মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রাজার গঠনমূলক সমালোচনায় বাধা নেই রাজপুত্রের

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৩:২৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

২২৪

রাজার গঠনমূলক সমালোচনায় বাধা নেই রাজপুত্রের

বিশ্বের বেশকিছু বিতর্কিত আইনের একটি থাইল্যান্ডের ‘লেসে ম্যাজেস্ট’। রাজকীয় এ আইনের রয়েছে কঠোর নির্দেশনাবলী। দেশটির রাজা, রানি বা উত্তরাধীকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই ‘মহাবিপদ’। 

রাজপরিবার নিয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্য ছুড়লেই পেতে হবে ভয়াবহ শাস্তি। ৬ মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড। তবে এমন কঠোর আইনে কিছুটা আপত্তিই প্রকাশ করলেন রাজপুত্র নিজেই। রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের (৭১) দ্বিতীয় পুত্র ভাচারেসর্ন বিভাচরাওংসে (৪২)। 

রাজার গঠনমূলক সমালোচনায় কোনো বাধা নেই বলেই মঙ্গলবার নিউইয়র্কের একটি প্রদর্শনীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন। এ সময় থাই মানহানি আইন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি। পরে নিজের ফেসবুক পোস্টেও রাজ-সমালোচনা নিষিদ্ধ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। সিএনএন।

রাজপুত্র ভাচারেসর্ন বিভাচরাওংসে বলেন, ‘আমি রাজতন্ত্রের প্রতি আমার আনুগত্যকে ভালোবাসি এবং ধরে রাখি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে ‘জানা’ ‘না-জানা’র চেয়ে ভালো এবং প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব মতামত রয়েছে, যা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভুদ্ধ।’ 

অতঃপর কিছুটা জনগণের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এমনকি যদি আমরা তাদের মতামত না শুনি, তার মানে এই নয় যে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং মতামত বিদ্যমান নেই। অতএব, দলগুলোর পক্ষ থেকে কারণ ও দৃষ্টিভঙ্গি জানা এবং শোনা ভালো।’ 

সেক্ষেত্রে সমালোচকদের গঠনমূলক উপায়ে সংযতভাবে সমালোচনা করার পরামর্শ দেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একমত বা দ্বিমত করা অন্য বিষয়, তবে আমাদের নীতির সঙ্গে কথা বলতে হবে।’ 

উল্লেখ্য, ভাচারেসর্ন আগস্টে থাইল্যান্ডে একটি অপ্রত্যাশিত সফর করেছিলেন। প্রায় দুই দশক পর তিনি নিজ ভূমিতে ভ্রমণ করেন। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পরে তার জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি বিদেশে কাটিয়েছেন। 
প্রদর্শনী পরিচালক পাভিন তার ফেসবুক পেজে নিজের এবং ভাচারেসর্নের ছবি পোস্ট করে লিখেন-‘এটি ছিল একটি সভ্য উপায়, এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য যা ‘বর্বরতায়’ পরিপূর্ণ। যদি পুরোনো শক্তি সমস্যাটি শোনার জন্য তাদের মুখ না খুলে তবে সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ভাচারেসর্নের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিষয়টি নিজেই এত তাৎপর্যপূর্ণ। সমস্যা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার চেয়ে সংলাপ করা ভালো। কেননা, আপনি এই সমস্যা থেকে পালাতে পারবেন না।’ 

বছরের পর বছর ধরে মানবাধিকার সংগঠন এবং মুক্ত বাকপ্রচারকারীরা এ আইনের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন। অনেকেরই ধারণা, থাই সরকারের সমালোচকদের নীরব করার জন্য রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। 

সংস্কারপন্থি মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি চলতি বছরের নির্বাচনে এ আইন নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। তবে শেষমেশ নির্বাচনে আর জয়লাভ করতে পারেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বিরোধীদল হিসাবে সংসদীয় আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে আসবে। 

এছাড়াও যুব আন্দোলনে যেহেতু আইনের বিষয়টি জনসচেতনতায় রয়েছে, তাই ব্যাপারটি সহজে চাপা পড়বে না।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
পৃথিবীজুড়ে বিভাগের সর্বাধিক পঠিত