কোরবানির জন্য সুস্থ পশু চেনায় উপায়
কোরবানির জন্য সুস্থ পশু চেনায় উপায়
কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি করার মধ্য দিয়ে এই ঈদে মুসলিমরা ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হবে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পশুর হাটে কেনাবেচা।
তবে আপনি কোরবানির যে পশুটি কিনছেন, সেটি কি সুস্থ ও নিরাপদ কিনা, তার মাংস খাওয়া নিরাপদ হবে কিনা এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বর্তমানে অনেকেই স্টেরয়েড ব্যবহার করে কোরবানির পশুকে মোটাতাজা করে বিক্রি করে। এতে প্রতারিত হন ক্রেতারা। ক্রেতারা যেন প্রতারণার শিকার না হন—সেজন্য বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিছু বৈশিষ্ট্যের দিকে নজর দিলে সহজেই চেনা যাবে সুস্থ-সবল পশু।
১. রাসায়নিক বা ওষুধ দেয়া গরুর মাংসপেশি থেকে শুরু শরীরের অন্য অঙ্গগুলো অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। গরুর শরীরে পানি জমার কারণে বিভিন্ন অংশে চাপ দিলে সেখানে গর্ত হয়ে দেবে যাবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় নেবে।
২. অতিরিক্ত ওজন হওয়ায় এসব গরু স্বাভাবিক নাড়াচাড়া ও চলাফেরা করতে পারে না ও শান্ত থাকে।
৩. রাসায়নিকযুক্ত গরু ভীষণ ক্লান্ত থাকে ও ঝিমাবে। আর সুস্থ গরুর গতিবিধি চটপটে থাকে। কান ও লেজ দিয়ে মশা-মাছি তাড়ায়।
৪. সুস্থ গরুর নাকের ওপরের অংশটা ভেজা বা বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা থাকবে। অন্যদিকে অসুস্থ গরুর নাক থাকবে শুকনা।
৫. ওষুধ খাওয়ানো গরুর শরীরের অঙ্গগুলো নষ্ট হতে শুরু করায় এগুলো শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়। মনে হবে হাঁপাচ্ছে।
৬. অতিরিক্ত স্টেরয়েড দেয়া গরুর মুখ থেকে প্রতিনিয়ত লালা ঝরে। এসব গরু কিছু খেতে চায় না।
৭. সুস্থ গরুর শরীরের রঙ উজ্জ্বল, পিঠের কুঁজ মোটা, টান টান ও দাগমুক্ত হবে।
৮. সুস্থ গরুর রানের মাংস শক্ত থাকবে। আর রাসায়নিক দেয়া গরুর পা হবে নরম থলথলে।
৯. গরুর শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বুঝবেন গরুটি অসুস্থ।
১০. সুস্থ গরুর চামড়ার ওপর দিয়ে কয়েকটা পাঁজরের হাড় বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়