শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ || ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

তেহরান দূতাবাসে জাতির জনকের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

নিউজ ডেস্ক

০৬:২১, ১৮ মার্চ ২০২১

৮৫৯

তেহরান দূতাবাসে জাতির জনকের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানাবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ১৭মার্চ  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিবস এবং জাতীয় শিশু দিবস পালন করে। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির প্রথম পর্বের সূচনা ঘটে। এরপর দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠএবং বিশেষ মুনাজাতের আয়োজন করা হয়।

সন্ধ্যায় দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে অনলাইনে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি ও স্বরচিত কবিতা পাঠ, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ভিত্তিক ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট কবি ও আবৃত্তিকার নাসির মাহমুদ, মোর্শেদ চৌধুরী, সৈয়দ মুসা রেজা, কবির চান্দ, জাহিদুল ইসলাম, গাজী আব্দুর রশিদ প্রমুখ বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। শিশুদের অনুষ্ঠানে সারা আজমী, এসএম সিফাত হোসেন, গাজী তালহা অর্নিল, গাজী রোদসী স্বপ্নীল, মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন প্রমুখ অংশগ্রহণ করে।

রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসাল আযম সরকারের সভাপতিত্বে ও দূতালয় প্রধান মোঃ হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানএবং তেহরানের শরিফ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদ ফতুহি ফিরুজাবাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। 

এছাড়া ইরান প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক জনাবএজাজ হোসেন, দূতাবাসের কমার্সিয়াল কাউন্সেলর ড. জুলিয়া মঈন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুমিত আল রশিদ, ড. শহিদুল ইসলাম শোভন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। ইরান জাতীয় সংসদের ইরান-বাংলাদেশ সংসদীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান  আব্দুল নাসের, অভিনেত্রী ও সাংস্কৃতিককর্মী মাসিহ মীর হোসেইনি সহ অনেক বিশিষ্ট ইরানি নাগরিক ওয়েবিনার সহ অনুষ্ঠান মালা উপভোগ করেন।

ড. মীজানুর রহমান তার আলোচনায় জাতির জনকের র্ণাঢ্য জীবনের নানান পর্যায়ের উপর আলোচনা করেন এবং বলেন যে বঙ্গবন্ধুর মত একজন মহামানবের জন্ম নাহলে বাংলাদেশের পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচন হতনা। তিনি আরও বলেন যে বঙ্গবন্ধু একটি চেতনার নাম, যে চেতনার আলোকে তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ উন্নয়নের পথ ধরেএগিয়ে চলেছে। অধ্যাপক মাহমুদ ফতুহি ফিরুজাবাদ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বলেন যে, তিনি বাঙালি জাতির এক যুগসন্ধিক্ষণে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অন্যান্য বক্তা বাংলাদেশের জন্ম ও প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদানএবং তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিকের উপর আলোকপাত করেন।
 
সভাপতির ভাষণে ইরানে নিয্ক্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসোল আযম সরকার বলেন যে জাতির জনকের যুগান্তকারী আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু কেবল স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেননা, জাতি গঠনের কুশলী কারিগরও ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে তিন বছরে স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন হয় এবং অবকাঠামো ও সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসৃষ্টি হয় এবং রাষ্ট্র পূর্ণ কর্মকাণ্ড ও উন্নতির পথে এগিয়ে চলে। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় মর্মে তিনি যে ঘোষণা দিয়ে গেছেন তা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। রাষ্ট্রদূত  বিগত কয়েক বছরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদাহরণ তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ এর আওতায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ সঠিক ট্র্যাকেএগিয়ে চলছে বলে জানান। তিনি এ জন্য সকলকে সেই লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। তিনি জাতির পিতার জীবনী, নেতৃত্ব এবং নীতি দর্শনের বিভিন্ন দিকের উপর আলোকপাত করেন। তিনি উপস্থিত সকলকে যার যার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অবদান রাখার আহ্বান জানান। শিশুদিবসের প্রেক্ষিতে তিনি জাতির পিতার নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশেরঐতিহ্য ও গর্বের সাথে সম্পৃক্ত ও উজ্জীবিত হয়ে আজকের শিশু ও নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গর্বিত অর্জনের পথে এগুনো এবং শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার তাগিদ দেন।

দিবসটি উপলক্ষে ফেস্টুন ও ব্যানার দিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গন সাজানো হয়। এছাড়া বয়সভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা, ছবি অংকন এবং বঙ্গবন্ধুর উপর সৃজনশীল সাহিত্যকর্মের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)

আরও পড়ুন

Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank