শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

২৩:২৭, ৭ জুন ২০২৪

আপডেট: ২৩:২৮, ৭ জুন ২০২৪

২৬৬

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, এই বছরের শেষের দিকে এটি কমতে শুরু করবে। আজ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন বাজেটের আকার আমরা কমিয়ে রেখেছি। যাতে করে মূল্যস্ফীতির ওপর কোনো চাপ না পড়ে। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ যেহেতু এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সেহেতু সংকোচনমূলক নীতি-কৌশল আরও কিছুদিন চলমান থাকবে।

তবে সংকোচনের নীতির মধ্যে প্রবৃদ্ধির ধারা যাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার কথাও বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের কৃষি, শিল্প এবং সেবাখাত যেন তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর ফলে সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ স্বত্বেও চলতি অর্থবছরে ৫.৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আগামী অর্থবছরে আমরা ৬.৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হব।

লক্ষ্য অর্জনে সফল হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলছেন, “মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি এবং আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা পর্যালোচনা করছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশে রাখা সম্ভব হয়েছে। গতকাল উপস্থাপিত বাজেট বক্তৃতায় মুদ্রানীতি এবং রাজস্ব নীতির আওতায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করেছি।

কোভিড-১৯ মহামারীর পর রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি এখনো আমাদের দেশে ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তাদের দেশে সুদের হার বাড়াতে থাকলে আমাদের দেশে ক্যাপিটাল ফ্লো কমে যেতে থাকে। একই সময়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিমাণও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।

এর ফলে আমাদের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে বড় ঘাটতি তৈরি হয়। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ বাড়তে থাকে এবং এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার উল্লেখযোগ্য ডেপ্রিসিয়েশন ঘটে। আমাদের মূল্যস্ফীতি বেশি হওয়ার এটা একটা প্রধান কারণ।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দুই বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমরা ক্ষমতায় আসার পর মূল্যস্ফীতি উচ্চ পর্যায়ে থাকলেও আমরা কিন্তু তা দুই বছরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে এনেছিলাম। এবারও আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, তার ফলে আগামীতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে, এটা আমি আপনাদেরকে দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ওএমএস এবং ফ্যামিলি কার্ডসহ যে সকল কার্যক্রম চলছে তা চলমান থাকবে এবং প্রয়োজনে এগুলোর পরিসর আরও বাড়াবার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।

অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত