যেসব অভ্যাসের কারণে আপনারও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে
যেসব অভ্যাসের কারণে আপনারও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে
মস্তিষ্কে রক্ত পরিবহনে বাধা সৃষ্টি হলে যে ক্ষতি হয় তা স্ট্রোক নামে পরিচিত। ২৫ বছর বয়সের উর্ধ্বে প্রতি চার জন মানুষের একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।
কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। সেরকম কিছু অভ্যাসের কথা জেনে নেওয়া যাক।
অস্বাস্থ্যকর খাবার
পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমে যায়। খাবারে সঠিক পরিমাণে ফাইবার, ক্যালরি, প্রোটিন, মিনারেল, ভিটামিন ইত্যাদি থাকলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। যেসব রোগীর স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে, তাদেরকে মাংস ও ডিমের কুসুম খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
অলসতা
আজকাল তরুণেরা বেশিরভাগ সময়ই বসে কাটান। অতিরিক্ত অলস সময় কাটালে ও একটুআধটু শারীরিক পরিশ্রম না করলে শরীরে চর্বি জমে। এর ফলে মাংসপেশির ক্ষমতা কমে যায়, হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পায়, শরীরের বিপাক ক্ষমতাও দুর্বল হয়। এতে করে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
ধূমপান ও তামাক গ্রহণ
ধূমপান ও তামাকজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায়। ধূমপানের ফলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা উলটপালট হয়ে যায়। একইভাবে পরোক্ষ ধূমপানও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ধূমপান বন্ধ করলে রক্তে অক্সিজেন লেভেল বাড়ে, রক্তসঞ্চালনের উন্নতি ঘটে, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
মদপান
মাত্রাতিরিক্ত মদপান করলে তাতে উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে হার্টের ক্ষতি হয়। আর হৃৎপিণ্ড মাথায় সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ না করতে পারলে তা স্ট্রোকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এনডিটিভি অবলম্বনে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়