জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল স্থগিত
জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল স্থগিত
জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত |
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ নির্দেশ দেয়।
এর আগে প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের নেয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন জায়েদ খান। তার পক্ষে আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি রিট আবেদনটি করেন।
জায়েদ খানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম, নাহিদ সুলতানা যুথি। তাদের সঙ্গে ছিলেন মুজিবুল হক ভূঁইয়া।
আইনজীবী মুজিবুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রার্থিতা বাতিল করে বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে চিঠি দিয়েছে, সেটিও স্থগিত করেছেন আদালত।
‘পাশাপাশি আদালত আপিল বোর্ডের দুইজন সদস্য আর নিপুণ আক্তারকে নির্দেশ দিয়েছেন জায়েদ খানকে দায়িত্ব পালনে যাতে কোনো রকম ডিস্টার্ব না করা হয়।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ড। এ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয় অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার নিপুণকে।
এফডিসিতে ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘নিপুণের করা অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হলো।’
এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘এটা (প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা) আইনবহির্ভূত। পৃথিবীতে এটা নজিরবিহীন ঘটনা।
‘ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর মৃত আপিল বোর্ড কীভাবে রায় ঘোষণা করে! আমি আইনি নোটিশ দেয়ার পরও তারা যা করেছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।’
গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। এবারের নির্বাচন ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর।
ভোটের আগেই দুই পক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ি হয়। ভোটগ্রহণের পরদিন ভোরে ফল ঘোষণা করে সমিতির নির্বাচন কমিশন।
২০২২-২৪ কার্যকরী পরিষদের এ নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন জায়েদ খান।
ফল প্রকাশের পর সভাপতি পদ নিয়ে কথা না থাকলেও জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। নিপুণ তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আনেন। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ করেন তিনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ভোট বাতিল দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন তিনি। অবশ্য হারুন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করা হয়েছিল।
এ আবেদনটি করেন পরাজিত প্রার্থী নিপুণ। এরপর প্রার্থিতা বাতিলের অভিযোগের দিকনির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান।
আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এফডিসিতে আসেন নিপুণ, আপিল বোর্ডের সদস্য সোহানুর রহমান সোহানসহ অনেকে।
এফডিসির বৈঠকে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে তার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণকে জয়ী ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসে। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান সোহানুর রহমান সোহান।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- চুইংগামের পোশাক পরলেন উরফি জাভেদ
- মিয়া খলিফার নতুন ভিডিও ভাইরাল
- ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন যারা
- বিয়ে করলেন শমী কায়সার
- স্মরণে সত্যজিৎ
- তিনি উজ্জীবিত করতেন গণমানুষকে
- গোপনে বিচ্ছেদ, নতুন বিয়ে দুটোই সারলেন ইভা রহমান
- মিনা পাল থেকে ‘কবরী’ রূপে আত্মপ্রকাশের গল্প
- অস্কার পুরস্কার ২০২২ : এক নজরে বিজয়ীরা
- মজিবুর রহমান দিলু
স্যালুট আপনাকে হে জীবন ও মুক্তির যোদ্ধা!