কারা খাবেন মিষ্টি আলু, আপনি কোন দলে?
কারা খাবেন মিষ্টি আলু, আপনি কোন দলে?
সুস্থ থাকতে সবাই খাদ্যতালিকায় রাশ টানেন। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিন বাড়িয়ে দেন। কিন্তু এটি কি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত? পুষ্টিবিদরা কখনই এমন ডায়েটের কথা বলেন না। দীর্ঘদিন কার্বোহাইড্রেট না নিলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে! তাই খাদ্যতালিকায় রাখুন মিষ্টি আলু। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। হার্ট থেকে ডায়াবেটিস-নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় জাদুকরী কাজ করে এটি।
পুষ্টিগুণ
যেকোনও আলু পুষ্টিতে ভরপুর। তবে মিষ্টি আলু একটু বেশি। এতে ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট অনেক কম। এ সবজিতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ‘ভিটামিন এ’। আসলে এ উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ত্বক সুস্থ ও দৃষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক প্রোটিনের চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ করে মিষ্টি আলু।
এতে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামেরও বড় উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের কাজ বজায় রাখে। মিষ্টি আলুতে ব্যাপক পরিমাণ ফাইবার আছে, যা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এটি দুরারোগ্য রোগের ঝুঁকি কমায়, যেমন- টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও হাই কোলেস্টেরল।
যে কারণে খাবেন
এটি নানা খনিজে সমৃদ্ধ। সারাদিনে একটি মিষ্টি আলু খেলেও দৈনিক চাহিদার অনেকখানি পূরণ হয়। যারা প্রতিদিন বাইরে যান, রোদে ঘোরাফেরা করেন, খেলাধুলা করেন, ডায়েটে এটি রাখতে তাদের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিষাক্ত বর্জ্য বের করে শরীরকে সতেজ রাখে।
যেভাবে খাবেন
কেনার সময় গাঢ় রঙের দেখে কিনুন। গবেষণায় প্রমাণিত, মিষ্টি আলুর রঙ (কমলা, হলুদ, বেগুনি) যত বেশি প্রগাঢ় হবে, পুষ্টিগুণ সর্বোচ্চ পাওয়া যাবে। খোসা ছাড়িয়ে এটি খাবেন না। ভালো করে ধুয়ে খোসাসহ সিদ্ধ করে খান। মিষ্টি আলু, সয়ামিল্ক, দারচিনি গুঁড় দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করেন। খুব উপকারে আসবে। তবে বেশি সিদ্ধ করবেন না। এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। রোস্ট, বেক, বয়েল যেভাবে খুশি খেতে পারেন। তবে কখনই ভেজে বা চিপস বানিয়ে খাবেন না।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়