সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

নিউজ ডেস্ক

১৯:৪৮, ১০ জানুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১৯:৪৯, ১০ জানুয়ারি ২০২১

৮৬০

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

তেহরানে পালন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
তেহরানে পালন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন, কবিতা আবৃত্তি, অভ্যাগতদের মাঝে মুজিব বর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির তৈরি বিশেষ স্মারক ব্যাচ বিতরণ, বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মা এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। 

ইরানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসোল আযম সরকারের সভাপতিত্বে দূতালয় প্রধান মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে ১০ জানুয়ারির পটভূমি, গুরুত্ব এবং তাৎপর্য এবং জাতির জনকের জীবনের বিভিন্ন দিক, সংগ্রাম ও অবদানের উপর আলোকপাত করেন। 

দূতাবাসে নিয্ক্তু কমার্সিয়াল কাউন্সিলর ড. জুলিয়া মঈনসহ মো. সামিউল হোসেন, মোস্তফা কামাল এবং গোলাম রব্বানি আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়া সাহিত্যিক কবির চান্দ সভায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপর স্বরচিত ছড়া পাঠ করেন।

রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসোল আযম সরকার তার বক্তৃতায় বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং যুগান্তকারী আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সে বিজয় পূর্ণতা লাভ করেছিল। তিনি বঙ্গবন্ধু কেবল স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, জাতিগঠনের কুশলী কারিগরও ছিলেন। দেশে ফিরেই অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি ভারতীয় সেনাদের ফেরত পাঠাতে, জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রচিত চমৎকার সংবিধান উপহার দিতে এবং বিশ^ দরবারে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে সক্ষম হন। তাঁর নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে তিনবছরে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ অবকাঠামো ও সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। 

দুঃখ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জনকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তার সোনার বাংলা নির্মাণের স্বপ্ন বিঘ্নিত হয। 

বিগত কয়েক বছরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদাহরণ তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাতির সৌভাগ্য যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ এর আওতায় বাংলাদেশ পুনরায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হতে চলেছে। 

উপস্থিত সকলকে যার যার নিজ নিজ অবস্থান থেকে জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে কাজ করে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর বিষয়টি বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পর্যায়ের এ আয়োজনে দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকগণ অংশ নেন। 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)

আরও পড়ুন

Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank