সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রশাসনের আশ্বাসে রাবির রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট, রাবি

১৭:১৬, ২০ নভেম্বর ২০২১

৫১৬

প্রশাসনের আশ্বাসে রাবির রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

ওয়াই-ফাই সংযোগ ও ক্যান্টিনের খাবারের দাম কমানোসহ কয়েক দফা দাবিতে চলমান বিক্ষোভ স্থগিত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রোকেয়া হলের ছাত্রীরা। শনিবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় তারা হলের সামনে অবস্থান করছিলেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে আগামী তিন দিনের মধ্যে দাবিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জয়ন্তী রাণী বসাক। তবে সিদ্ধান্ত ইতিবাচক না আসলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রীরা।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- সান্ধ্য আইন পরিবর্তন, ডাইনিংয়ে খাবারের মান বৃদ্ধি, নিকটাত্মীয়দের হলে প্রবেশে অনুমতি, অন্য হলের ছাত্রী ও প্রাক্তন ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অনুমতি, হলের খালা ও স্টাফদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, পরীক্ষা শেষে অন্তত দুই মাস হলে অবস্থানের অনুমতি, পর্যাপ্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা, হলের চারপাশ ও ওয়াশরুম পরিষ্কার করা এবং হলের মশা-মাছি নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ছাত্রীরা জানান, প্রতিদিন আলু আর পেপে খেতে খেতে অতিষ্ট। ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে ডাইনিং ও ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে। অথচ খাবারের মান দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। হল প্রশাসনকে বার বার বলা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এছাড়া, হলে আসার পর থেকে ইন্টারনেটের খুবই বাজে অবস্থা। প্রতি মাসে তারা ইন্টারনেটের বিল দিয়েও সঠিক সেবা পাচ্ছেন না।

তারা আরও জানান, হলে অতিথি আসলে তাদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। সন্ধ্যা ৭ টার পরে হলে ঢুকতে গেলে হলের স্টাফরা খারাপ ব্যবহার করে। হলের ওয়াশরুম ও চারপাশ অপরিষ্কার থাকায় মশা-মাছি বেড়েই চলেছে।

আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীতের হাতে ‘ইন্টারনেট বিল দেই, সেবা কই’, ‘সান্ধ্য আইন মানি না’, ‘খালাদের মাতব্বরি মানব না মানব না’, ‘সমস্যা হলেই গণরুম ছাড়ার হুমকি কেন?’, ‘মা বোনদের হলে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে দিতে হবে’, ‘ক্যান্টিন ব্যবসা বন্ধ করতে হবে’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লীয়াকত আলী বলেন, হলের মেজর সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে। আর কিছু দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য তিন দিন সময় নেওয়া হয়েছে। তিন দিন পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত