কেন এত সোনার গয়না পরতেন বাপ্পী লাহিড়ী
কেন এত সোনার গয়না পরতেন বাপ্পী লাহিড়ী
সদ্য প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পী লাহিড়ী |
বাপ্পী লাহিড়ী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার অনন্য লুকের অনুপ্রেরণা যুক্তরাষ্ট্রের রক সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা এলভিস প্রিসলি।
তিনি বলেছিলেন, ‘এলভিস প্রেসলি সোনার চেইন পরতেন। আমি তার বড় ভক্ত ছিলাম। আমি তার গয়না পরা খুবই পছন্দ করতাম। সে সময় আমি ভাবতাম, যখন প্রতিষ্ঠিত হব তখন আমি নিজের একটা আলাদা ইমেজ তৈরি করব। এরপর যখন আমি সফল হই। সোনা কেনার আর্থিক ক্ষমতা অর্জন করি, তখন আমি একের পর এক গয়না কিনি।’
তার কথায় সোনার গয়না পরা খুব সৌভাগ্যের বস্তু ছিল তার কাছে। তাই সেটিও একটি কারণ ছিল, এত গয়না পরার বলে জানান লাহিড়ী।
সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তার কাছে যত ধরনের সোনার গয়না, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের চেইন ও আংটি সংরক্ষিত রয়েছে, তা অনেক গয়নাপ্রেমী নারীদের কাছে নেই।
অবশ্য গয়না নিয়ে অনেকেই তাকে নাকি নানা কথা শুনিয়েছেন। তাতে অবশ্য গা করেননি এই শিল্পী। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কাউকে দেখানোর জন্য নয়, বরং তার ভালো লাগা থেকেই এটা পরতেন।
ভারতীয় সিনেমা ডিস্কো ঘরানার সংগীতের প্রবর্তকও বলা হয় বাপ্পী লাহিড়ীকে। তিনি ভারতে বিশেষ করে বলিউডে ৮০ ও ৯০-এর দশকে ডিস্কো গানকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এসব গানে তার ছিল একটা আদালা গায়কী বা ঢং।
বাপ্পী লাহিড়ীর ব্যাপক জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ডিস্কো ড্যানসার’, ‘চালতে চালতে’, ‘ড্যান্স ড্যান্স’, ‘নামাক হালাল’-এর মতো অসংখ্য গান।
নিজের সুর করা বেশ কিছু গানও গেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কোয়ি ইয়াহা নাচে নাচে’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, ‘পেয়ার বিনা চ্যান কাহা’।
বাংলা সিনেমাতেও বাপ্পী লাহিড়ী অসংখ্য গানের সুর করেছেন। বাপ্পীর জন্য পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর। তার আসল নাম অলোকেশ লাহিড়ী। তার মা-বাবা দুজনেই ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- চুইংগামের পোশাক পরলেন উরফি জাভেদ
- মিয়া খলিফার নতুন ভিডিও ভাইরাল
- ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন যারা
- বিয়ে করলেন শমী কায়সার
- স্মরণে সত্যজিৎ
- তিনি উজ্জীবিত করতেন গণমানুষকে
- গোপনে বিচ্ছেদ, নতুন বিয়ে দুটোই সারলেন ইভা রহমান
- মিনা পাল থেকে ‘কবরী’ রূপে আত্মপ্রকাশের গল্প
- অস্কার পুরস্কার ২০২২ : এক নজরে বিজয়ীরা
- মজিবুর রহমান দিলু
স্যালুট আপনাকে হে জীবন ও মুক্তির যোদ্ধা!