সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইয়। পর্দায় কখনও প্রেমিকা হয়ে উপস্থিত হয়েছেন। আবার কখনও চোর ধরতে ছদ্মবেশ ধারণ করে হাজির হয়েছেন তিনি। অথচ বাস্তবে তার বিরুদ্ধে উঠেছিল চুরির অভিযোগ। তাকে স্বামী চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন এক মডেল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তথ্যটি।

ঘটনাটি ঘটেছিল ঐশ্বরিয়ার বিয়ের দিন। ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল জমকালো এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। সেদিন বচ্চন পরিবারের বিলাসবহুল বাসভবনে চলছিল বধূবরণের উৎসব। ঠিক তখন বাড়ির বাইরে জাহ্নবী কাপুর নামের এক মডেল ঐশ্বরিয়ার বিরুদ্ধে স্বামী চুরির অভিযোগ আনেন। সংবাদকর্মীদের জানান, ঐশ্বরিয়া তার থেকে অভিষেককে ছিনিয়ে নিয়েছেন। অভিষেক তাকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছেন বলেও দাবি করেন ওই মডেল।

জাহ্নবী সংবাদকর্মীদের আরও জানান, অভিষেকের একটি সিনেমায় নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই পরিচয়। পরে তারা টানা দুই বছর একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা করেন। ২০০৬ সালে অভিষেক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।

এসব দাবির একপর্যায়ে নিজের হাতের রগ কেটে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন ওই মডেল। তবুও কথাগুলো বিশ্বাস করাতেন সক্ষম হননি কাউকে। অবশেষে আইনের শরণাপন্ন হন তিনি। জুহু আদালতে প্রতারণার মামলা করতে যান অভিষেকের নামে। কিন্তু মামলা নেওয়া তো দূরের কথা উল্টো তাকেই গ্রেফতার করে রেখে দেয় ভারতীয় পুলিশ। তবে এ প্রসঙ্গে অভিষেক- ঐশ্বরিয়া মন্তব্য থেকে বিরত ছিলেন সেসময়।