রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৬:০৯, ১৯ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ১৬:১৩, ১৯ আগস্ট ২০২৩

২৭৩

ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের ইতিহাসে ২০১৯ সালে সারাদেশে সর্বোচ্চ ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ইতোমধ্যে ৯৫ হাজার ৮৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এ ছাড়া ২০০০ সালে পাঁচ হাজার, ২০০১ সালে আড়াই হাজার, ২০০২ সালে ছয় হাজার, ২০০৩ সালে ৪৮৬ জন, ২০০৪ সালে চার হাজার, ২০০৫ সালে এক হাজার, ২০০৬ সালে দুই হাজার, ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আড়াই হাজার, ২০১১ সালে দেড় হাজার, ২০১২ সালে ৬৭১ জন, ২০১৩ সালে প্রায় দুই হাজার, ২০১৪ সালে ৩৭৫ জন, ২০১৫ সালে তিন হাজার, ২০১৬ সালে ছয় হাজার, ২০১৭ সালে তিন হাজার, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ১৪৮ জন, ২০২০ সালে দেড় হাজার, ২০২১ সালে সাড়ে ২৮ হাজার এবং ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত মাস থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যেভাবে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে, তাতে চলতি সপ্তাহেই ২০১৯ সালের রেকর্ড ভেঙে যাবে। এ অবস্থায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর তৎপরতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ব্যাপকভাবে সচেতন হতে হবে। না হলে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বহু গুণে বেড়ে যাবে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইমিরিটাস অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, শক সিন্ড্রোমের কারণে বেশি মানুষ মারা যেতে পারে। তাই অবহেলা না করে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানা উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশা নিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত