কিংবদন্তী সুরকার আলম খান মারা গেছেন
কিংবদন্তী সুরকার আলম খান মারা গেছেন
খ্যাতিমান অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদের মৃত্যুর খবরের মাত্র দু ঘণ্টার মাথায় আরেক দুঃসংবাদ। বাংলা গানের কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান আর নেই। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না...রাজিউন)।
আলম খানের ছেলে সংগীত পরিচালক আরমান খান তার বাবার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে তাকে বলা হয় সুরের জাদুকর। তার সুরে গান গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন অনেক শিল্পী। ‘ওরে নীল দরিয়া, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই, কি জাদু করিলা পিরিতি শিখাইলা, তুমি যেখানে আমি সেখানে, সবাই তো ভালবাসা চায়’ এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুর করেছেন আলম খান।
পপসম্রাট আজম খানের বড় ভাই আলম খান ১৯৪৪ সালের ২২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাথি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
সংগীতজ্ঞ আলম খানের পুরো নাম খুরশিদ আলম খান। পিতার নাম আফতাব উদ্দিন খান। মায়ের নাম জোবেদা খানম। গুলবানু খানের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে আরমান খান ও আদনান খান এবং এক কন্যা আনিকা খানের জনক তিনি।
১৯৭০ সালে আবদুল জব্বার খানের ‘কাঁচ কাটা হীরে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হিসেবে হাতেখড়ি হয় আলম খানের। তারপর অসংখ্য ছবির সংগীত পরিচালনা করেন। সৃষ্টি করেন একের পর এক শ্রুতিমধুর এবং জনপ্রিয় গান।
আলম খান দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘বড় ভাল লোক ছিল’ (১৯৮২), ‘তিন কন্যা’ (১৯৮৫), ‘সারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘দিনকাল (১৯৯২) এবং ‘বাঘের থাবা’ (১৯৯৯) ছবিগুলোতে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ২০০৮ সালে পেয়েছেন ‘কি জাদু করিলা’ ছবির জন্য।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- চুইংগামের পোশাক পরলেন উরফি জাভেদ
- মিয়া খলিফার নতুন ভিডিও ভাইরাল
- ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন যারা
- বিয়ে করলেন শমী কায়সার
- স্মরণে সত্যজিৎ
- তিনি উজ্জীবিত করতেন গণমানুষকে
- গোপনে বিচ্ছেদ, নতুন বিয়ে দুটোই সারলেন ইভা রহমান
- মিনা পাল থেকে ‘কবরী’ রূপে আত্মপ্রকাশের গল্প
- অস্কার পুরস্কার ২০২২ : এক নজরে বিজয়ীরা
- মজিবুর রহমান দিলু
স্যালুট আপনাকে হে জীবন ও মুক্তির যোদ্ধা!