গাজায় ইসরাইলি হামলায় জাতিসংঘের শতাধিক কর্মী নিহত
গাজায় ইসরাইলি হামলায় জাতিসংঘের শতাধিক কর্মী নিহত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় জাতিসংঘের বহু কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই আগ্রাসনে শতাধিক কর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। শুক্রবার এক ঘোষণায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ইউএনআরডব্লিউএর পরিচালক ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেছেন, তাদের যেসব কর্মী নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষক, অভিভাবক ও সহযোগী স্টাফ।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বেকারিতে রুটি কেনার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। সে সময় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারান তারা। এছাড়া বাকিরা পরিবার পরিজনসহ দখলদারদের বিমান হামলায় নিজেদের বাড়ি-ঘরের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।
এদিকে জর্দানের রাজধানী আম্মানে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ভল্কার তুর্ক বলেছেন, গাজায় জাতিসংঘ কর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন, আপত্তিকর ও হৃদয়বিদারক। এছাড়া জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিটস বলেছেন, এই দুঃখজনক খবরে তিনি ‘অত্যন্ত মর্মাহত’ হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় জড়িত জাতিসংঘ কর্মীদের ওপর যুদ্ধসহ কোনো অবস্থায়ই হামলা করা যায় না।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল (শুক্রবার) পর্যন্ত গাজার ১৫ হাজারেরও বেশি জায়গায় হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইল। এতে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর গাজায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরাইলি বাহিনী।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, আবাসন ও অবকাঠামো খাতের প্রতিটিতে ২০০ কোটি ডলার করে ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলকে অবশ্যই গাজায় নারী ও শিশুদের হত্যা করা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, বোমা হামলার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই, এর কোনো বৈধতা নেই। যুদ্ধবিরতি হলে ইসরাইলের উপকার হবে।
তিনি বলেন, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে আমরা স্বীকৃতি দেই। একই সঙ্গে আমরা গাজায় এই বোমাবর্ষণ বন্ধ করারও আহ্বান জানাই। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পরিষ্কারভাবে হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় ফ্রান্স। ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর মতো ফ্রান্সও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে।
ম্যাক্রোঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য নেতারা তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে যোগ দেবেন এমনটা তিনি চান কিনা। এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি আশা করি তারা সেটা করবে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গ্রেফতার
- হাসাপাতলের বাইরে হঠাৎ মোটরশোভাযাত্রায় ট্রাম্প
করোনা খুবই ইন্টারেস্টিং বিষয় - সৌদির পতাকা থেকে কালেমা বাদ যাচ্ছে না: গাল্ফ নিউজ
- নিজের আসন নন্দীগ্রামে হেরেই গেলেন মমতা
- প্রায় তিন দশকের বিতর্কের অবসান হবে কি?
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় আজ - ৯১ এ চলে গেলেন কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল জাবের
- জীবনের কোড পুনর্লিখন, রসায়নে নোবেল পেলেন দুই নারী বিজ্ঞানী
- মহাশূন্য যাত্রার নবযুগ, স্পেসএক্স`র ক্যাপসুল চেপে উড়াল ৪ নভোচারীর
- আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট বাইডেন, হেরে গেলেন ট্রাম্প
- ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা, ৮০ মিলিয়ন গ্যালন তেল নিয়ে ডুবে যাচ্ছে নামারবিয়া!