নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় চাঁদরাতে চাঁদেরহাট
নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় চাঁদরাতে চাঁদেরহাট
ঈদ মানে আনন্দ, আর এই আনন্দটা তখনই পরিপূর্ণ হয় যখন তা সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নিজের মতো করে আনন্দ খুঁজে নেয় প্রবাসীরা। তারা প্রিয়জন থেকে অনেক অনেক দূরে, তাদের শূন্যতা পূরণ হবার নয়। আর এই শূন্যতার কিছুটা পূরণ করার জন্য জ্যামাইকা বাংলাদেশি ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে নিউইর্য়কের কুইন্সের হিলসাইডে ১৬৮ স্ট্রিটে চাঁদরাত উদযাপন করা হয়েছে। ১৬৮ ষ্ট্রীটে স্টেজ বানিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সে রাতে বসেছিলো এক চাঁদের হাট।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ এবং আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়, অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে জ্যামাইকা বাংলাদেশি ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মো. জাসেমের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ভুঁইয়া, কুইন্স কান্টি জজ এটর্নী সোমা সাঈদ, জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, জ্যামাইকা বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি বাহলুর সৈয়দ উজ্জল, বাপার প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন কেরাম চৌধুরী, বাপার জেনারেল সেক্রেটারী প্রিন্স আলম, বাপার ট্রেজারার রাসেক মালিক, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রেজারার মোহাম্মদ আলী, সেবুল উদ্দিন, খোরম চৌধুরী ঝুম্মা, করিম চৌধুরী, সাইফুর খান হারুন, মিজান চৌধুরী, হিলসাইড টাইগার্সের পক্ষ থেকে মাজিদ আকন্দ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন - সৈয়দ আল আমিন রাসেল, অলিভ আহমেদ, নাইম চৌধুরী, মইনুর রহমান, হিলসাইড টাইগার্সের রনি, জাহিদ, মোস্তাক, রুবেল প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে ইয়ূথদের এই ধরনের আয়োজনকে সাধুবাদ জানান। তারা বলেন, তরুণ-যুবারা ভালো ভালো কাজের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখবে। ভবিষ্যতে কমিউনিটিতে তাদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি মেইনস্ট্রীমে আরো বেশি ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জ্যামাইকা বাংলাদেশি ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মো. জাসেম তার বক্তৃতায় বলেন - নানা কর্মের মধ্য দিয়ে সংগঠনটি প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছে একটি দায়িত্বশীল এবং গ্রহণযোগ্য সংগঠনে পরিণত হচ্ছে। জেবিওয়াইএফ, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ভোলান্টিয়ার কার্যক্রম, পরিস্কার পরিছন্ন কার্যক্রম, ইয়ূথদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন সহ কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের কার্যক্রমের সম্পৃক্তার কথা জানান। তিনি অনুষ্ঠানের সিকিউরিটি ব্যবস্থা করার জন্য ১০৭ প্রিসেন্টের সার্জেন্ট ক্রিস্টোফার বার্ক, সার্জেন্ট আলী, কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্সের ক্যাভিন ম্যাকার্থিকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান প্রবাসের সকল ইলেক্ট্রনিক্ ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীকে।
বক্তব্যের পরে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী জহির টিপু, সেরাকন্ঠ খ্যাত কৃষ্ণা তিথি ও ক্লোজ-আপ ওয়ান শিল্পী রাজীর ভট্টাচার্য্য। মিউজিকে বেজ গিটারে ছিলেন মাহফুজ, কি-বোর্ডে পার্থ গুপ্তা, অক্টোপ্যাডে মাইকেল এবং সাউন্ড সিস্টেমে সায়েম। সঙ্গীতের পুরো আয়োজনটি করা হয় মাটি ব্যান্ডের পক্ষ থেকে।
চাঁদ রাত উদযাপনে জ্যামাইকাসহ আশেপাশের এলাকার প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটে, পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই আসেন অনুষ্ঠান উপভোগ করতে। করোনার পর শতশত দর্শকদের উপছে পড়া ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। স্টেজর সামনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছোট ছোট বাচ্চাদের আনন্দ উল্লাস অনুষ্ঠানের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। কোনো রকম বিশৃঙ্ঘলা ছাড়াই সন্ধ্যা ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। ফায়ার ওয়ার্কের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।
জ্যামাইকা বাংলাদেশি ইয়ূথ ফোরামের সকল সদস্যদের সহযোগিতার জন্যই এতো সুন্দর প্রোগ্রাম আয়োজন করা সম্ভব হয়। পুরো আয়োজনটি সফল করার জন্য বিশেষভাবে হাসান সুমন, মো. জাসেম, তানভীর ভুঁইয়া ও শিব্বির আহম্মেদের ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ।
পুরো আয়োজনের সহযোগিতায় ছিলেন নাসির সেল ফোন, হিলসাইড হেয়ার সেলুন, সৈয়দ রাব্বি, নাইম, টং এনওয়াইসি, আরিফুল ভূঁইয়া জিয়া, ক্যাপ্টেন কেরাম চৌধুরী, রাসেক মালিক, ১৬৮ স্ট্রিটে হোম ওনার এসোসিয়েশনর পক্ষ থেকে সেবুল উদ্দিন, খোরম চৌধুরী ঝুম্মা, ফ্রেড্রিক, রাম এবং সারাহ্ হোম কেয়ারের তানজিরুল হক।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ডা. ফারজানাকে অভিনন্দন
- ওরে বাব্বা কত পিঠার কত নাম!
- রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট সেবার অনলাইন কার্যক্রম ফেসবুকে ল
- মাকে হারালেন আজিজ আহমদ
- স্বজনদের শেষ মাটি দিতে না পারা প্রবাসীদের জীবনে বড় কষ্ট
- বিনা সাক্ষাৎকারে
ভ্রমণ, ব্যবসা ও মেডিকেল ভিসার আবেদন নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস - দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম হিসেবে
এনওয়াইপিডির লে. কমান্ডার হচ্ছেন বাংলাদেশি আমেরিকান শামসুল হক - কানাডায় পেস এর উদ্যোগে বর্ণবাদ বিরোধী কার্যক্রম শুরু
- নিউইয়র্কে আগ্রাবাদ নাইট, এক মুখরিত সন্ধ্যার গল্প
- বিদেশি সিইও নয়, ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা পাবেন নিজ দেশে কাজের সুযোগ