চলতি মাসেই শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ সেট বই পাবে : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
চলতি মাসেই শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ সেট বই পাবে : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
সারা দেশে বই উৎসব শুরু হলেও এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ সেট বই হাতে পায়নি। তবে চলতি মাসেই শিক্ষার্থীরা শতভাগ বই পাবে বলে জানিয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের এ বই উৎসবের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সমস্ত স্কুলে বই পৌঁছে গেছে। প্রেসের কারণে কয়েক সেট বই এখনো বাকি থাকতে পারে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে কাগজের সমস্যা কারণে প্রেসগুলো আমাদের সঠিক সময়ে পূর্ণাঙ্গ বই দিতে পারেনি। প্রায় ৮০ ভাগ বই আমাদের দিতে পেরেছে। এ মাসের মধ্যে সারা দেশে আমরা শতভাগ বই দিতে পারব।’
প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা বুদ্ধিকে প্রখর করে, বিবেককে জাগ্রত করে আত্মিক মুক্তি ও বুদ্ধির বিকাশ ঘটায়। সুনাগরিক সৃষ্টির দুয়ার খুলে দেয়। সদ্য স্বাধীন দেশকে উন্নত জাতিতে রূপান্তর করতে হলে এদেশকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার উপলব্ধি করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সেই ১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজার ১৬৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক সঙ্গে জাতীয়করণ করেন। সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থাকার পর স্বাধীনতায় পরাজিত শত্রুদের দ্বারা নৃশংসভাবে হত্যার পর আর কোনো সরকার প্রাথমিক শিক্ষার দিকে ফিরে তাকায়নি। পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতা আসার পর শিক্ষায় পরিবর্তন আসে। ২০১০ সালে তিনি প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেন।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন শেখ হাসিনা। ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষককে সরকারিকরণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষাসহ সব শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেন। ২০১০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতেক্যের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
স্মার্ট বাংলাদেশে গড়ে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলের ভবন, মাঠ, ক্লাস ডিজিটাল করা হচ্ছে। সব ধরনের উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর ছোট ছোট সোনামণিরা। আমরা আমাদের বাচ্চাদের স্মার্ট করতে চাই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এদেশে প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে জাতির জনকের মতো আর কেউ ভাবেনি। কোনো এক সময় শিক্ষা ছিল বিলাসিতার ব্যাপার। সবার জন্য শিক্ষা ছিল না। মানুষ শিক্ষা তো দূরে থাক, খাবারের জোগান দিতে পারত না। একটি দেশকে এগিয়ে নিতে গেলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ব্রিটিশ সরকার, পাকিস্তানি সরকার যা ভাবেনি, তা ভেবেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, ‘বিধ্বস্ত বাংলাদেশের যখন টাকা-পয়সা ছিল না, তখন বঙ্গবন্ধু এই স্কুলগুলোকে জাতীয়করণ করেন। তিনি শিক্ষকদের মর্যাদা দেন। তিনি তাদের অভাব দূর করার চেষ্টা করলেন। বঙ্গবন্ধুর এই প্রচেষ্টার জন্য যত দিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন সবাই তাকে স্মরণ করবে। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শত বাধা সত্ত্বেও এ দ্বারা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি নানাভাবে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে সজ্জিত করেছেন।’
এ সময় আরও উপস্থিতি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম মেহের আফরোজ, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, মো. জোয়াহেরুল ইসলাম, মো. মোশারফ হোসেন, বেগম শিরীন আখতার, বেগম ফেরদৌসি ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ভালো কাজের স্বীকৃতি
বিশ্বের একশো স্কুলের মধ্যে ব্র্যাকের ৩ স্কুল - ৬৬ শিক্ষকের ই-স্বাক্ষরিত বিবৃতি
খুবি কর্তৃপক্ষের নোটিশে ক্ষোভ ও নিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের - ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ৩৫ শিক্ষকের বিবৃতি
- পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা না রেখেই পরীক্ষা নিচ্ছে কুবি
- বন্ধুত্ব দৃঢ় হোক সহযোগিতার বন্ধনে
- আইনে থাকলেও শিক্ষাছুটির সুবিধা পান না কুবি মেডিকেল কর্মকর্তারা
- জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা বাদ, বিভাগ উঠে যাচ্ছে এসএসসিতে - বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কুবি শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা
- আরও ৩ দিনের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন