আসল ইলিশ চেনার উপায়
আসল ইলিশ চেনার উপায়
মাছের রাজা ইলিশ, স্বাদের রাজাও ইলিশ। ভাজা, ভুনা, ঝোল, খিচুড়ি বা পোলাওয়ের সঙ্গে খাওয়া যায় এই প্রিয় মাছ। শুধু স্বাদের জন্যই সেরা নয়, এর মধ্যে আছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। এতে ভিটামিন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও সেলেনিয়ামের গৌণ খনিজ লবণ রয়েছে। এ ছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রাকৃতিক উৎস যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তবে অনেক সময় কাক্সিক্ষত ইলিশটি পাওয়া যায় না। বাজারে পাওয়া যায় চন্দনা ইলিশ, গুপ্তা ইলিশ, পদ্ম ইলিশ, মেঘনার ইলিশ। কিন্তু অনেকের পছন্দের তালিকায় থাকে পদ্মা ও মেঘনার ইলিশ। সেক্ষেত্রে অনেকেই ইলিশ চিনতে পারেন না বলে পদ্মা ও মেঘনার ইলিশের পরিবর্তে অন্য প্রজাতির ইলিশ কিনে বাড়ি ফেরেন। আসল ইলিশের আছে স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য। বাজারে ঠিক ইলিশের মতো দেখতে সার্ডিন মাছ পাওয়া যায়। অসাধু ব্যবসায়ীরা এগুলো ইলিশ বলে বিক্রি করে। রুপালি ইলিশ চিনতে হলে আগেই এর বৈশিষ্ট্য জানতে হবে।
আসল ইলিশ চেনার উপায়
পদ্মা আর মেঘনার ইলিশের রঙ উজ্জ্বল রুপালি। অন্যদিকে হিমায়িত সমুদ্রের ইলিশের রঙ হয় অনুজ্জ্বল, ফ্যাকাসে ধরনের। টাটকা ইলিশ শক্ত থাকে। টাটকা ইলিশ হাত দিয়ে উঁচু করে ধরলেও আকারের পরিবর্তন হবে না। অন্যদিকে হিমায়িত বাসি ইলিশ নরম হয়। হাতে দিয়ে পেটের কাছে ধরলেই মাথা ও লেজা নিচের দিকে হেলে পড়বে।
পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ অনেকটা গোলাকার। অর্থাৎ মাছের পেটের অংশ হয় মোটা আর চওড়া, আর সমুদ্রের ইলিশের পেটের দিকটা সরু হয়।
ইলিশ কেনার আগে অবশ্যই মাছের কান দেখে নিতে হবে। টাটকা ইলিশের কান হয় টকটকে লাল রঙের। আর হিমায়িত বাসি ইলিশ হলে কান হবে বাদামি বা কালচে রঙের। টাটকা ইলিশের চোখ স্বচ্ছ আর উজ্জ্বল। হিমঘরে রাখা ইলিশের চোখ ঘোলাটে ও ভেতরের দিকে ঢুকে থাকে।
এ ছাড়া সার্ডিন মাছও অনেকে ইলিশ বলে বিক্রি করে। সার্ডিন বা চন্দনা ইলিশের দেহের দৈর্ঘ্য সাত থেকে বিশ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর আসল ইলিশ বেশ
বড় (৭৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত) হয়ে থাকে।
সার্ডিনের মাথার আকৃতি ছোট ও অগ্রভাগ ভোতা। আর ইলিশের মাথার আকৃতি লম্বাটে ও অগ্রভাগ সুচালো। সার্ডিনের পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রভাগে এবং পুচ্ছ পাখনার কিনারা ঘোলাটে। ইলিশের পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রভাগে এবং পুচ্ছ পাখনার কিনারা অনেকটা সাদাটে। সার্ডিনের চোখের আকৃতি বড়। আসল ইলিশের চোখের আকৃতি তুলনামূলকভাবে ছোট।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়