রাশিয়ার হুমকির মুখে ইউরোপে সামরিক তৎপরতা
রাশিয়ার হুমকির মুখে ইউরোপে সামরিক তৎপরতা
রাশিয়া ও বেলারুশ সীনান্তে বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরক্ষা অবকাঠামো গড়ে তুলতে চায় ইউরোপের প্রতিবেশী দেশগুলো। এখনই ন্যাটোর সদস্য হতে না পারলেও ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সেতুবন্ধ' গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউক্রেনের উপর চলমান রাশিয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের কিছু দেশ নিজস্ব নিরাপত্তা আরো জোরালো করতে ইউরোপীয় স্তরে বিশেষ প্রস্তুতির ডাক দিয়েছে।
রাশিয়া ও তার সহযোগী দেশ বেলারুশের স্থল সীমান্ত বরাবর ইইউ-র বিশেষ প্রতিরক্ষা বলয় সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছে পোল্যান্ড, লিথুয়েনিয়া, লাটভিয়া ও এস্টোনিয়া। শুধু সামরিক হস্তক্ষেপ নয়, রাশিয়া সীমান্তে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে অন্যান্য ক্ষতিকর কার্যকলাপও চালাতে পারে বলে এই দেশগুলি আশঙ্কা করছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ইউরোপের সুরক্ষার লক্ষ্যে এমন সামরিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে ইইউ-র সব সদস্য দেশের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হবে। সামরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি ‘হাইব্রিড' নাশকতার নানা রূপ মোকাবিলার ব্যবস্থার প্রয়োজন বলে মনে করে পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলি। ভুয়া খবর ছড়ানো, সাইবার হামলা, অর্থনৈতিক চাপ ও জোর করে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ঠেলে দেওয়ার মতো পদক্ষেপের আশঙ্কা করছে এই দেশগুলি।
কয়েকজন ইইউ কূটনীতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেই সীমান্তে সামরিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে আনুমানিক ২৫০ কোটি ইউরোর প্রয়োজন হবে। এখনো পর্যন্ত ইইউ রাষ্ট্রজোট হিসেবে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এত বড় তৎপরতা দেখায়নি। শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গ্রিস ও পোল্যান্ড ইইউ স্তরে ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম'-এর আদলে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিল। পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলি ন্যাটোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইইউ স্তরে প্রতিরক্ষা আরো মজবুত করার প্রস্তাব রেখেছে। ইউক্রেনের প্রতি অটুট সমর্থনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সমন্বয় ও সহযোগিতার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করছে। ইউক্রেনের সঙ্গে ইইউ-র এক নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
ন্যাটোর ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ওয়াশিংটনে আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনেও রাশিয়ার হুমকির মুখে ইউরোপের প্রতিরক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের সূত্র অনুযায়ী ইউক্রেন এখনই পূর্ণ সদস্যপদের পথে এগোনোর সুযোগ না পেলেও সে দেশের সঙ্গে ন্যাটোর সমন্বয় বাড়াতে এক বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে। এর আওতায় ন্যাটো দেশগুলির দ্বিপাক্ষিক সহায়তার মধ্যে আরো সমন্বয়ের লক্ষ্যে এক কেন্দ্রীয় কাঠামো গড়ে তোলা হবে। ফলে ইউক্রেনের অস্ত্র, গোলাবারুদ, সামরিক সরঞ্জাম ও সামরিক প্রশিক্ষণের চাহিদা মেটাতে ন্যাটো ভবিষ্যতে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গ্রেফতার
- হাসাপাতলের বাইরে হঠাৎ মোটরশোভাযাত্রায় ট্রাম্প
করোনা খুবই ইন্টারেস্টিং বিষয় - সৌদির পতাকা থেকে কালেমা বাদ যাচ্ছে না: গাল্ফ নিউজ
- নিজের আসন নন্দীগ্রামে হেরেই গেলেন মমতা
- প্রায় তিন দশকের বিতর্কের অবসান হবে কি?
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় আজ - ৯১ এ চলে গেলেন কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল জাবের
- জীবনের কোড পুনর্লিখন, রসায়নে নোবেল পেলেন দুই নারী বিজ্ঞানী
- মহাশূন্য যাত্রার নবযুগ, স্পেসএক্স`র ক্যাপসুল চেপে উড়াল ৪ নভোচারীর
- আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট বাইডেন, হেরে গেলেন ট্রাম্প
- ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা, ৮০ মিলিয়ন গ্যালন তেল নিয়ে ডুবে যাচ্ছে নামারবিয়া!