জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন নিউইয়র্ক-এ মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশের মহান বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্থায়ী মিশন আয়োজিত এবারের অনুষ্ঠান দুটি পর্বে ভাগ করে উদযাপন করা হয়।
প্রথম পর্ব শুরু হয় সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী পাঠকৃত শপথ বাক্য অনুসরণ করে স্থায়ী প্রতিনিধির নেতৃত্ব মিশনের সব স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারি শপথ বাক্য পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব-আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যে ছয়টায়। কোভিড-১৯ এর নতুন ধরণ ‘অমিক্রণ’ এর প্রেক্ষিতে দূতাবাস ভবনস্থ বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ভার্চুয়ালভাবে আলোচনা পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় সম্পৃক্ত তরুন বাংলাদেশী-আমেরিকানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা পর্ব শুরুর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী বীর শহীদগণের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, আমরা এখন শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, বিশ্বশান্তি রক্ষা, শান্তি-বিনির্মাণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ক আলোচনা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ অসংখ্য বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মে বাংলাদেশ নেতৃত্বশীল ভূমিকা রেখে চলেছে মর্মে উল্লেখ করেন তিনি। স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, “আমরা আজ বিশ্বের ৪১তম অর্থনীতির দেশ। আশা করা যায়, ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। কোভিড ব্যবস্থাপনা ও অব্যাহত অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের কাছে আজ রোল মডেল বাংলাদেশ”।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অগ্রণী ভূমিকা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকানগণ এখানকার মূল ধারার রাজনীতিতে নেতৃত্বশীল ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটসহ বাঙালি জাতির চুড়ান্ত বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতার সূদীর্ঘ সংগ্রামের নানা দিক তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। জাতির পিতা ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের দেশের ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনতে প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান এবং নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী-আমেরিকান নেতৃবৃন্দ। তারা তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্পসমূহের বাস্তবায়নে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ডা. ফারজানাকে অভিনন্দন
- ওরে বাব্বা কত পিঠার কত নাম!
- রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট সেবার অনলাইন কার্যক্রম ফেসবুকে ল
- মাকে হারালেন আজিজ আহমদ
- স্বজনদের শেষ মাটি দিতে না পারা প্রবাসীদের জীবনে বড় কষ্ট
- বিনা সাক্ষাৎকারে
ভ্রমণ, ব্যবসা ও মেডিকেল ভিসার আবেদন নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস - দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম হিসেবে
এনওয়াইপিডির লে. কমান্ডার হচ্ছেন বাংলাদেশি আমেরিকান শামসুল হক - কানাডায় পেস এর উদ্যোগে বর্ণবাদ বিরোধী কার্যক্রম শুরু
- নিউইয়র্কে আগ্রাবাদ নাইট, এক মুখরিত সন্ধ্যার গল্প
- বিদেশি সিইও নয়, ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা পাবেন নিজ দেশে কাজের সুযোগ