অসহায় বন্যাকবোলিত ও বানভাসি মানুষদের পাশে ক্যাম্পস
অসহায় বন্যাকবোলিত ও বানভাসি মানুষদের পাশে ক্যাম্পস
বিপুল পরিমানে ত্রাণ সামগ্রী ও স্বাস্থ্যসেবা উপকরন নিয়ে বন্যা করলিত মানুষদের মানবকি সেবা প্রদানে এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)।
প্রায় ১০ সদস্যের একটি টিম এ সব ত্রান সামগ্রী নিয়ে শনিবার ৩১ আগোষ্ট ২০২৪ বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের সহাতা দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিকট টি.এস.সি সন্নিকটে অস্থায়ী ত্রান সংগ্রহ কেন্দ্রে হস্তান্তর করে।
ক্যাম্পস এর সভাপতি দেশের বরেন্য কিডনি বিশেষজ্ঞ এবং আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ এম এ সামাদ এদলের নেতৃত্ব দেন।
ত্রান সামগ্রীর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল- ডায়রিয়া প্রতিরোধে খাবার স্যালাইন সরবরাহ প্রায় আট হাজার, ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সাবান ২০০০পিস, ত্বকের সংক্রমন ঠেকাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ২০০০পিস, মশা বাহি রোগ, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে মশারি ২০০পিস, সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি প্রায় লক্ষাধিক স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক লিফলেটও হস্তান্তর করা হয়। যেখানে বন্যা কবলিত ও বন্যা পরবর্তী সময়ে উক্ত এলাকার লোকজন স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকাসহ বন্যাজনিত সকল রোগ ও ঝুঁকি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে অবগত হবেন।
এসময় উপস্থিত ছাত্র প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত, বন্যার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ ও মত বিনিময় করেন ক্যাম্পস এর সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এম এ সামাদ।
দেশ বরেন্য এই কিডনি বিশেষজ্ঞ মনে করেন উপযুক্ত খাদ্য-দ্রব্য, পানি, শিশু খাবার, ঔষধ এবং আশ্রয়হীনতার কারণে ইতিমধ্যে অসংখ্য মানুষ ডায়রিয়াসহ নানাবিধ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় গণমচেতনতার মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে না পারলে এসব রোগ মারাক্তক আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে আকস্মিক কিডনি বিকলের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
অধ্যাপক ডাঃ সামাদ বলেন, মানবিক কাজে সহায়তার হাত বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্তরের সাধারণ জনগন, বেসরকারী সংগঠন, সংস্থা আজ বন্যা কবলিতদের সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। বানভাসী মানুষের সংখ্যা বিপুল পরিমানে হওয়ায়, যদিও প্রত্যেক বন্যাত্যদের সেবা দেয়া কিছুটা কঠিন, তবুও সর্বস্তরের সহযোগীতায় বন্যার্ত্যদের যে নিঃস্বার্থ মানবিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে তা এক বিরল দৃষ্টান্ত।
ডাঃ সামাদ বলেন, ক্যাম্পস প্রায় দুই যুগ সময় ধরে স্বাস্থ্য সেবা খাতে মানবিক সহযোগিতা প্রদান করার মাধ্যমে সবসময় বিপন্ন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে, তারই অংশ হিসাবে ৩১ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে, ভাগ্যাহত বন্যার্ত্যদের সেবায় ‘ক্যাম্পস’ এগিয়ে এসেছে এবং সাধ্যমত ত্রাণ ও স্বাস্থ্য সেবা উপকরণ বিতরণ করেছে।
ক্যাম্পস এর নির্বাহী পরিচালক, রেজওয়ান সালেহীন ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ মোট ১০ জন বিশিষ্ট দলটি এ কাজে অংশ গ্রহন করেন। তিনি অংশগ্রহনকৃত সকল সদস্যদের তাঁকে এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য আক্রন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরন অতিরিক্ত বেড়ে বা কমে গেলে কী হয়?
- বিএসএমএমইউ`র ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু
- আইসিডিডিআর,বি-র প্রথম বাংলাদেশি নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ
- ১০ লক্ষণে বুঝুন আপনার করোনা হয়ে সেরে গেছে
- এশিয়ার নোবেলখ্যাত ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন ড. ফিরদৌসী কাদরী
- সাইমুম তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে
- কৈশোর মানব জীবনের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য, সঠিক নির্দেশনা জরুরি
- চিকিৎসা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও এগিয়ে অধ্যাপক স্বপ্নীল
- সখিপুরে চালু হলো ক্যাম্পস এর স্বল্পমূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা
- রাবেয়া খেলছে, রোকেয়া পারছে নিজে খেতে, জানাচ্ছে সিএমএইচ