ফিজিতে কৃষিখাতে বাংলাদেশি রিপনের সাফল্য
ফিজিতে কৃষিখাতে বাংলাদেশি রিপনের সাফল্য
ব্যবসায়ী রিপন কুমার ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে ফিজিতে এসেছিলেন একটি স্থানীয় কোম্পানিতে কাজ করার জন্য। ফার্মের সাথে তার চুক্তি শেষ করার পরে তিনি ফিজিতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০১৮ সালে নিজের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তবে করোনা শুরু হতেই তিনি কৃষিতে বিনিয়োগ শুরু করেন। তার সাফল্য নিয়েই প্রতিবেদন করেছে দ্য ফিজি টাইমস।
করোনা শুরুর পর রিপন ফিজির কোরনিভিয়া রোডে একটি সার্ভিস স্টেশনের পাশে ১৫ একরের সম্পত্তি কিনেছিলেন এবং পাঁচটি মাছের পুকুর, ছাগল, একটি শুয়োর এবং হাঁসের ঘর সহ একটি খামার স্থাপন করেছিলেন।
নিজের ব্যবসা প্রসঙ্গে ৪২ বছর বয়সী রিপন ফিজি টাইমসকে বলেন, "আমি এই মহামারী চলাকালীন ফিজিয়ানদের তাজা খাবার সরবরাহ করতে চাই। তাই যখন আমি আমার খামার থেকে ফসল তুলি, তখন আমি খুব কম মুনাফায় তাজা শাকসবজি বিক্রি করি।
“এই বছর এপ্রিল মাসে, আমি ফার্ম ফ্রেশ সুপার মার্কেট নামে একটি দোকান খুলেছি। এমন নামকরণের কারণ হলো এখানের সবকিছুই তাজা। তিনি বলেন আমি তাজা হাঁস এবং ছাগলের মাংসও বিক্রি করি। আমার গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সবকিছু খুব পরিষ্কার করে রাখা হয়।
রিপন কুমার জানান, তিনি সুপার মার্কেটের ভিতরে স্কুলের বাচ্চাদের জন্য একটি ইন্টারনেট ক্যাফে স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন।
"এই মুহুর্তে আমার একটি সুপার মার্কেট, রুটির দোকান এবং মদের আলাদা বিভাগ আছে এবং এই বছরের ডিসেম্বরের আগে ওয়াইন এবং ডাইনিং এলাকা, একটি হোম এবং লিভিং ডিপার্টমেন্ট এবং একটি পাইকারি বিভাগ খোলার পরিকল্পনা করেছি।"
রিপন বলেন, "আমি এখানে ব্যবসা স্থাপন করেছি যাতে মানুষকে নওসোরি বা নাকাসিতে যেতে না হয়।"
তিনি বলেন, “আমি সত্যিই ফিজিতে থাকতে পছন্দ করি কারণ আমি এখানে আমার গ্রামের মতো পরিবেশ পাই। সবাই মিলে মিশে এবং সুখে বসবাস করে। "
রিপন জানান, নিজের ফার্মে তিনি বেশিরভাগই আইটাউকের লোক নিয়েছে তবে হাঁস ও ছাগল পালনে কয়েকজন বাংলাদেশি নিয়োগ দেন।
তিনি জানান, তার পরিকল্পিত ওয়াইন এবং ডাইন রেস্টুরেন্ট তার খামার থেকে সরাসরি সবজি, মাছ, হাঁস এবং ছাগল পরিবেশন করা হবে। এছাড়া সামনে আলুর ব্যবসা শুরু করে পরবর্তীতে রফতানির পরিকল্পনাও আছে তার।
রিপন সেখানেএকটি হেয়ার সেলুন স্থাপনের পরিকল্পনাও করেছেন যাতে লোকেদের চুল কাটার জন্য নওসোরি বা নাকাসিতে ভ্রমণ করতে না হয়। তিনি জানান, আমি এই কঠিন সময়ে মানুষের সেবা করতে চাই এবং আমার সম্প্রসারণ পরিকল্পনা আছে যা পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করা হবে।
"লকডাউনের সময়কালে, আমি আমার কর্মীদের সাথে গিয়েছিলাম এবং অভাবগ্রস্ত পরিবারগুলিতে মুদি সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলাম কারণ কারও মনোযোগ কেবল অর্থ উপার্জনের দিকে থাকতে পারে না, আমাকে মানুষের কল্যাণ সম্পর্কেও ভাবতে হবে।"
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ডা. ফারজানাকে অভিনন্দন
- ওরে বাব্বা কত পিঠার কত নাম!
- রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট সেবার অনলাইন কার্যক্রম ফেসবুকে ল
- মাকে হারালেন আজিজ আহমদ
- স্বজনদের শেষ মাটি দিতে না পারা প্রবাসীদের জীবনে বড় কষ্ট
- বিনা সাক্ষাৎকারে
ভ্রমণ, ব্যবসা ও মেডিকেল ভিসার আবেদন নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস - দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম হিসেবে
এনওয়াইপিডির লে. কমান্ডার হচ্ছেন বাংলাদেশি আমেরিকান শামসুল হক - কানাডায় পেস এর উদ্যোগে বর্ণবাদ বিরোধী কার্যক্রম শুরু
- নিউইয়র্কে আগ্রাবাদ নাইট, এক মুখরিত সন্ধ্যার গল্প
- বিদেশি সিইও নয়, ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা পাবেন নিজ দেশে কাজের সুযোগ