বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আলোচনা সভা
বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আলোচনা সভা
বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ সৃষ্টি, কৌশল, করণীয় এবং দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।
সোমবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৫০২ নম্বর কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
আলোচনা সভা শেষে বিভাগের অনার্সের প্রতি বর্ষ এবং মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা-২০২০ এ অংশ নিয়ে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারী এবং ৩.৫০ অর্জনকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ২৫ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশগামী শিক্ষকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং ছাত্র উপদেষ্টা রাজীব নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি মো. শহীদুল হক। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্যাহ, সহযোগী অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদ, সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ জাকারিয়া, সহকারী অধ্যাপক মাধব চন্দ্র দাস এবং সুদীপ্ত শর্মা।
এর মধ্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্যাহ অষ্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন এবং সুদীপ্ত শর্মা যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করছেন। বাকি মো. আবুল কালাম আজাদ, মুহাম্মদ জাকারিয়া এবং মাধব চন্দ্র দাস শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করার জন্য যাবেন।
বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্যাহ বলেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য আগে থেকেই কাজ শুরু করা উচিত৷ দেরী করা যাবে না৷ আগে কাজ শুরু করলে ফলও ভালো পাওয়া যায়৷ এছাড়া উচ্চ শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে তিনি কথা বলেন৷
ভাষাগত দক্ষতার কথা উল্লেখ করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইংরেজি ভাষায় গুরুত্ব দিতে হবে৷ উচ্চ শিক্ষার জন্য এটি খুব জরুরি৷ আর পাবলিকেশন থাকতে হবে৷ পাবলিকেশন থাকলে সহজ হয় এক্ষেত্রে। আর গবেষণা কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে৷
মুহাম্মদ জাকারিয়া একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন৷ এতে তিনি উচ্চ শিক্ষার কৌশল ও দক্ষতার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রথমে কোন্ দেশে যাবেন সেটা ঠিক করতে হবে। ডকুমেন্টস গুলো আগে প্রস্তুত করে রাখতে হবে এবং নিজের যোগ্যতাগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে রাখতে হবে।
মুক্তভাবে চিন্তার পরামর্শ দিয়ে মাধব চন্দ্র দাস বলেন, নতুন উদ্ভাবন, নতুন কিছু করার প্রেরণা থাকতে হবে। গন্ডি বা সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ মুক্ত চিন্তা নিয়ে বাইরের দেশে যেতে হবে এবং সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে৷
উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে মনে ভয়-ভীতি না রেখে কাজ করতে বলেছেন সুদীপ্ত শর্মা। তিনি বলেন, মনে ভয় রাখা যাবে না। অনেক সময় মনে হতে পারে এতো বড় দেশ, কেমনে কি হবে! এটা মাথায় আনা যাবে না৷ ভয় নিয়ে কাজ করলে অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই কাজ করতে হবে সাহস নিয়ে৷
এসময় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে প্রফেসর আলী আজগর চৌধুরী, মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম, শাহাব উদ্দিন নীপু, জিয়াউর রহমান খান, রেজাউল করিম ও হামিদা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- সূর্যমুখী ফুলে হাসছে হাটহাজারী
- বর্ণিল হয়ে উঠছে শহীদ মিনার চত্ত্বর
- পুঁটি, ছুরি, কার্তিকোটা, লইট্টা, বাটা শিমের রাজ্যে
- সুন্দরে সেজেছে স্মৃতিসৌধ, শ্রদ্ধার ফুল নিতে প্রস্তুত
- ফটোশপড নয়, এটাই বাংলাদেশের সত্যিকারের রঙ: মিয়া সেপ্পো
- ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের
- দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহত
- ঢাবিতে ছাত্রদল-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ: ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়
- চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে প্রাণ গেল ঢাবি শিক্ষার্থীর