বাস্তব জীবন থেকে অনুপ্রাণিত ছিল ‘প্রাক্তনের’ চিত্রনাট্য
বাস্তব জীবন থেকে অনুপ্রাণিত ছিল ‘প্রাক্তনের’ চিত্রনাট্য
নব্বই দশকের জনপ্রিয় জুটি ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পরে দীর্ঘদিন তারকা জুটিকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। তবে ২০১৬ সালে ‘প্রাক্তন’ ছবিতে তাদের একসঙ্গে পর্দায় ফিরিয়ে বাজিমাত করেন পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায় এবং নন্দিতা রায়।
একটি ট্রেনের কামরায় জীবন বোধের উপলব্ধি বোঝানো হয় প্রাক্তনে। একজন ট্রাভেল এজেন্ট আর তা স্ত্রীর জীবন ছিল চলচ্চিত্রের মুখ চরিত্র। আর্থিক সাফল্যের পাশাপাশি দর্শক সমাদৃত হয় ছবিটি। যে ছবিটি নিয়ে আছে অবাক করা কিছু তথ্য।
প্রথমত ছবিটি কোন ট্রেনে শুট করা হয়নি। একটি সেট তৈরি করা হয়েছিল। শিল্প নির্দেশক নীতিশ রায় তৈরি করেছিলেন এই ট্রেনটি। শুটিংয়ের সময় ট্রেনের ঝাঁকুনি বোঝানোর জন্য টেকনিশিয়ানরাই অনবরত ঝাঁকাতেন এই ট্রেন। আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য পরিচালকরা সিনেমাটিতে ভারতীয় রেলওয়ের সমস্ত সামগ্রী ব্যবহার করেছিলেন। এর জন্য ছবির এন্ড স্ক্রোলে ভারতীয় রেলকে ধন্যবাদও জানান পরিচালকদ্বয়।
ছবির ক্লাইমেক্সে ব্যবহার করা হয় তুমি যাকে ভালোবাসো গানটি। যার জন্য জাতীয় পুরস্কার পান ইমন চক্রবর্তী। অথচ পরিচালকরা জানতেনই না কে গেয়েছে গানটি! ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অনুপম রায় শিল্পীর নাম উল্লেখ না করেই দুজনের রেকর্ডেড ভার্শন পাঠিয়েছিলেন পরিচালকের কাছে। পরিচালকরা না চিনেই ইমনেরটি বেছে নেন, এরপর বাকিটা ইতিহাস। এখনও পর্যন্ত শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় জানেন না যে দ্বিতীয় কন্ঠটি কার ছিল।
আর তৃতীয় ও শেষ তথ্য হলো, প্রাক্তন ছবির গল্প পরিচালকদের মনগড়া নয়। তা একজন ট্রাভেল এজেন্ট ও তার প্রথম স্ত্রীর জীবন থেকে অনুপ্রাণিত। সে ট্রাভেল এজেন্ট ঋত্বিক চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী মধুরার চরিত্র রূপান্তরিত হয় উজান ও সুদীপায়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- চুইংগামের পোশাক পরলেন উরফি জাভেদ
- মিয়া খলিফার নতুন ভিডিও ভাইরাল
- ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন যারা
- বিয়ে করলেন শমী কায়সার
- স্মরণে সত্যজিৎ
- তিনি উজ্জীবিত করতেন গণমানুষকে
- গোপনে বিচ্ছেদ, নতুন বিয়ে দুটোই সারলেন ইভা রহমান
- মিনা পাল থেকে ‘কবরী’ রূপে আত্মপ্রকাশের গল্প
- অস্কার পুরস্কার ২০২২ : এক নজরে বিজয়ীরা
- মজিবুর রহমান দিলু
স্যালুট আপনাকে হে জীবন ও মুক্তির যোদ্ধা!