রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাংলাদেশের ওয়াশিংটন দূতাবাসে বর্ষবরণ ও ঈদ পুণর্মিলনী

নিউজ ডেস্ক

০১:৪৮, ১৫ মে ২০২২

৮৪১

বাংলাদেশের ওয়াশিংটন দূতাবাসে বর্ষবরণ ও ঈদ পুণর্মিলনী

এক টুকরো বাংলাদেশ... এমনটাই বলা হয়। আর ঠিক তেমনই হয়ে উঠছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি'র বাংলাদেশ দূতাবাস... শুক্রবার সন্ধ্যায়। অভ্যগতরা এসেছিলেন বাঙালি সাজে। অনুষ্ঠান স্থলের সাজ-সজ্জ্বায়ও বাঙালিয়ানা। আর অনুষ্ঠান জুড়েও বাঙালি সব আয়োজন। খাবার পরিবেশনায় পুরোদস্তুর বাঙালি পদ- ভর্তা, পান্তা, শুটকি, শুক্তো, চিতই, পাটিশাপটা, সেমাই মিষ্টি। সাথে মাংস পোলাও তো রয়েছেই। 

বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়- আয়োজন ছিলো বৈশাখ বরণের। সাথে ঈদ পুণর্মিলনী। 

বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান দুটি উৎসব অবশ্য হয়ে গেছে আগেই। কিন্তু পহেলা বৈশাখে রমজান থাকায় এই উৎসবের আয়োজন বাংলাদেশ দূতাবাস তুলে রেখেছিলো ঈদের পরের জন্য। তাই এক সঙ্গে দুটি উৎসব হয়ে গেলো দূতাবাসে। সে কথাই বলছিলেন রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে অভ্যাগতদের মধ্যে ছিলেন অন্যান্য দেশের কূটনীতিকরাও। এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা। তারা যেমন ভূয়সী প্রশংসা করছিলেন আয়োজনের, তেমনি বাংলাদেশেরও। এসেছিলেন- দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কেলি কিডারলিন। তিনি বলেন, সংস্কৃতিতে সম্মৃদ্ধ একটি দেশ বাংলাদেশ। এই দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অনুস্বীকার্য। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কেলি কিডারলিন।  

সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা পর্বের পরপরই শুরু হয় মঙ্গলশোভাযাত্রা। বাঙালির সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা নানা ধরনের প্লাকার্ড হাতে দেশি-বিদেশি অতিথিরা দুতাবাসের সামনের চত্ত্বরে ঘুরে এলেন সেই শোভাযাত্রা নিয়ে। আর সঙ্গে সেই প্রিয় গান--- এসো হে বৈশাখ এসো এসো

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে অতিথিরা আবার চলে আসে অনুষ্ঠান স্থলে। সেখানে মঞ্চ সাজানো হয়েছে বাঙালি সংস্কৃতির নানা বিষয়কে তুলে ধরে। 

অতিথিরা আসন নিলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মঞ্চে উঠে পরপর দুটি গান গেয়ে শোনান। প্রথমে এসো হে বৈশাখ এসো এসো আর পরে ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। 

রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম বলছিলেন এই দুটো উৎসব মানেই হচ্ছে পেটপুরে খাওয়া। সেই খাবারের আয়োজন ততক্ষণে শুরু হয়েছে। মুড়ি-মুরকি চটপটি ফুচকা কিংবা চানাচুর ভাজা। 

অন্যদিকে অনুষ্ঠানস্থলে চলছিলো একের পর এক গান... আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। 

তবে অনুষ্ঠানে সকলের মন ছুঁয়ে যায় চারটি বাংলা কবিতা শুনে। যারা এসব কবিতা পড়ে শোনান তারা কেউ বাংলাদেশি নন। 

গান- কবিতার পরে নাচ। এখানকার বাংলাদেশি নতনু প্রজন্মের মেয়েরা নাচে বাংলা গানের তালে। 

ততক্ষণে খাবারের মূল আয়োজন শুরু হয়ে যায়। 

চমৎকার সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার পর, বাঙালি সব খাবারে তৃপ্তি মিটিয়ে খান বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষগুলো। মজা করে খান বিদেশি অতিথিরাও। 

এমন আয়োজন করতে পের খুশি রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এটা দূতাবাসের একটি দায়িত্ব বাংলাদেশের উৎসবের দিনগুলোতে এখানকার বাংলাদেশিদের জন্য কিছু আয়োজন করা।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)

আরও পড়ুন

Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank