ডায়েটেশিয়ানরা গরমে প্রতিদিন আম খাওয়ার পরামর্শ দেন কেন?
ডায়েটেশিয়ানরা গরমে প্রতিদিন আম খাওয়ার পরামর্শ দেন কেন?
ডায়েটেশিয়ানরা গরমে প্রতিদিন আম খাওয়ার পরামর্শ দেন কেন? |
গরম মানেই ঘাম, আর একটু কাজ করেই হাঁপিয়ে যাওয়া। বিরক্তির একশেষ সব মিলিয়ে। ফলাফল হলো 'এনার্জি লস'। তবে অনেক খারাপরে মধ্যে একটা বিষয় নিয়ে সবারই ভালোবাসা কাজ করে, সেটা হলো আম।
আম খেতে পাছন্দ করেন না, এমন মানুষ দেশে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর কদিন পরেই চৈত্র মাস। গাছে গাছে আমের বোল এখন আম হয়ে দেখা দিয়েছে। যদিও পাকা শুরু হয়নি। তবে কাঁচা আমেই অনেকে বানিয়ে নিচ্ছেন আচার, তৈরি করছে শরবতও।
আর দুই মাস পরেই বাজারে সয়লাব হবে আমে। এসময় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর থেকে আসে বিভিন্ন জাতের আম। জাতে হয়েতো ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে কার্যকারিতা কিন্তু একই। আর সেরকম কিছু গুণের জন্যই ডায়েটেশিয়ানরা পরামর্শ দেন নিয়মিত আম খেতে।
চলুন জেনে নেই আমে কি ধরনের উপকারিত আছে-
১) আমে থাকা প্রচুর পরিমানে ফাইবার, পেকটিন, ভিটামিন সি কোলেস্টেরল লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
২) এক কাপ আম আমাদের শরীরে ২৫ শতাংশ ভিটামিন এ দেয়। যা চোখের জন্য খুবই উপকারি। আম অন্ধত্ব দূর করে, দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী করে এবং শুষ্ক চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
৩) আমে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস উপাদান রয়েছে। যা কোলন, স্তন, প্রস্টেট, লিউকেমিয়া প্রভৃতি ক্যানসার থেকে রীরকে রক্ষা করে।
৪) ত্বকের জন্য আম খুবই উপকারী। ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য অনেক সমস্যা প্রতিরোধ করে আম।
৫) আমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই থাকে। যা আমাদের যৌন জীবনকে আরও উন্নত করে।
৬) হজমের সমস্যা দূর করে, হজমশক্তি বাড়ায়।
৭) সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটাই করে আম। আমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ থাকায়, য়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮) রক্তে ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে আম। সুগার লেভেলকে ওপরের দিকে চড়তে দেয়না।
৯) কাঁচা আম জুস করে খেলে, তা শরীরকে ঠান্ডা রাখে। অতিরিক্ত গরমের জন্য হিট স্ট্রোক হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়