ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে পেরেজের ব্যাখ্যা
ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে পেরেজের ব্যাখ্যা
ইউরোপিয়ান সুপার লিগের (ইএসএল) ঘোষণার পর থেকেই ঝড় উঠেছে বিশ্ব ফুটবলে। ফিফা, উয়েফা এবং বিভিন্ন দেশের লিগগুলো জানিয়েছেন ক্লাব ও খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন ইএসএল এল প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) স্প্যানিশ এক টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদ পেরেজ দাবি করে জানিয়েছেন, সবার স্বার্থে ফুটবলকে বাঁচাতেই এই নতুন প্রতিযোগিতা গঠন করা হয়েছে। ধনী ক্লাবকে আরও ধনী করতে নয়।
ইএসএল এ অংশ নেয়া ১২ দলের একটি রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি পেরেজ আরও বলেন, ইএসএল এর মাধ্যমে অনেকের স্বার্থ নষ্ট হবে। আর তারাই এটা নিয়ে নেতিবাচক কথা ছড়াচ্ছে।
নিজের বার্তায় পরবর্তী ইউরো ও বিশ্বকাপে ফুটবলারদের অংশ নিতে না দেয়ার বিষয়ে যে হুমকি দেয়া হয়েছে তা অসম্ভব মন্তব্য করে পেরেজ বলেন, নিশ্চিত করে বলতে পারি এমনটা ঘটবে না। আমরা এখনই এর আইনী দিকগুলো বলবো না। তবে এটা অসম্ভব (খেলোয়াড়দের বহিষ্কার করা)।
লিগ কখন শুরু হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান ফুটবল কর্তাদের সাথে কোন চুক্তি না হলে আগামী মৌসুমে ইএসএল মাঠে গড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই। এই প্রতিযোগিতা কখনই শুরু হবে না এমন দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন পেরেজ। জানিয়েছেন, এটাকে বাস্তব করতে সব ক্লাব প্রস্তুত।
ইএসএলে যুক্ত হওয়া ১২ টি ক্লাবের মধ্যে প্রথম মুখ খোলা পেরেজ বলেন, করোনার কারণে ফুটবল ক্লাবগুলো আর্থিকভাবে ‘ধ্বংস’ হয়ে গেছে। এই সংকটময় মূহুর্তেই ফুটবল বাঁচাতে সুপার লিগই সমাধান। আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যখন ক্লাবগুলো রাজস্ব পাচ্ছে না এমন সময় একমাত্র উপায় হলো খেলাকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয় করা।
সরকারের আর্থিক নীতির সাথে তুলনা করে পেরেজ বলেন, সরকারকে যেমন আর্থিক দিক বিবেচনায় নীতিতে পরিবর্তন আনতে হয় তেমনি আমাদেরও বিকাশের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
উয়েফার প্রস্তাবিত ৩৬ দলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলকে আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারবে না মন্তব্য করে রিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এখন চ্যাম্পিয়ন্স লীগ থেকে যেমন আয় হচ্ছে তাতে সব ক্লাব মারা যাবে। বল, মাঝারি, ছোট সব ক্লাব ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ইএসএল লাভজনক্। এখান থেকে পাওয়া অর্থ সবার কাছে পৌঁছে যাবে।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে সুপার লিগের ঘোষণা দেয়া হয়। যেখানে নাম লেখায় স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, ইতালির জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান ও এসি মিলান, ইন্টার মিলান, ইংল্যান্ডের লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, আরসেনাল, চেলসি, টটেনহাম হটস্পার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১২ ক্লাব ছাড়া আরও তিন ক্লাবকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে নেয়া হবে। লিগে অবস্থানের ভিত্তিতে আরও ৫ দলসহ মোট ২০ দল নিয়ে হবে প্রতিযোগিতা। দুই গ্রুপে দশ দল ভাগ হয়ে খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ তিন দল সরাসরি চলে যাবে নকআউট পর্বে। আর চার ও পাঁচে থাকা দল প্লে-অফ খেলে পরের ধাপে যবে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- এবার কোটা আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের আধিপত্য
- কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান মারা গেছেন
- ফুটবল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বড় অর্জন: শেষ সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা
- পৃথিবীর দিকে হাত বাড়াও ঈশ্বর, ফুটবল ঈশ্বর তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছে
- এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থনে মুশফিক-শান্তদের স্ত্রীরা
- ফিরে যাচ্ছেন সাকিব
- দেশের ফুটবল আবারও সালাউদ্দিনের হাতে
- এভারিস্তো: যে ব্রাজিলিয়ানকে সমান ভালোবাসে রিয়াল-বার্সা
- আইপিএল ২০২০
সূর্য কিরণে পুড়লো রাজস্থান