াম, জিংক আর ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। আর যা আছে তা হলো প্রোবায়োটিকস্। আমাদের পাকস্থলীসহ অন্ত্রের বিপাকীয় পরিবেশ ভালো রাখার জন্য প্রোবায়োটিকসের জুড়ি নেই।
আরও পড়ুন: ডাবের পানির আদ্যোপান্ত
ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে। উচ্চরক্তচাপও রাখে নিয়ন্ত্রণে।
জিংক আমাদের দেহে তিনশো'রও বেশি এনজাইমের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যার অন্যতম প্রকাশ হলো রুচি বৃদ্ধি।
যারা কম খান বা খেতে পারেন না তাদের জন্য রুচিবর্ধক হবে টক দই।
আরও পড়ুন: শীতের সুস্থতায় সামান্য করণীয়
যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাদের জন্য মহৌষধ এই টক দই। প্রতিদিন টক দই খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
এমন অনেকেই আছেন যারা দুধ খেতে পারেন না, তারও নির্ভয়ে খেতে পারেন টক দই কেননা এতে ল্যাকটোজ গাজনের ফলে ভেঙে ল্যাকটিক এসিডে রূপ নেয়। ফলে হজমে আর কোন অসুবিধা থাকে না।
বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার জন্য উপযোগী খাবার হলো টক দই। মিষ্টি দইয়ে যেহেতু আলাদা করে ব্যবহার করা হয় চিনি তাই এর উপকারি দিক কিছুটা কমে যায়।
টক দই ডায়াবেটিক রোগীরাও খেতে পারে কিন্তু মিষ্টি দই খাওয়া নিষেধ, তাছাড়া অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ হওয়ায় তা ওজনও বাড়িয়ে দেয়। তাই দই খেলে টক দইই খাওয়া ভালো।
মাহফুজা আফরোজ সাথী: চীফ ডায়েটিশিয়ান, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়