অতিরিক্ত ঘুমে যেসব ক্ষতি
অতিরিক্ত ঘুমে যেসব ক্ষতি
ভাল এবং পরিপূর্ণ ঘুম সবার প্রয়োজন। সারাদিনের ক্লান্তি যেমন দূর করে এবং তেমনি শরীরে শক্তি যোগায় ঘুম । অনেকেই পর্যাপ্ত ঘুমের সময় পান না, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কিন্তু অত্যধিক ঘুমেরও বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।
মাথাব্যাথা
ঘুম নিয়ন্ত্রিত হয় সেরোটোনিন হরমোনের সাহায্যে । অতিরিক্ত ঘুম সেরোটোনিনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, নিউরোট্রান্সমিটারকেও বাধা দেয়, সেই কারণেই সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথাব্যথার অভিযোগ করে অনেকে। এ ছাড়া, দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পর হঠাৎ ক্ষুধা এবং তীব্র তৃষ্ণা বোধ হয়, যার কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়।
তৈরি হতে পারে হতাশা
অতিরিক্ত ঘুম ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। স্লিপিং সাইকেল ঘেঁটে গেলে উৎকণ্ঠা এবং মানসিক চাপের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।।
পিঠে ব্যথা
অনেকক্ষণ ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে, আপনার পিঠ প্রায়ই ব্যথা করবে। দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমানোর ফলে পেশীগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া খারাপ পজিশনে ঘুমানোর ফলেও পিঠে ব্যথা হয়।
বার বার ঘুমনোর কথা মনে হয়
বেশি ঘুমানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে ক্লান্তি। অত্যধিক ঘুম বডি ক্লক ব্যাহত করে। অতিরিক্ত বিশ্রামের কারণে পেশী এবং স্নায়ু শক্ত হয়ে যায় ফলে, শারীরিক ধকল নিতে সমস্যা হয়।
ডায়েবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
অতিরিক্ত ঘুম হরমোনের উপরও প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলো এর দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। বেশি ক্লান্ত বোধ করার কারণে শরীরে খুব কম শক্তি থাকে, যার কারণে মানুষ সাধারণত জাঙ্ক ফুড বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে। এই সব কারণে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় যার ফলে ডায়েবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সন্তান ধারণ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে
বেশি ঘুমানোর প্রভাব নারীদের ফার্টিলিটির উপরও পড়ে। গবেষণায় প্রমাণিত, ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন থেরাপিতে থাকা মহিলারা যারা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ৬ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোন তাঁরা ৪৬% এবং যাঁরা নয় থেকে এগারো ঘন্টা ঘুমোন তাঁধের মধ্যে ফার্টিলির সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে ৪৩%।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়