ছোটখাটো অভ্যাসে কমুক ওজন
ছোটখাটো অভ্যাসে কমুক ওজন
ওজন নিয়ে চিন্তিত? চিন্তা করে কোনো কাজের কাজ হবে না, বরং ওজন আরও বাড়বে। আবার নিয়মিত ভারী ব্যায়ামের সময়, প্রেষণা, বা স্পৃহা কোনোটিই নেই? নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিয়েছেন?
অসুবিধা নেই, আপনার হাতে এখনো কিছু বিকল্প বাকি আছে। চাইলে কিছু অভ্যাস নিয়মিত চর্চা করে শরীরকে ফিট রাখতে পারেন। এর জন্য খুব একটা পরিশ্রমের দরকার হবে না, স্রেফ নিয়মিত এগুলো চালিয়ে গেলেই হবে।
পরিমিত পরিমাণে পানি পান: পানি পান করতে বারবার বলার কারণ হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ আসলে প্রতিদিন যে পরিমাণ পানি পান করা উচিত, তা করেন না। আপনার তৃষ্ণা না থাকলেও শরীর ঠিক রাখতে পানি পান করতে হবে। শরীরের ভেতরে অনেক জৈবিক কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন পানির। দেহথেকে বিষাক্ত উপাদান, বর্জ্য পদার্থ বের করতে সাহায্য করে পানি। তাই নিয়মিত পানি পান না করলে এ পরিষ্কারের কাজ যথাযথভাবে হবে না, তা-তে শরীরের ওজনও কমবে না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ গ্লাস বা ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
একটু ব্যায়াম: ভয় পাবেন না, আপনাকে কেউ হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে বা জিমে গিয়ে শরীরের দফারফা করতে বলছে না। ঘরে বসেই করা যায় এমন কিছু হালকা ব্যায়াম নিয়মিত করুন। এই যেমন কয়েকশ দড়িলাফ, খানিক যোগাভ্যাস, একটু ছোটখাটো খেলাধুলা। চাইলে হাঁটতেও পারেন। লিফটের বদলে সিঁড়ির ব্যবহার করুন।
মিষ্টি খাবারকে না: চিনি ওজনের বড় বন্ধু। তাই ওজন কমানোর ব্যাপারে যদি আপনি সবিশেষ আন্তরিক হোন তাহলে এখন থেকে খাবারদাবারে চিনিজাতীয় খাবার যথাসম্ভব পরিহার করবেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হলে ফল খান। তালের গুড়, খেজুর এসবও চলতে পারে। প্রয়োজনে সুইটেনার ব্যবহার করতে পারেন।
খাবারদাবার নিয়ে পরিকল্পনা: নিয়মিত পরিকল্পনামাফিক খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়ে যায়। যা মেলে, তাতেই সই; এরকম হলে শরীরের হাল ঠিক রাখা দায় হতে পারে। বাড়িতে তৈরি করা খাবার খাওয়া সবচেয়ে বেশি কাজের। বাইরের খাবার ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারে পুষ্টি উপাদান সুষম পরিমাণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। মাছ-মাংস নিয়মিত খাওয়া ঠিক হবে না। শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়