শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চোখ ওঠা সমস্যায় যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০১:২৪, ৪ অক্টোবর ২০২২

১৪৫১

চোখ ওঠা সমস্যায় যা করবেন

বর্তমানে চোখ ওঠা বা কনজেক্টিভাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরিবারের কোনো এক সদস্যের চোখে এই সমস্যা দেখা দিলে অন্যান্যদের মধ্যেও পালাক্রমে ঘটছে সংক্রমণ। ছোঁয়াচে এই সংক্রমণের পেছনে দায়ী ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অ্যালার্জেন।

এই সংক্রমণের ফলে চোখ গোলাপি বা লালচে হয়ে যায়, একই সঙ্গে চোখে কাঁটার মতো অনুভূতি হয়। এছাড়া চোখ দিয়ে পানি পড়া, সাদা স্রাব জমা, চোখ জ্বালাপোড়া, ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে না পারা, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি যন্ত্রণাদায়ক লক্ষণ দেখা দেয়।

যদিও চোখ ওঠার সমস্যা নিজ থেকেই সেরে যায় কিছুদিনের মধ্যে, তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে এর যন্ত্রণাদায়ক লক্ষণগুলো থেকে স্বস্তি লাভ করতে পারে।

একই সঙ্গে চোখের এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু বিষয়ের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক চোখ উঠলে বা কনজেক্টিভাইটিস হলে কী করবেন আর কী করবেন না-

ঠান্ডা সেঁক নিন

কনজেক্টিভাইটিসের কারণে চোখের চারপাশে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। যা যন্ত্রণাদায়ক। এক্ষেত্রে চোখের জ্বালাপোড়া, ব্যথা এমনকি ফোলাভাব কমাতে ঠান্ডা সেঁক নিন। যা প্রদাহ কমাতে ও এই লক্ষণগুলোকে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।

এজন্য ঠান্ডা পানিতে একটি পরিষ্কার রুমাল বা ছোট তোয়ালে ভিজিয়ে তার থেকে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন। এবার ভেজা রুমালটি কয়েক মিনিটের জন্য আক্রান্ত চোখের উপর ধরে রাখুন।

তবে খেয়াল রাখবেন পরিবারের অন্য কেউ যেন ওই রুমাল আর ব্যবহার না করেন, সেক্ষেত্রে তাদের মধ্যেও কিন্তু ছড়াতে পারে কনজেক্টিভাইটিস। এমনকি এক রুমাল দ্বিতীয়বার ব্যবহার না করাই ভালো ঠান্ডা সেঁক নেওয়ার জন্য।

ভেজা কাপড়ে চোখ পরিষ্কার

পিঙ্ক আইজ বা গোলাপি চোখ কিংবা কনজেক্টিভাইটিস ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে হয়। এক্ষেত্রে চোখ থেকে ঘন স্রাব বা পুঁজ বের হতে পারে। ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠলে দেখা যায় অনেকেই চোখ খুলতে পারেন না।

কারণ পুঁজ দ্রুত শুকিয়ে যায় ও চোখের পাঁপড়ির সঙ্গে তা শুক্ত হয়ে লেগে যায়। ফলে চোখ খুলতে কষ্ট হয়। এমন হলে অবশ্যই একটি হালকা গরম ভেজা কাপড় দিয়ে আলতো হাতে চোখ পরিষ্কিার করতে হবে। তবে চোখ জোরে জোরে ঘষা যাবে না।

চোখের ড্রপ ব্যবহার

চোখ ওঠার সমস্যায় স্বস্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন চোখের ড্রপ। চোখের জ্বালাপোড়া, পানি পড়া, ব্যথা বা কাঁটার মতো অনুভূতি সারাতে ওটিসি চোখের ড্রপ কিনে ব্যবহার করতে পারেন।

চোখের ড্রপগুলো তাদের জন্য বিশেষ সহায়ক, যদি কেউ অ্যালার্জির কারণে কনজেক্টিভাইটিসে ভোগেন। এক্ষেত্রে ড্রপ চোখ পরিষ্কার করতে ও অ্যালার্জেন পদার্থগুলো অপসারণে করতে সহায়তা করে।

ব্যথা উপশমকারী ওষুধ

কিছু ওটিসি ওষুধও গোলাপি চোখ বা কনজেক্টিভাইটিসের ব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে। তবে এই সমস্যা ওষুধের মাধ্যমে নিরাময় করা যায় না।

ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস (এনএসএআইডি’স) যেমন- আইবুপ্রোফেন, প্রদাহে সাহায্য করতে পারে। অ্যালার্জির ওষুধও অ্যালার্জিজনিত গোলাপি চোখের লক্ষণগুলো থেকে মুক্তি দিতে পারে।

যা যা করবেন না

>> ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরালজনিত কনজেক্টিভাইটিস খুব সংক্রামক। বারবার চোখ-মুখ স্পর্শ করার অভ্যাস যাদের মধ্যে আছে তাদের মধ্যে এটি খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এজন্য চোখ-মুখ স্পর্শের আগে অবশ্যই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। আক্রান্তদের কাছ থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখুন।

>> চোখের সংস্পর্শে আসা টিস্যু, ওয়াশক্লথ বা তোয়ালে পুনরায় ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

>> উপসর্গগুলো চলে না যাওয়া পর্যন্ত কন্টাক্ট লেন্স বা চোখের মেকআপ এড়ানো উচিত।

>> আক্রান্ত চোখে বারবার হাত লাগাবেন না বা ঘষবেন না।

সূত্র: হেলথলাইন

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank