জেনে নিন ফিতা দিয়ে গবাদিপশুর ওজন মাপার সূত্র
জেনে নিন ফিতা দিয়ে গবাদিপশুর ওজন মাপার সূত্র
সারাদেশে ইতোমধ্যে আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে গবাদিপশু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। পশুর ওজন নির্ণয় করা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা অনেক সময় দ্বিধায় থাকেন। তবে একটি সূত্র জানা থাকলে ফিতা দিয়ে মেপেই খুব সহজে ওজন নির্ণয় করা যায়।
গরু কেনার সময় প্রায়ই ওজন নিয়ে চিন্তিত হন অনেকে। কেনার আগে নানাজনের কাছে জানতে চান, মাংস কত কেজি হবে। সঠিক ওজন বের করতে পারলে গরুর দাম নির্ধারণ করতে সহজ হয়। এ জন্য জানতে হবে গরুর ওজন মাপার সূত্র, লাগবে না মেশিন।
গরুর ওজন মাপার নিয়ম
যে গরুর ওজন নিতে চাচ্ছেন তাকে ভালোভাবে সোজা করে দাঁড় করাতে হবে। তারপর ফিতা দিয়ে প্রথমে লম্বা দৈর্ঘ্য বের করতে হবে। এজন্য লেজের গোড়া থেকে শুরু করে সামনের পায়ের জোড়ার গিট পর্যন্ত ফিতা ধরে দৈর্ঘ্য বের করতে হবে। এরপর সামনের দুই পায়ের কাছ দিয়ে ফিতার সাহায্যে বুকের বেড় কত ইঞ্চি তা পরিমাপ করতে হবে। এটি প্রস্থ হিসেবে ধরে নেয়া হয়। এ মাপের সংখ্যাও সঠিকভাবে লিখে রাখতে হবে। এরপর সূত্রে প্রয়োগ করে দ্রুত ওজন নির্ধারণ করা যাবে।
গরুর ওজন মাপার সূত্র
গরুর মোট ওজন= গরুর দৈর্ঘ্য X (গুণ) বুকের বেড় X (গুণ) বুকের বেড় / (ভাগ) ৬৬০
মনে করি, গরুটির দৈর্ঘ্য ৭০ ইঞ্চি এবং বেড় ৬০ ইঞ্চি। তাহলে গরুর আনুমানিক ওজন হবে (৭০X৬০X৬০)/৬৬০ = ৩৮১ কেজি (প্রসঙ্গত, প্রধান সূত্রে পাউন্ডে হিসেব করা হয়েছে কিন্তু এখানে সুবিধার জন্য কেজিতে দেখিয়ে ৬৬০ দ্বারা ভাগ করা হয়েছে)। এই সূত্রের সাহায্যে যে ওজন পাওয়া যাবে তা হলো গরুর নাড়িভুড়িসহ সবকিছুর ওজন।
এছাড়া বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ফিড মাস্টার ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট নামের অ্যাপ ব্যবহার করেও পশুর ওজন মাপা যায়।
শুধু মাংসের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন যেভাবে
অল্প সময়ে মধ্যে আপনি সূত্র ব্যবহার করে যে ওজন পেয়েছেন তার ৫৫-৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ওজনই হবে গরুর মাংসের ওজন। এটি নির্ভর করবে গরুর শারীরিক গঠনের ওপর, পেট খুব বেশি বড় না হলে অধিকাংশ গরুর শতকরা ৬৫ শতাংশ ওজনই মাংস হয়ে থাকে।
ফিতা পদ্ধতির মাধ্যমে ওজন নির্ধারণ সাধারণত ৯৫-১০০ ভাগই সঠিক হয়ে থাকে। তাই আপনি নিশ্চিন্তে এই সূত্র অনুসরণ করে পশুর ওজন নির্ধারণ করে ক্রয় করতে পারবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত দামে।
সুস্থ পশু চেনার উপায়
সুস্থ, পূর্ণবয়স্ক গরুর দাঁত দেখে ৫ বছর পর্যন্ত বয়স শনাক্ত করা যায় নিখুঁতভাবে। দুই বছর বয়সী একটি সুস্থ গরুর দুইটি স্থায়ী কর্তন দাঁত থাকে। ৩ বছর বয়সে চারটি, ৪ বছর বয়সে ছয়টি ও ৫ বছর বয়সে পুরো মুখে সর্বমোট আটটি স্থায়ী কর্তন দাঁত থাকে। দাঁতগুলো অক্ষত এবং দেখতে সুন্দর হয়।
দিনের আলো থাকতেই গরু কেনা ভালো। কেননা, রাতের বেলায় পশু রোগাক্রান্ত নাকি সুস্থ তা ভালোভাবে বোঝা যায় না। অন্ধকারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অসুস্থ গরু কেনার সম্ভাবনা থাকে।
সুস্থ গরু চেনার জন্য পশুর মুখের সামনে কিছু খাবার দিয়ে দেখতে পারেন। সুস্থ হলে এটি নিজ থেকে জিভ দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকবে। অসুস্থ গরু সচরাচর খেতে চায় না।
এছাড়া পশুর নাকের দিকে লক্ষ্য করতে হবে। সুস্থ গরুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে। পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- যেসব কারণে ত্বক কালো হয়ে যায়
- মেরুদণ্ডের যত্ন নিন
- কাঁচা পেঁপে কাজে পাকা
- সর্দি-কাশিতে কফ সিরাপ নয়, বিকল্প নাগালেই
- বয়সের ছাপ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেলে কী হয়?
- মুখের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়
- গুণে ভরা লাল কলা
- দক্ষ কর্মীরা কেন প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যায়?
- যে ১০ কারণে মানুষ ব্যর্থ হয়!