পিপলএনটেকের শাখা হোক বাফেলোয়, প্রত্যাশা মেয়রের, সাড়া সিইওর
পিপলএনটেকের শাখা হোক বাফেলোয়, প্রত্যাশা মেয়রের, সাড়া সিইওর
বাফেলোর মেয়র বাইরন ব্রাউনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আবুবকর হানিপ |
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর বাফেলোতে সম্প্রতি সফর করছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত সফল আমেরিকান আইটি ও শিক্ষা উদ্যোক্তা প্রকৌশলী আবুবকর হানিপ। সেখানে তিনি যান শহরের বিআইসিসি মসজিদ পরিদর্শনে। পরে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় বাফেলোর মেয়র বাইরন ব্রাউনের সঙ্গে। সেখানে আলাপচারিতায় বাফেলো মেয়র সেখানে পিপলএনটেক'র একটি শাখা স্থাপনের জন্য আহ্বান জানান আবুবকর হানিপের প্রতি। এতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন তিনি।
পিপলএনটেক যুক্তরাষ্ট্র এই বাংলাদেশি উদ্যোক্তার একটি আইটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহরে রয়েছে যার শাখা। আইটি খাতে পেশাদার কর্মী তৈরিতে এরইমধ্যে স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে এই পিপলএনটেক। বাফেলো মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেখানে পিপলএনটেকের শাখা স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন আবুবকর হানিফ।
পিপলএনটেক ছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ আইগ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। প্রায়োগিক ও একাডেমিক শিক্ষার সমন্বয়ে একটি দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে এরই মধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
ওই সাক্ষাতে মেয়র ব্রাউন বলেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কাজ করছে এবং তাদের যুক্তরাষ্ট্রের মেইন স্ট্রিমে চাকরি পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যদি বাফেলো শহরে পিপলএনটেকের একটি শাখা করা হয় তাহলে সেখানকার অনেক বাংলাদেশি তথা অন্য কমিউনিটির অধিবাসীরা উপকৃত হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাফেলো বাংলা পত্রিকার সম্পাদক নিয়াজ মাখদুম।
আবু বকর হানিপ মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে ভার্জিনিয়া থেকে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া পর্যন্ত আমাদের পিপলএনটেকের ক্যাম্পাসের বিস্তার ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাফেলো শহরে একটি ক্যাম্পাস তৈরি করার পরিকল্পনা তার রয়েছে।
‘আমি আশা করি পিপলএনটেকের মাধ্যমে এখানকার বাঙ্গালী কমিনিটি উপকৃত হবেন। যদি তারা পিপলএনটেক থেকে সঠিকভাবে আইটি প্রশিক্ষণ নেন, তাহলে তাদের আর অড জব করতে হবে না। তারা অনেক ভালো বেতনে এই দেশের মেইন স্ট্রিমে চাকরি করতে পারবেন,’ বলেন আবুবকর হানিপ।
বাফেলো বাংলা পত্রিকার সম্পাদক নিয়াজ মাখদুম জানান, শহরটি প্রায় পঞ্চাশ হাজারের মত যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশির বাস।
তিনি বলেন, "এই মানুষগুলোর কর্মসংস্থানের সুযোগ খুবই কম। পিপলএনটেকের মত একটি স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান এখানে শাখা স্থাপন করলে এখানকার বাংলাদেশিরাসহ অন্যান্যরাও উপকৃত হবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে পিপলএনটেক’র ক্যাম্পাস যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়ায় বিস্তৃত হয়েছে। বাংলাদেশেও রয়েছে এর একাধিক ক্যাম্পাস। এছাড়া অনলাইনেও ক্লাস পরিচালনা করছে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে।
যুক্তরাষ্ট্রের যুবশ্রেণির স্বপ্ন সিক্সডিজিটের চাকরি। সেই স্বপ্ন পূরণেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এই পিপলএনটেক।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ডা. ফারজানাকে অভিনন্দন
- ওরে বাব্বা কত পিঠার কত নাম!
- রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট সেবার অনলাইন কার্যক্রম ফেসবুকে ল
- মাকে হারালেন আজিজ আহমদ
- স্বজনদের শেষ মাটি দিতে না পারা প্রবাসীদের জীবনে বড় কষ্ট
- বিনা সাক্ষাৎকারে
ভ্রমণ, ব্যবসা ও মেডিকেল ভিসার আবেদন নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস - দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম হিসেবে
এনওয়াইপিডির লে. কমান্ডার হচ্ছেন বাংলাদেশি আমেরিকান শামসুল হক - কানাডায় পেস এর উদ্যোগে বর্ণবাদ বিরোধী কার্যক্রম শুরু
- নিউইয়র্কে আগ্রাবাদ নাইট, এক মুখরিত সন্ধ্যার গল্প
- বিদেশি সিইও নয়, ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা পাবেন নিজ দেশে কাজের সুযোগ