মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

স্কুল খুলে দেওয়া উচিত, বলছে ইউনিসেফ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০০:৪১, ১৩ জানুয়ারি ২০২১

আপডেট: ০০:৪৯, ১৩ জানুয়ারি ২০২১

১০৯৩

স্কুল খুলে দেওয়া উচিত, বলছে ইউনিসেফ

করোনার দুঃসময়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাত শিক্ষা। এ ক্ষতি টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যাবে না। তবে আশার কথা হলো ভ্যাকসিনও এসেছে। এ পরিস্থিতিতে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে স্কুলের কার্যক্রম আরও এক বছর ব্যাহত হলে সে ক্ষতির ভার শিশুরা বইতে পারবে না। এ মন্তব্য করেছেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর। তিনি বলেছেন স্কুল খোলার পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অগ্রাধিকারে রাখতে হবে। 

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) এক বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি স্কুল খোলার পক্ষে কথা বলেছেন। হেনরিয়েটা ফোর বলেছেন-
‘আমরা যেহেতু কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় বছরে প্রবেশ করেছি। বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। এ কেবল সিলেবাসের পড়ার ক্ষতি নয়, পরীক্ষায় বসতে না পারার লোকসান নয়। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের জীবনে প্রতিটি দিন, প্রতিটি বছরই শরীরমনের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যা নিছক অনলাইনের ক্লাস পূরণ করতে পারে না। তাই স্কুলগুলো খোলা রাখতে বা পুনরায় খোলার পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার দিতে কোনো প্রচেষ্টাই বাদ দেওয়া উচিত হবে না।’

ইউনিসেফ প্রধান জানান, প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুলগুলো বন্ধ আছে। যে ক্ষতি শিক্ষার্থীদের গৃহবন্দী জীবনে ঘটছে, তার প্রভাব সময়ের গণ্ডিতে বন্দী থাকবে না। এর ধকল চলবে আজীবন। 

হেনরিয়েটা ফোর বলেন-
'মহামারির চূড়ান্ত পর্যায়ে লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাপী ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে স্কুলগামী শিশুদের এক তৃতীয়াংশই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পায়নি। তাই স্কুলগুলো বন্ধ রাখায় তা বিপর্যয় নিয়ে এনেছে। স্কুলের বাইরে থাকা শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ বৃদ্ধি পেতে চলেছে।’

ইউনিসেফ মনে করছে, বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে প্রাথমিক গাণিতিক সমস্যা ও বিজ্ঞানভিত্তিক লেখাপড়ায় দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যা একবিংশ শতাব্দীর অর্থনীতিতে সাফল্য অর্জনে ঘাটতি হয়ে থাকবে। এছাড়া শিশু স্বাস্থ্য, বিকাশ, নিরাপত্তা, পুষ্টি এবং সার্বিক কল্যাণের বিষয়টি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

সমবয়সীদের সঙ্গে প্রতিদিনের যোগাযোগের অভাব এবং চলাফেরা কমে যাওয়ায় শিশুরা শারীরিক সুস্থতা হারাচ্ছে এবং তাদের মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। শিশু নির্যাতন ও তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাল্য বিয়ের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণেই অন্য সব বিকল্প বিবেচনা করার পরেই সবশেষ উপায় হিসেবেই স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক এও বলেন, তবে যেসব দেশের উচ্চ মাত্রায় কমিউনিটি সংক্রমণ রয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চরম চাপের মধ্যে রয়েছে এবং সেখানে স্কুল বন্ধ রাখার কোনও বিকল্প নেই।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত