তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন অব্যাহত রাখবে
তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন অব্যাহত রাখবে
তাইওয়ানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই আশা করছেন তাইওয়ানের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। গত মাসের নির্বাচনের পর প্রথম বার তাইপেই সফরে আসা মার্কিন আইনপ্রণেতাদের দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন তিনি। চলতি মাসের শুরুতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এটিই লাইয়ের প্রথম বৈঠক।
তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই ২০ মে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। চীন তাইওয়ানকে তার নিজস্ব এ ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে এবং লাইকে একজন বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে বিশ্বাস করে। এমনকি লাইয়ের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। ইউএস হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর তাইওয়ান ককাসের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মারিও ডিয়াজ-বালার্ট এবং ডেমোক্রেটিক রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যামি বেরার সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন লাই। এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও আমরা গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার মূল্যবোধে বিশ্বাসী।
লাই বলেন, এই অঞ্চলের ‘দ্বীপ শৃঙ্খলের প্রথম অবস্থানে এবং চীনের কর্তৃত্ববাদী সম্প্রসারণবাদের প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাইওয়ান। এটি তাইওয়ানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থানে পরিণত করেছে। তাইওয়ান প্রণালি জুড়ে স্থিতিশীলতা আঞ্চলিক এবং বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তাইওয়ান প্রণালিকে সুরক্ষিত রাখার অঙ্গীকার করেছেন লাই।
তিনি বলেন, আমি আশাবাদী, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখবে। এছাড়া দ্বীপরাষ্ট্রটির সঙ্গে দেশটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক গভীর করা এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও অন্যান্য গণতান্ত্রিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে। লাই বলেন, আমি আরো আশাবাদী, মার্কিন কংগ্রেসের দুই সহসভাপতি এবং আমাদের বন্ধুরা তাইওয়ানের আত্মরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।
এ সময় দিয়াজ-বালার্ট লাইকে এই বার্তা দিয়েছিলেন, তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন সমর্থন দৃঢ়, বাস্তবিক এবং তা শতভাগ দ্বিপক্ষীয়। তিনি লাইকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে আপনি নিশ্চিত থাকুন। তাইওয়ানের সরকার চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, তাইওয়ানের জনগণই শুধু তাদের ভবিষ্যত্ নির্ধারণ করতে পারে। আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কের অভাব সত্ত্বেও তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থনকারী এবং অস্ত্র বিক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রকে চীন বারবার তাইওয়ানের প্রতি তার সমর্থন বন্ধ করার জন্য সতর্ক করেছে। এ বিষয়টি নিয়ে চীন-মার্কিন সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন দেখা গেছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গ্রেফতার
- হাসাপাতলের বাইরে হঠাৎ মোটরশোভাযাত্রায় ট্রাম্প
করোনা খুবই ইন্টারেস্টিং বিষয় - সৌদির পতাকা থেকে কালেমা বাদ যাচ্ছে না: গাল্ফ নিউজ
- নিজের আসন নন্দীগ্রামে হেরেই গেলেন মমতা
- প্রায় তিন দশকের বিতর্কের অবসান হবে কি?
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় আজ - ৯১ এ চলে গেলেন কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল জাবের
- জীবনের কোড পুনর্লিখন, রসায়নে নোবেল পেলেন দুই নারী বিজ্ঞানী
- মহাশূন্য যাত্রার নবযুগ, স্পেসএক্স`র ক্যাপসুল চেপে উড়াল ৪ নভোচারীর
- আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট বাইডেন, হেরে গেলেন ট্রাম্প
- ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা, ৮০ মিলিয়ন গ্যালন তেল নিয়ে ডুবে যাচ্ছে নামারবিয়া!