রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ফিরে যাই আহত বর্ণমালায়... ডিসি একুশে অ্যালায়েন্সের একুশে উদযাপন

বিশেষ সংবাদদাতা

০৬:৫৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ০৫:৪৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

৭৬৫

ফিরে যাই আহত বর্ণমালায়... ডিসি একুশে অ্যালায়েন্সের একুশে উদযাপন

গান-কবিতা-নৃত্য-নাটক আর নানা কথামালায় সাজানো একটি অনন্য আয়োজনে ডিসি একুশে অ্যালায়েন্স উদযাপন করলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩। স্মরণ করলো অমর একুশে আর ভাষা শহীদদের। উজ্জীবিত হলো বাঙালি চেতনায় নতুন করে।

এবারের একুশে আয়োজনে মূল প্রতিপাদ্য ছিলো- ফিরে যাই আহত বর্ণমালায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিসি-ভার্জিনিয়া-মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাভাষাভাষিদের প্রাণের আয়োজন এটি। সারাবছরের অপেক্ষা থাকে সকলের। আর এই আয়োজনের অনন্য দিকটিই হচ্ছে এখানে গড়ে ওঠা সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ২৫টি সংগঠন এক হয়ে গড়ে তোলা একুশে অ্যালায়েন্স এর আয়োজক।  

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির আয়োজনগুলো দিন-ক্ষণ মেনে করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। শনি-রবিবারে সপ্তাহান্তগুলোতেই ভরসা করতে হয়। আর সে কারণে একুশের এবারের উৎসব আয়োজনটি হয়ে গেলো ১৮ ফেব্রুয়ারি। এদিন ছিলো শনিবার। অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলো আর্লিংটনের কেনমোর মিডল স্কুল অডিটিরিয়ামে।

দুপুর না গড়াতেই সাদা-কালো পোশাকে সেজে আসতে শুরু করেন এখানকার মানুষেরা। তাদের কারো কারো হাতে ফুলের তোড়া। কারো হাতে একটি দুটি ফুল।

কোথায় দেবেন এই ফুল? সে প্রশ্নের উত্তর মিললো স্কুল ভবনের মিলনায়তনে ঢুকে। সেখানে মঞ্চের এক পাশে অনন্য নান্দিকতায় তৈরি করা হয়েছে একটি শহীদ মিনার।

সাদা ফ্রেমের আড়ালো লালসূর্যের এই কাঠামো প্রতিটি বাঙালির মনে এনে দেয় এক নিদারুণ অনুভূতি। বাংলা মায়ের সফেদ শাড়ি আর তার দামাল ছেলের বুকের রক্তে ভেজা সূর্যের লাল রঙ যেনো প্রতি বাঙালির বুকে জেগে থাকা বাংলা ও বাঙালির চেতনা।

সেই চেতনার পরিষ্ফুটন ছিলো গোটা আয়োজনে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।

শুরু হলো জাতীয় সঙ্গীতে। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। আর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত- ও সে ক্যান ইউ সি বাই দ্য ডন'স আর্লি লাইট।

এক মঞ্চ ঠাসা শিল্পীরা অংশ নিলেন সেই সঙ্গীতে। আর তাদের পেছেন বিপুল স্ক্রিনে পত পত উড়ছিলো লাল-সবুজের পতাকা আর নীল-লাল-সাদায় তারকাখচিত যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় নেতৃত্ব দিলেন মাহদী রহমান, সৈয়দা শেহরিন চিশতী, আরিয়ানা রহমান, আহসান সাজিদ, এড্রিয়ানা অথৈ গমেজ ও রাকিন এলাহী।

রুনা হক নাকিব, আমিনুর রহমান ও আরিফুর রহমান স্বপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান তার গতি পেলো। তবে আগেই এক মিনিট থমকে থাকে অনুষ্ঠান। লাখো শহীদের আত্মদানে পাওয়া যে স্বাধীনতা, ভাষার জন্য যে জাতির রক্তদান সে জাতি তার সমগ্র অর্জন আনন্দেও স্মরণ করে সেইসব শহীদদের। তাদের স্মৃতির সম্মানে এক মিনিট নিরবে দাঁড়িয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এরপরপরই সকলে সমবেত কণ্ঠে গাইলেন একুশের প্রথম প্রহবের প্রভাতফেরীর সেই গান-- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।


এর পর শুরু হলো 'রক্তে প্রলয় দোলা' শিরোনামে একটি উপস্থাপনা। বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রাম, ভাষার সংগ্রাম এসবের মধ্যেই নিহিত এই জাতি মরতে ভয় পায় না। এ জাতি তার প্রয়োজনে বুকের রক্তে রাজপথ রাঙায়। জাতীয় সত্ত্বার প্রশ্নে, টিকে থাকার প্রশ্নে তার রক্তে লাগে প্রলয় দোলা।

পুরো উপস্থাপনাটি গ্রন্থনা ও পাঠ করেছিলেন অদিতি সাদিয়া রহমান। আর পরিচালনায় ছিলেন খৃষ্টফার তাপস গমেজ ও স্বপন গমেজ।

মঞ্চ ততক্ষণে শিল্পীরা দাঁড়িয়ে গেছেন লাইন করে। তারা গাইতে শুরু করলেন যে দেশের মাটির টানে কথামালা... যে ভাষা পাখির কলতানে। গাইলেন সালাম সালাম হাজার সালাম সকল শহীদ স্মরণে। তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় সুকান্ত--- এবার লোকের ঘরে ঘরে যাবে সোনালী নয়তো রক্তে রঙ্গিন ধান... গত আকালের মৃত্যুকে মুছে আবার এসেছে বাংলাদেশের প্রাণ।

শিল্পীরা ছিলেন খৃষ্টফার তাপস গমেজ, স্বপন গমেজ, শেখ মাওলা (মিলন), চার্লস রাজ গমেজ, তপন গমেজ, তালহা রহমান, জুয়েল গমেজ, সারওয়ার মিঞা, আনিসুজ্জামান খান, মো. মকবুল আহসান টিটো, হিরণ চৌধুরী, হাসনাত সানি, প্যাট্রিসিয়া শুক্লা গমেজ, শারমীন চৌধুরী, রোকেয়া আলম, শ্যাম রিয়া, সামিনা দিলশাদ আমিন, ক্লারা মিলি গমেজ, রূপালি গমেজ তেরেজা, মাসুমা আখতার, শান্ত্বনা গমেজ, কুলসুম আলম খুকি, লরেন গমেজ, ভেনেসা প্রমা গমেজ, মেরিয়ান রড্রিক, ইনশা হক, মাহফুজা রশীদ বীথি, হানিফা আলিমা নেহা, নাসরীনা আহমেদ, ইসরাত সুলতানা মিতা। এই পর্বে তবলায় ছিলেন পল ফেবিয়ান গোমেজ, একর্ডিয়ান আবু রুমি, মন্দিরা সরোজ বরুয়া, ভায়োলিন দিব্য বড়ুয়া আর কাহন বাজান মাহদী রাহমান নিথিন। 

এরপরের পরিবেশনা ছিলো মৃত্যুঞ্জয়ী শিরোনামে। "আসছে মৃত্যুঞ্জয়ী" এই বার্তা দিয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় এক উপস্থাপনা যাতে রফিক সালাম বরকতের ফিরে আসার কথা ছিলো কবিতায়। কবিতায় ছিলো দ্রোহ, ছিলো ভালোবাসা দেশের টানে, ভাষার টানে। আরও ছিলো বাংলাকে যারা হেলা করে, করে ভাষা হিসাবে তুচ্ছ জ্ঞান তাদের জন্য শ্লেষমাখা উপস্থাপনা। জানেন দাদা আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না....। তবে সব ছাপিয়ে ছিলো একুশের বন্দনা- একুশ মানে সাশ্বত বাঙালির হিজল তমাল, ভাটিয়ালি গান, শাপলা ফোঁটা দীঘি, পদ্মানদীর মাঝি। কবিতা পাঠের এই আসরের গ্রন্থনা ও পরিচালনায় ছিলেন অদিতি সাদিয়া রহমান। তিনিসহ আবৃতিতে অংশ নেন- শাহনাজ ফারুক শিরীন, দিলশাদ চৌধুরী ছুটি, সুলতানা আহমেদ সোমা, ইনশা হক, সামিনা দিলশাদ আমিন, তন্দ্রা  দাশ, শারমীন চৌধুরী, আতিয়া মাহজাবীন, প্যাট্রিসিয়া শুক্লা গোমেজ, সাবরিনা রহমান শর্মী, সারাহ তানজিম তান্মি, রায়হান এলাহী, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মিলু, তিলক কুমার কর, তালহা রহমান, পল ফেবিয়ান গোমেজ, আনিসুজ্জামান খান, ফকির সেলিম, আরিফুর রহমান স্বপন। তবলায় ছিলেন পল ফেবিয়ান গোমেজ, কিবোর্ড বাজান স্বপন গমেজ আর নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন রোজমেরি মিতু রেবেইরো, রোকেয়া জাহান হাসি ও সামারা এলাহী যার কোরিওগ্রাফি করেন রোজমেরী মিতু রেবেইরো।

আয়োজনে ধন্যবাদের পালাতো থাকতেই হয়। অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে জোটের সকল সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের ডাকা হলো মঞ্চে তারা ধন্যবাদ নিলেন আর জানালেনও। আরও ধন্যবাদ জানানো হলো ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন কাউন্টির কর্মকর্তাদের। তারাও এসেছিলেন এই আয়োজনে সামিল হতে। অংশ নেন আলোচনায়। বাংলাদেশি কমিউনিটির এই আয়োজনকে স্বাগত জানান আর তুলে ধরেন ভাষার গুরুত্ব। 

একটির পর অপর পরিবেশনায় যাওয়ার আগে পর্দা ওঠা-নামা চলেছিলো। কিন্তু এক দফায় পর্দা সরলে দর্শক সারিতে ওঠে তুমুল করতালি। সকলের সামনে মঞ্চে তখন এক ঝাঁক শিশু কিশোর তাদের কারো বয়স ২ কিংবা ৩। কারো বা ১৫/১৬। এরা সকলে এই দেশের মাটি জলে পরিবেশ-প্রকৃতি সমাজ-শিক্ষায় বড় হওয়া। এরা সকলে মূলত ইংরেজি ভাষাভাষি। বাংলা কেবলই তাদের মায়ের ভাষা। নিত্য চর্চায় তাদের ইংরেজি। তাও এই শিশু-কিশোররা যখন বলে উঠলো আমি বাংলায় ভালোবাসি, আমি বাংলাকে ভালোবাসি তখন কারো বুঝতে বাকি থাকে না- চেতনা অতি যত্নে ছড়িয়ে গেছে প্রজন্মান্তরে। আবহমান সংস্কৃতি থেকে উৎসারিত বাংলার চেতনা, বাঙালির চেতনা তাদের হাত ধরে যাবে প্রজন্মান্তরে তাতে সন্দেহমাত্র রইলো না কারো। কারণ এই শিশুরা একের পর এক গাইলো গান আমি একবার দেখি বার বার দেখি দেখি বাংলার মুখ... কিংবা লক্ষ্য ঠিক রেখে তোমরা এগিয়ে যাও। দারুণ একটি নামও দেওয়া হয়েছিলো শিশুদের এর পরিবেশনার- আগামীর ভোর।  

শিশু-কিশোরদের জন্য আরও আয়োজন ছিলো। সেটি একুশের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এছাড়াও একুশ নিয়ে লেখার প্রতিযোগিতাও ছিলো। তাতে যারা বিজয়ী তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণীও হয়ে গেলো এক পর্যায়।

যেসব শিশু-কিশোর এসব পরিবেশনায় অংশ নিলো তারা হচ্ছে-  আহসান সাজিদ, মাহদি রহমান নিথিন, ফারহান রহমান, আহিয়ান রহমান, আলইয়াশা রহমান, ইয়াফি রহমান, রাকিন এলাহী, আরিয়ানা রহমান, সৈয়দা শাহরীন চিস্তী, আউস আহমেদ সোহেম, আফফান আহমেদ সৌম্য, রুদ্রানি দাস, এড্রিয়ানা অথৈ গমেজ, শেজাদ সাদেক, সামির সাদেক, সাফির সাদেক, অরনি রহমান, জয়িতা ম্যারিলিন গমেজ, ডমিনিক রাজ্য গোমেজ, জুলিয়া গমেজ, বৃষ্টি গমেয, নুবায়েদ খান, রিহান দাস, পানসি, সুদিতি সরদার, উদিতা সরদার। এই পর্বে বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন ডেভিড রানা। 


পরে তুলে ধরা হলো তথ্যচিত্র- একুশে, একটি অবিস্মরণীয় দিন। ভাষা, ভাষার তাৎপর্য, ভাষার গতি-প্রকৃতি নিয়ে নানা তথ্য উঠে আসে সঞ্চালক  রুনা হক নাকিব, আমিনুর রহমান এর কথায়ও। 

পরিবেশিত হলো নৃত্যনাট্য 'একুশ আমার অহঙ্কার'। কবিতার অংশপাঠ আর গানের অংশ বিশেষের সঙ্গে সে নৃত্য পরিবেশনা ছিলো অনন্য। যার মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে এক অহঙ্কারের একুশ। ভালোবাসার একুশ। বাঙালির চেতনা বোধের একুশ। মোদের গরব মোদের আশা... আ-মরি বাংলাভাষা। এই পরিবেশনার গ্রন্থনা ও পরিচালনায় ছিলেন স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতা লায়লা হাসান। সহযোগিতায় ছিলেন রোজমেরী মিতু রেবেইরো ও রোকেয়া জাহান হাসি। অনন্য নৃতকলায় দর্শককে মুগ্ধ করেন লায়লা হাসান নিজেও। এ আমার মন ভোলানো বুক জুড়ানো লক্ষ মনের লক্ষ আশা... ও আমারি বাংলাভাষা। 

এই পর্বে অংশ নেয় সুকন্যা পেরেরা, অমি নাহিদ, মাহদিয়া জাহান ইশাল, মারীয়া মনীষা গমেজ, এমিরি মুরিয়েল গমেজ, সামারা এলাহী, মেঘা পিউরিফিকেশন, মেহেক আজাদ, মারিয়া ইসলাম জাহিন ও ফারিয়া ইসলাম মাহিন। এছাড়াও বিশেষ ভূমিকায় মঞ্চে আসেন প্রণব বরুয়া, তিলক কুমার কর, কুলসুম আলম খুকি ও মো. হারুনুর রশিদ। 

ছিলো নাটক। নাম শহীদ মিনার। তবে তার আগে ছিলো অতিথিদের বক্তৃতার পালা। প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। তিনি বক্তৃতায় তুলে ধরেন ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস ও মাতৃভাষার গুরুত্ব। আর উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রে ২৫টি সংগঠন এক হয়ে এই ডিসি একুশে অ্যালায়েন্স গঠনকে এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে। কমিউনিটির প্রতি দূতাবাসের সকল সহযোগিতা থাকবে সে কথাও তুলে ধরেন বক্তৃতায়। 

শহীদ মিনার নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয় নতুন সংস্কৃতি কি করে বাংলা ভাষাকে তার গৌরবের স্থান থেকে সরিয়ে দিয়েছে তারই প্রেক্ষাপটে বিবেকের জাগরণ ও চেতনাবোধের পুনর্বিকাশকে। নাটকের রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন শফিকুল ইসলাম। আর ধারা বিবরণ করছিলেন কিংবদন্তীর নাট্যশিল্পী হাসান ইমাম। কবিতা পাঠ করেন আমিনুর রহমান। আর অভিনয়ে ছিলেন মিজানুর রহমান খান, নুশরাত শফিক সোমা, ডোরা গোমেজ, সাদাফ আহসান, ড. মো. আহসানুল আকবর, তিলক কর, খন্দকার মুরাদ হোসাইন, তাজমিরা আমান্না, সাজিদ  আহসাদ, হারুনুর রশিদ, জুহা জাবির ইসলাম, প্রনব বড়ুয়া, মকবুল আহসান টিটো। কারিগরি সহযোগিতায় ছিলেন তাহমিদ শাহরিয়াদ, সামিউল ইসলাম, তারিক হাবিব, ড. আরিফুর রহমান ও ড. শোয়েব চৌধুরী।  

প্রতিবছরের মতো এবারেও ছিলো আন্তর্জাতিক পরিবেশনা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভিন্ন সংস্কৃতি থেকেও পরিবেশনার সুযোগ রেখে আসছে একুশে অ্যালায়েন্স। এবার ছিলো ভারতীয় গ্রুপ তা থৈ এর পরিবেশনা- দুই মায়ের সন্তান। চিলড্রেন অব টু মাদারস। আরও ছিলো বলিভিয়ান গ্রুপ ফার্দিনান্দ কালচারাল পাচামামা গ্রুপের উপস্থাপনায় টিঙ্কু ২০২৩ নামে একটি গীতিনাট্য। এই পরিবেশনার পরিচালনায় ছিলেন প্রিয়লাল কর্মকার। কোরিওগ্রাফিতে এরিয়েল সানদোভাল আর শিল্পীরা ছিলেন ইউভাল ব্রেনডালি, মিরিয়াম, ইয়েসিকা, লিও ও মরিসিও।

একুশে উদযাপনের এই আয়োজন পূর্ণতা পায় প্রভাতফেরী আর শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলির মধ্য দিয়ে। সকল আয়োজনের শেষ পর্বে ছিলো এই অংশ। যাতে একুশে অ্যালায়েন্সের সদস্য সংগঠনগুলো ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে অন্যন্য সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও ফুল দেওয়া হয়। একে একে ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় স্মৃতির মিনার। আর বাজতে থাকে সেই অমর কথামালায় অমর গানখানি.... আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি। 

একুশে অ্যালায়েন্সের সদস্য সংগঠনগুলো হচ্ছে- আমরা বাঙালি ফাউন্ডেশন, আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস (আবিয়া), আমরা নারী,  বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইন্ক (বাই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি), বাংলাদেশ আমেরিকান কালচারাল অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ এন্টারপ্রেনারস সোসাইটি অব ট্যালেন্টস, বাংলাদেশি আমেরিকান ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশি আমেরিকান ফাউন্ডেশন ইউএসএ, বাংলাদেশি আমেরিকান আইটি প্রফেশনালস অরগানাইজেশন, বুয়েটিয়ান ইউএসএ ক্যাপিটাল রিজিয়ন, চিটাগং ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ফোরাম, ঢাকা ইউনিভার্সিট অ্যালামনাই ফোরাম, ধ্রুপদ, একাত্তর ফাউন্ডেশন, ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি ডিএমভি, ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি ইন্ক, ইছামতি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, লাভ শেয়ার বিডি ইউএস, পিপলএনটেক ফাউন্ডেশন, প্রিয় বাংলা, স্বদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ কালচারাল অর্গানাইজেশন ও সুন্দরবন। 

এ বছরের আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলো ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইন্ক-ডুয়াফি। সমন্বয়ক ছিলেন সংগঠনটির  সহ সভাপতি  ইশরাত সুলতানা মিতা। 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)

আরও পড়ুন

Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank