স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে আছেন কি না, কী লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে?
স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে আছেন কি না, কী লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে?
বর্তমানে কম বয়সী নারীরাও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্তনের কোষ ও টিস্যুতে এই ক্যানসার বিকাশ লাভ করে। কোষ যখন অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায় তখন স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যান্য ক্যানসারের মতো এটিও প্রথমে টিউমার হিসেবে দেখা দিতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করালে এই টিউমারই ক্যানসারে পরিণত হয়। আরও দেরি হলে ক্যানসারের কোষ দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
স্তন ক্যানসার মানেই যে মৃত্যু এমনটা ঠিক নয়। সময়মতো রোগ নির্ণয় হলে এটি সারিয়ে তোলা সম্ভব। এজন্য স্তন ক্যানসারের লক্ষণগুলো জানা দরকার।
স্তনে মাংসপিণ্ড (লাম্প) অনুভব করা, র্যাশ ছাড়া স্তনের চারপাশে চুলকানি, স্তন্যপান না করালেও স্তনবৃন্ত থেকে তরল পদার্থ নির্গত হওয়া, ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি স্তন ক্যানসারের লক্ষণ। অনেকের ক্ষেত্রে এটি শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে। তাই নিয়মিত স্তন ক্যানসারের পরীক্ষা করানো দরকার।
স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে কি না সেই পরীক্ষা একজন নারী নিজেই ঘরে করতে পারেন। নিয়মিত এই পরীক্ষা করলে দ্রুত অসঙ্গতি চোখে পড়ে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব হয়। কীভাবে ঘরে স্তন পরীক্ষা করবেন? চলুন জানা যাক-
রঙের পরিবর্তন
আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান। কাঁধ সোজা রাখুন। এবার কোমরে হাত দিয়ে স্তনের দিকে তাকান। এবার দুই হাত উপরে তুলে দেখুন স্তনের আশেপাশের ত্বকে রঙের কোনো পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন কি না। যদি কোনো পরিবর্তন দেখা দেয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
স্তনে অস্বাভাবিকতা
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন আপনার স্তনে অস্বাভাবিকতা রয়েছে কি না। স্তনের রং থেকে শুরু করে আকৃতি, স্তনবৃন্ত, স্তনবৃন্ত থেকে নির্গত তরল পদার্থ সব খেয়াল করুন। কোনো একটি উপসর্গ দেখা দিলে বুঝবেন স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আলতো চাপ
বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। ডান হাত মাথার পিছনে রাখুন। বাম হাতের মাঝের আঙুল দিয়ে ডান স্তনের উপর আলতো করে চাপ দিন। স্তনের টিস্যু অনুভব করুন। কোনও শক্ত মাংসপিণ্ড অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এভাবে নিজেই চেকআপ করতে পারেন। প্রতিমাসে একবার করে স্তন পরীক্ষা করুন। এতে স্তন ক্যানসার হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়বে। থাকবে বাঁচার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়