দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেলে কী হয়?
দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেলে কী হয়?
দুধের বহু উপকারিতা রয়েছে। খেজুরও কোনো অংশে কম নয়। স্বাভাবিকভাবেই গরম দুধে খেজুর মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কেউ সকালের নাস্তায় খেজুর খান। আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কারও এক কাপ দুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে।
এ অভ্যাসে সামান্য হেরফের ঘটান। রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ বা গ্লাস গরম দুধে দুটি খেজুর ফেলে খান। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দৃষ্টিশক্তি-সব সমস্যার সমাধান মিলবে। এছাড়া ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। ঘন ঘন ঠাণ্ডা-সর্দি লাগবে না। ঘুমটাও ভালো হবে।
খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মন ফুরফুরা রাখতেও দারুণ কার্যকরী দুধ-খেজুর। একসঙ্গে খেলে যে যে উপকারিতা পাওয়া যাবে-
শরীরে শক্তি বাড়ে
খেজুরে আছে প্রাকৃতিক শর্করা। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি। একসঙ্গে দুটি মিশলে পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় অনেক। তাই নিয়মিত দুধে খেজুর ফেলে খান। শরীর দুর্বল লাগা, মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি পাবেন। যারা জটিল কোনও অসুখে ভুগছেন, তারা দুধ-খেজুর খেলে ভালো ফল পাবেন। পেট পরিষ্কার থাকবে।
চোখের সমস্যা দূর
অল্প বয়সে অনেকেই চোখে ঝাপসা দেখেন। বয়স হলে চোখে ছানি পড়ে অনেকের। তাই দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখতে খেজুর-দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। চোখে অঞ্জনির সমস্যায়, যারা একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন, তাদেরও তা খেতে বলছেন তারা।
ওজন বাড়ায়
অনেকেই আছেন ওজন বাড়াতে চান। কিন্তু হাজারো ওষুধ ও খাবার খেয়েও কাজ হয় না। তারা খেজুর-দুধ খেলে উপকৃত হবেন। এটি খুবই স্বাস্থ্যকর। টানা কয়েক সপ্তাহ খেলে ওজন বাড়বে। শরীরে কোষ বৃদ্ধি পাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে দুধ-খেজুর। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ কার্যকরী। এজন্য অনেকে দুধে ভেজানো খেজুর খান। এছাড়া হাড় শক্তিশালী করে দুধ-খেজুর। মাংসপেশী তৈরি করতেও দারুণ ভূমিকা রাখে এটি।
ত্বক ও চুলের যত্নে
দুধ-খেজুর ত্বক এবং চুলের যত্নে অনন্য। ত্বকের দাগ ছোপ দূর করে এটি। উপরন্তু হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরিয়ে আনে। ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ে, তারাও খেয়ে দেখতে পারেন খেজুর-দুধ। উপকার পাবেন নিশ্চিত।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়