ফেলনা নয় কলার খোসা
ফেলনা নয় কলার খোসা
কলার পুষ্টিগুণের কথা আমরা সবাই জানি। এককথায় সস্তায় পুষ্টি মেলে এতে। অনেকে প্রতিদিন একটি, দুটি করে এ ফল খান। কিন্তু খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেন। তবে আর ফেলবেন না। বরং সযত্নে রাখুন।
অবাক হচ্ছেন? এ আর্টিকেল পড়ার পর সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে। কলা যেমন উপকারি, এর খোসার উপকারিতাও কোনো অংশে কম নয়।একে নানা ঘরোয়া কাজে ব্যবহার করা যায়। এ নিয়েই আমাদের আয়োজন-
রূপার জিনিস চকচকে করতে
দীর্ঘদিন রূপার জিনিস পড়ে থাকলে বা ফেলে রাখলে কালো হয়ে যায়। ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলে। ফলে জিনিসটি পরতে ভালো লাগে না। তবে িএকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে কলার খোসা।
এ দিয়ে পেস্ট বানান। এরপর আধা কাপ পানি মিশিয়ে তা পাতলা করুন। এ দিয়ে কয়েক মিনিট ভালো করে ঘষলেই রূপার জিনিস চকচকে হয়ে যাবে।
গার্ডেনিংয়ে
জৈব সার হিসেবে দারুণ কাজ করে কলার খোসা। একে ছোট ছোট করে কাটুন। সেগুলো মাটির নিচে পুঁতুন। তা থেকে মিথেন গ্যাস তৈরি হবে, যা গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
গাছের আশপাশে কলার খোসা ফেলুন। তা থেকে মাটি তৈরি হবে। যাতে থাকবে পরিপোষক পদার্থ। আবার সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন কলার খোসা। প্রতিদিন গাছে সাধারণ পানি দেয়ার সময় তা দিন। বৃক্ষ হু হু করে বাড়বে।
জুতা পালিশ করতে
জুতা পালিশ করতেও দারুণ কাজে দেয় কলার খোসা। এর এক টুকরো নিয়ে চামড়ার ওপর ভালো করে ঘষুন। দেখবেন জেল্লা দিচ্ছে। সব দাগ চলে যাবে।
ছারপোকা দূর করে
অনেক বাড়িতেই ছারপোকার উপদ্রব থাকে। এ সমস্যা সমাধানে একটা ঢাকনাযুক্ত প্লাস্টিকের বাকেট নিন। কলার খোসার মধ্যে কয়েকটা ছিদ্র করুন। এরপর তা বাকেটের মধ্যে রেখে দিন। খোসার মিষ্টি গন্ধে ছারপোকা আসবে। অতপর মারা যাবে।
শরীরের যে স্থানে ছারপোকা কামড়ায়, সেই জায়গা ফুলে যায়, ত্বকে র্যাশ বের হয়। কলার খোসা দিয়ে সেসব স্থান ঘষুন। এতে চুলকানি বন্ধ হবে।
ফার্স্ট এইড
কলার খোসায় থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। যা যেকোনও র্যাশ, মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
একটা কলার খোসা এক ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।িএরপর বের করে কপাল ও ঘাড়ে রাখুন। যতক্ষণ না ঠাণ্ডা ভাব যাচ্ছে রেখে দিন।
মাংস নরম করে
চিকেন রোস্ট বানানোর সময় এক টুকরো পাকা কলার খোসা দিন। আধ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। দেখবেন মাংস নরম হয়ে গেছে।
উপাদেয় খাবার
পানিতে ১০ মিনিট কলার খোসা সিদ্ধ করুন। এরপর জুসারে দিন। এর জুস বানিয়ে খেলে দারুণ উপকার হবে। সেই সঙ্গে স্ট্রবেরি বা কলাও মেশাতে পারেন।
কলার খোসায় থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ কার্যকরী। চায়ে তা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে পারেন। কলার খোসার দারুণ চাটনি হয়। একটু রেসিপি ঘাঁটলেই পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়