সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আদালত যেন সৎ সাহস নিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন: খালাস পেয়ে খন্দকার মোশাররফ

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

১৪:১৩, ২২ আগস্ট ২০২৪

১৯৫

আদালত যেন সৎ সাহস নিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন: খালাস পেয়ে খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমানে যত আদালত আছে তারা যেন সত্যকে প্রতিষ্ঠা করেন। সৎ সাহস নিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১-এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালত খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার আগে খন্দকার মোশাররফ আদালতে উপস্থিত হন। খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাকে খালাস প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্থপাচার মামলায় আমাকে জেলে যেতে হয়েছে। দশ বছর ধরে প্রতিমাসে এক-দুইবার হাজিরা দিতে হয়েছে। নির্যাতিত হতে হয়েছে আমাকে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক অত্যন্ত সৎ সাহস নিয়ে স্বাধীনভাবে রায় দিয়েছেন। আমি প্রথমে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। বিচারককে ধন্যবাদ জানাই। বর্তমানে যত আদালত আছে, তারা যেন এই ধরনের সত্যকে প্রতিষ্ঠা করে। সৎ সাহস নিয়ে বিচার প্রতিষ্ঠা করে সেই প্রত্যাশা করছি।

২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে এ মামলা করেন। পরে একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছরের ২৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় বিচার চলাকালে ৯ জন সাক্ষ্য দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে আইনপরিপন্থি কাজ করেছেন।

খন্দকার মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে আট লাখ চার হাজার ১৪২.৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় নয় কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।

ড. খন্দকার মোশাররফ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে ওই টাকা পাচার করেন বলে দুদকের তদন্তে জানানো হয়।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত