কানাডায় পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি নিহত
কানাডায় পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি নিহত
কানাডার অন্টারিওর ডান্ডাস স্ট্রিট সাউথবাউন্ড হাইওয়েতে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তারা হলেন-শাহরিয়ার খান (২০), এঞ্জেলা বাড়ৈ (২০) ও আরিয়ান দীপ্ত (১৭)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার দে (২১)।
এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২০ সালে শুধু টরন্টো শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫৫৩ জন। আর গত কয়েক বছরে কানাডায় মারা গেছে ১৮ জন বাংলাদেশি। তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
২০২১ সালের অক্টোবরে নিহত হয় ১৭ বছর বয়সী টরন্টোর বার্চমাউন্ট পার্ক কলেজিয়েট ইনস্টিটিউটের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী নাদিয়া মজুমদার।
কানাডাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রশাসনিক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কনিষ্ঠ সন্তান নুসরাত জাহান (২৩) সাইকেল চালিয়ে কলেজে যাওয়ার সময় ২০১৬ সালের
১ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিসকাতুল ইসলাম ক্যাম্পাসে রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়ে পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হ্যামিলটন জেনারেল হাসপাতালে মারা যান।
২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ক্যালগরিতে যুগ্ম সচিব আব্দুল লতিফ খানের কন্যা সামিরা লতিফ লিরা (২৪) মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই সহপাঠীসহ মারা যান।
২০১৯ সালের ২২ জুন টরন্টোর ডাউন টাউনে রিজেন্ট পার্ক এলাকায় চলন্ত গাড়ির ধাক্কায় নিহত হন মাওলানা মিসবাহ উদ্দিনের স্ত্রী রত্না বেগম। ২০২০ সালের ১০ আগস্ট ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষ করা শাবাব আহমেদ আলভী মন্ট্রিলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হন।
২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী উইনিপেগ থেকে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার উত্তরে হাইওয়ে ৭-এ দু’টি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন বাংলাদেশি আল নোমান আদিত্য, রসুল বাধন ও অরণ্য আজাদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করে।
২০২১ সালের ১৩ মে অটোয়া শহর থেকে টরন্টো ফেরার পথে ৪০১ নম্বর হাইওয়েতে দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩ জন। তারা হলো, প্রিমিয়াম সুইটসের পরিচালক মনিরুজ্জামান বিজয়, তার স্ত্রী ও লিয়াকত হোসেন নামে আরও একজন।
শুধু মৃত্যুই নয় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেকেই দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। তাদের মধ্যে অনলাইন পত্রিকা জালালাবাদ বার্তার সম্পাদক এবং সাপ্তাহিক ভোরের আলোর নির্বাহী সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস চৌধুরীর চার বছরের ছেলে রাশিদুল চৌধুরী।
২০১৯ সালের ২৬ মে ভিক্টোরিয়া পার্ক অ্যাভিনিউ এবং আদায়ের রোড এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয় রাশিদুল। বর্তমানে সে পঙ্গু হয়ে বিছানায় দিন কাটাচ্ছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ডা. ফারজানাকে অভিনন্দন
- ওরে বাব্বা কত পিঠার কত নাম!
- রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট সেবার অনলাইন কার্যক্রম ফেসবুকে ল
- মাকে হারালেন আজিজ আহমদ
- স্বজনদের শেষ মাটি দিতে না পারা প্রবাসীদের জীবনে বড় কষ্ট
- বিনা সাক্ষাৎকারে
ভ্রমণ, ব্যবসা ও মেডিকেল ভিসার আবেদন নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস - দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম হিসেবে
এনওয়াইপিডির লে. কমান্ডার হচ্ছেন বাংলাদেশি আমেরিকান শামসুল হক - কানাডায় পেস এর উদ্যোগে বর্ণবাদ বিরোধী কার্যক্রম শুরু
- নিউইয়র্কে আগ্রাবাদ নাইট, এক মুখরিত সন্ধ্যার গল্প
- বিদেশি সিইও নয়, ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা পাবেন নিজ দেশে কাজের সুযোগ