সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ || ৯ পৌষ ১৪৩১ || ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

যেসব খাবার ফ্রিজে রাখা ঠিক না

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২১:১৪, ২৬ আগস্ট ২০২২

১৮৯০

যেসব খাবার ফ্রিজে রাখা ঠিক না

বাজার থেকে আনা শাকসবজি আর ফলমূল আরও কিছুদিন সতেজ রাখার ক্ষেত্রে রেফ্রিজারেটরের বিকল্প নেই। তবে সব খাবার কি ফ্রিজে রাখা যায়? উত্তর হলো- না। এমন কিছু ফল বা খাদ্য উপাদান রয়েছে যা ফ্রিজে রাখলে বরং তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। বদলে যায় স্বাদও। এমনকি রঙয়েও দেখা যায় পরিবর্তন।

কোন খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত:

দুধ

দুধ ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে দু’টি স্তরে ভাগ হয়ে যায়। পানীয় স্তরের ওপর ছোট ছোট চাক ভাসতে থাকে। অনেক বেশি কোমল আকার ধারণ করে। যদিও এই দুধপানে কোন রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। তবে ফ্রিজে রাখা দুধ দিয়ে কোনো খাবার রান্না করলে তার স্বাদ ভালো হয় না। এই দুধ চা বা কফি বানানোর জন্যও উপযুক্ত নয়। 

আলু

আলুতে খুব বেশিমাত্রায় পানি থাকে, তাই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয়। বিশেষ করে কাঁচা আলু ফ্রিজে রাখবেন না। ফ্রিজে রাখা আলু নরম হয়ে যায়। তবে, রান্না করা আলুর তরকারি ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।

তেলে ভাজা খাবার

তেলে ভাজা খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে মচমচেভাব নষ্ট হয়ে নরম হয়ে যায়। 

ছিদ্রযুক্ত ডিম

ছিন্দ্রযুক্ত ডিম ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন না। কারণ, ছোট-ছোট ছিদ্র দিয়ে পানি ডিমের ভেতরে পৌঁছে যায়, আবার পানি উপচে পড়ে। এর সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে যায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। যদি ফ্রিজে ডিম সংরক্ষণ করতেই চান, তবে ডিমের কোনো অংশ ফাটা বা ছিদ্র যুক্ত আছে কি না দেখে নিন। বাতাস নিরোধক কনটেইনারে ডিম সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

নরম চিজ

নরম চিজে থাকে দুধ। চিজ ফ্রিজে রাখার ফলে দুধ আলাদা হতে থাকে। এতে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। 

কাঁচা শাক-সবজি ও ফল

মিষ্টি কুমড়া, সবুজ শাক, তরমুজসহ যেসব সবজি ও ফলে প্রচুর পানি থাকে, সেগুলো ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়। ফ্রিজে রাখার ফলে এসব শাক-সবজি ও ফলে থাকা জলীয় অংশ দ্রুত বরফ হয়ে যায়। ফ্রিজ থেকে এসব সবজি বের করার পর ভেতরের পানি বের হয়ে যায়। এতে খাদ্যমান নষ্ট হয়।

মিষ্টি জাতীয় খাবার

বেকড, ম্যাকারনি, ঝুরি মাংস, পনির এগুলো ফ্রিজে রাখবেন না। টুকরো টুকরো খাবাব বা মিষ্টি যদি আপনি ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন, পরে দেখবেন এগুলো ভিজে উঠেছে আর নরম হয়ে পড়েছে।

ফ্রিজ থেকে বের করা মাংস

রান্না করার জন্য ফ্রিজ থেকে বের করা কাঁচা মাংস কখনো কখনো অতিরিক্ত মনে হলে, একটা অংশ আপনি হয়তো ফ্রিজে আবার সংরক্ষণ করতে চাইবেন। আপনি কি জানেন, দ্বিতীয়বারের মতো একই মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে নেই।

দই

দই ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে এর খাদ্যমান ঠিক থাকে। তবে, আপনি যখন ফ্রিজ থেকে দই বের করার পর এতে ফাটল দেখা দেয়। দইয়ের রং কিছুটা মলিন বা ধূসর হয়ে যায়।

পাস্তা

ফ্রিজে রাখা পাস্তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে, ফ্রিজে রাখা পাস্তা নেতিয়ে পড়ে। আলু দিয়ে রান্না করা পাস্তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে কিছুটা ভালো থাকে।

ভাত

ফ্রিজে রাখা ভাত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নাহলেও ভাতের স্বাদ কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়। আর ভিজে ওঠে।

মেয়নেজ

দোকান থেকে কিনে আনা মেয়নেজ অন্য পাত্রে নিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন না।ফ্রিজ থেকে বের করার পর মেয়নেজের উপর পানির স্তর দেখতে পাবেন। 

খুব ঠাণ্ডা খাবার

ডিমের সাদা অংশ দিয়ে তৈরি কোন খাবার, ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ঠিক নয়। খাদ্যমান নষ্ট হয়। খাবারটি রাবারের মতো হয়ে পড়ে।

রসুন

ন্যাশনাল সেন্টার ফর হোম ফুড প্রিজারভেশন-এর তথ্যানুসারে, রসুন ফ্রিজে সংরক্ষণ করার ফলে আরও বেশি শক্তিশালী এবং ঝাঁঝালো হয়ে যায়। হিমায়িত রসুন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

মশলা

ন্যাশনাল সেন্টার ফর হোম ফুড প্রিজারভেশন-এর তথ্যানুসারে, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, সবুজ বা কাঁচা মরিচ,  ভ্যানিলা হিমায়িত করা হলে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এগুলো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়।

 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank