ঘনিয়ে আসছে শীত। এসময়ে জ্বর-সর্দি লেগেই থাকে। উপরন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার আশংকা আছে। ফলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুব জরুরি। এক্ষেত্রে দারুণ সহায়তা করতে পারে পেঁপে। 

১২ মাসই অর্থাৎ সারাবছরই পাওয়া যায় এটি। কাঁচা অবস্থায় সবজি এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে খাওয়া যায় পেঁপে। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য যা অপরিহার্য। নিয়মিত পাকা পেঁপে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক- 

ত্বকের সুরক্ষায়
পাকা পেঁপে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা পেপাইন চামড়ার ক্ষতি রোধ করে। প্রদাহজনিত জ্বালাপোড়া কমায়। পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ত্বকের কালো ছোপ, ব্রণের সমস্যা দূর করে এবং বুড়িয়ে যাওয়া ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখে। ঔজ্জ্বল্যতা ধরে রাখতে এর বিকল্প নেই। মুখে ফেসমাক্স হিসেবেও পাকা পেঁপে ব্যবহার করা যায়।

হজম সমস্যা সমাধান
এতে রয়েছে প্রচুর এনজাইম, যা হজম সমস্যা দূর করে। স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী এটি। গবেষকদের মতে, পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হয়। সেই সঙ্গে ক্ষুধা বাড়িয়ে তোলে অনেক গুণ। যারা ওজন বাড়াতে চান, তারা নিয়মিত এটি খেতে পারেন। 

প্রদাহ হ্রাস করে
প্রতিদিন ডায়েটে কয়েক টুকরা পাঁকা পেঁপের উপস্থিতি এই সমস্যা অনেক কমিয়ে দেয়। ফলে বুক জ্বালাপোড়া করে না। প্রসাবের ধার জ্বলে না। পায়খানা ভালো হয়।

হার্ট ভালো রাখে
হার্টের অসুখ থেকে দূরে রাখতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। পাকা পেঁপে খেলে রক্তচাপ কমে, রক্তনালিতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়। তাই হৃদস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় এবং উচ্চরক্তচাপ এড়াতে দৈনিক পেঁপে খেতে পারেন।

লিভার ও কিডনির স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
সুস্থ থাকার জন্য এই দুটির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে সহায়তা করে পাকা পেঁপে। লিভার ও কিডনি পরিষ্কার রাখে এটি। দুটি থেকে বিষাক্ত বর্জ্য বের করে দেয় পাকা পেঁপে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ে
পাকা পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ। যা রাতকানা রোগ দূর করে। পাশাপাশি চোখের জ্যোতি বাড়ায়।