নগর বাউলের জন্মদিন: ‘অস্থির হয়ো না, ধৈর্য ধরো’
নগর বাউলের জন্মদিন: ‘অস্থির হয়ো না, ধৈর্য ধরো’
তার গান, মান ও লাইফস্টাইল আলাদা করে দেয় যে কারও কাছ থেকে। ভক্তকুলে যার মূল পরিচিতি ‘গুরু’ হিসেবে। আজ তার জন্মদিন। তিনি আর কেউ নন, দেশের অন্যতম সংগীত তারকা জেমস। আজ (২ অক্টোবর) এই নগর বাউলের জন্মদিন।
ভক্তদের তিনি আদর করে ডাকেন,‘দুষ্টু ছেলের দল’। জন্মদিনে তাদের উদ্দেশে গুরুর বার্তা হলো ,‘অস্থির হয়ো না,ধৈর্য ধরো।’
নিভৃতচারী জেমস বরাবরই আনুষ্ঠানিকতা বিমুখ মানুষ। এই করোনাকালে সেই দূরত্ব আরও বেড়েছে। ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর জন্ম জেমসের। ভক্তদের কাছে জেমসের জন্মদিন মানেই বিশেষ কিছু। বিশেষ এই দিনটি নিয়ে পরিকল্পনা জানতে চাইলে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, জন্মদিনে তার কোনো পরিকল্পনা নেই। কখনো কোনো পরিকল্পনা থাকেও না। আর এবার করোনার মধ্যে এসবের প্রশ্নই উঠে না।
এদিকে জেমসের পরিকল্পনা না থাকলেও প্রতি বছর ভক্তরা ঠিকই ঘটা করে পালন করেন প্রিয় তারকার জন্মদিন। ভক্তদের এ উন্মাদনা নিয়ে জেমস বলেন, ‘সাধারণত ভক্তরা তাদের মতো করে আমার জন্মদিন পালন করেন। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। ভক্তদের জন্যই আমার গান করা। ভক্তরা আছে বলেই আমি জেমস টিকে আছি। যতদিন ভক্তদের ভালোবাসা আমার সঙ্গে আছে ততদিনই আমি সংগীত জগতে টিকে থাকব। ভক্তদের ভালোবাসা ফুরিয়ে গেলে আমিও ফুরিয়ে যাব। তাই ভক্তদেরও আমি ভালোবাসি। তাদের জন্যও আমার শুভকামনা।'
তবে নতুন কোনও গানের খবর এদিনও দিলেন না স্বল্পভাষী জেমস। এটুকু জানা গেছে,হোম স্টুডিওতে প্র্যাকটিস চলছে, গানও সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সেটি প্রকাশের জন্য অস্থিরতা নেই তার।
গানের বাইরেও গেল কবছর জেমস মন বসিয়েছেন ছবি তোলায়। তার ফটোগ্রাফির বিষয়, মডেল,নাগরিক জীবন ও প্রকৃতি। যে ছবিগুলোর মাধ্যমে নেটিজেনদের গানের তৃষ্ণা অনেকটাই মেটান ছবিয়াল জেমস।
নওগাঁয় জন্ম নেওয়া জেমস বেড়ে উঠেছেন দেশের নানা জেলায়। গানের টানে ঘর থেকে পালিয়ে আসেন চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে। আশির দশকে ক্যারিয়ার শুরু করা এই রকস্টার নব্বই দশকে তুমুল জনপ্রিয় ওঠেন।
চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া ব্যান্ড দল ‘ফিলিংস’-এর মাধ্যমে তিনি প্রথমে খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি এহসান এলাহী ফান্টিকে নিয়ে নগর বাউল নামে ব্যান্ড দল গঠন করেন। তিনি নগর বাউলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বাংলা ভাষায় তিনিই প্রথম সাইকিডেলিক রক শুরু করেন। গিটার বাজানোতেও দারুণ পটু।
জেমসের উল্লেখযোগ্য একক অ্যালবামগুলো হচ্ছে : অনন্যা, পালাবে কোথায়, দুঃখিনী দুঃখ করোনা, ঠিক আছে বন্ধু, আমি তোমাদেরই লোক, জনতা এক্সপ্রেস, তুফান, কাল যমুনা।
বাংলা চলচ্চিত্রের গানে প্লেব্যাক করেও জনপ্রিয়তা পান তিনি। শুধু তাই নয়, বলিউডের বেশ কয়েকটি সিনেমাতেও প্লেব্যাক করেছেন বাংলার এ রকস্টার।
চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করার জন্য জেমস জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ব্যক্তিজীবনে জেমস তিন সন্তানের বাবা। স্ত্রী বেনজির সাজ্জাদকে নিয়ে ভালোই আছেন তিনি।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- চুইংগামের পোশাক পরলেন উরফি জাভেদ
- মিয়া খলিফার নতুন ভিডিও ভাইরাল
- ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন যারা
- বিয়ে করলেন শমী কায়সার
- স্মরণে সত্যজিৎ
- তিনি উজ্জীবিত করতেন গণমানুষকে
- গোপনে বিচ্ছেদ, নতুন বিয়ে দুটোই সারলেন ইভা রহমান
- মিনা পাল থেকে ‘কবরী’ রূপে আত্মপ্রকাশের গল্প
- অস্কার পুরস্কার ২০২২ : এক নজরে বিজয়ীরা
- মজিবুর রহমান দিলু
স্যালুট আপনাকে হে জীবন ও মুক্তির যোদ্ধা!