রাবেয়া খেলছে, রোকেয়া পারছে নিজে খেতে, জানাচ্ছে সিএমএইচ
রাবেয়া খেলছে, রোকেয়া পারছে নিজে খেতে, জানাচ্ছে সিএমএইচ
রাবেয়া-রোকেয়ার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। সেই দুই জমজ শিশু। যাদের জোড়া মাথায় জন্ম হয়েছিলো। সফল অস্ত্রোপচারে যাদের মাথা আলাদা করা হয়েছিলো। তারপর কেমন আছে রাবেয়া-রোকেয়া দুই বোন?
ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল- সিএমএইচ-এ জোড়া মাথা বিযুক্তকরণের সফল অপারেশন (Operation Freedom) হয় শিশু দুটির। তারপর এক বছর কেটে গেছে।
আর একবছর ধরে সুস্থ জীবন যাপন করছে শিশু দুটি। তবে তাদের ধারাবাহিক চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে সিএমএইচ ঢাকায় ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা।
বুধবার (১১ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিএমএইচ-ঢাকার বরাতে শিশু দুটির সবশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জানায়।
এতে জানানো হয়, নিয়মমাফিক ধারাবাহিক চিকিৎসার অংশ হিসেবে গত ২৭ অক্টোবর হাঙ্গেরি থেকে আসা ৪ জন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে দেশের সামরিক ও অসামরিক চিকিৎসকগণের সমম্বয়ে শিশু রাবেয়ার ক্রাইনোপ্ল্যাস্টি (Crianioplasty) অপারেশন হয়। গত ছয় দিন রাবেয়া সিএমএইচ-ঢাকা’র পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রাবেয়া অনেকাংশেই ভাল আছে এবং প্রায় স্বাভাবিক কথা-বার্তা বলতে পারে এমনকি খেলাধুলাও করতে চায়।
তবে রোকেয়ার স্নায়ুগত কিছু কিছু দুর্বলতা আছে যার কারণে সে এখনও পরিপূর্ণ কথা বলতে বা হাঁটতে পারছেনা। তবে নিজে-নিজে খাবার খেতে পারছে এবং কথা বুঝতে পারছে। আশা করা যায় শিগগিরই তার উন্নতি হবে।
২০১৬ সালের ১৬ জুলাই পাবনার চাটমোহরে মো. রফিকুল ইসলাম ও তাছলিমা বেগমের ঘরে জন্ম নেয় জোড়া মাথার জমজ বাচ্চা (Cranopagus Twin), চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে কনজয়েন্ড (Conjoined) বলে।
জোড়া মাথা নিয়ে জন্মনেওয়া শিশুদের আলাদা করার অস্ত্রোপচার (Operation Freedom) এর সফলতার উদাহরণ খুব কম। যা সম্ভব হয়ছে ঢাকা সিএমএইচে।
তবে সে জন্য উদ্যোগ নিতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। সংবাদ মাধ্যমে শিশুদুটির ও তাদের বাবা-মায়ের করুণ অবস্থা দেখে তিনি নিয়ে নেন চিকিৎসার ভার। এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেন।
আইএসপিআর জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় সেনা প্রধানের নির্দেশনায় সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পরিকল্পনায় ঢাকা সিএমএইচ-এ শুরু হয় চিকিৎসা। পরে হাঙ্গেরি থেকে আসা ৩৪ চিকিৎসকরে একটি দল এবং বাংলাদেশের সামরিক ও অসামরিক চিকিৎসকরা মিলে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট শুরু করে ৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৩৩ ঘন্টা বিযুক্তকরণ অপারেশন (Operation Freedom) সলফতার সাথে সম্পন্ন করেন।
এটি ছিলো বিশ্বে এ ধরনের ১৭তম সফল অপারেশন এবং বাংলাদেশে প্রথম। যা বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য একটি মাইফলক।
এ অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর চিকিৎসা ব্যবস্থা তথা রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি জাতির অবিচল আস্থা অর্জন ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন হয়েছে, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে আইএসপিআর।
এতে আরও বলা হয়, হাঙ্গেরির চিকিৎসকদলের এই সহায়তায় দুটি দেশের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যতা বেড়েছে, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃরদর্শিতার পরিচায়ক।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরন অতিরিক্ত বেড়ে বা কমে গেলে কী হয়?
- বিএসএমএমইউ`র ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু
- আইসিডিডিআর,বি-র প্রথম বাংলাদেশি নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ
- ১০ লক্ষণে বুঝুন আপনার করোনা হয়ে সেরে গেছে
- এশিয়ার নোবেলখ্যাত ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন ড. ফিরদৌসী কাদরী
- সাইমুম তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে
- কৈশোর মানব জীবনের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য, সঠিক নির্দেশনা জরুরি
- চিকিৎসা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও এগিয়ে অধ্যাপক স্বপ্নীল
- সখিপুরে চালু হলো ক্যাম্পস এর স্বল্পমূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা
- রাবেয়া খেলছে, রোকেয়া পারছে নিজে খেতে, জানাচ্ছে সিএমএইচ